(Book# 762) সুরা: ইব্রাহিম সুরা:১৪ ১৯-২০ ‌নং আয়াত:- [ اِنۡ یَّشَاۡ یُذۡہِبۡکُمۡ وَ یَاۡتِ بِخَلۡقٍ جَدِیۡدٍ তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদের অস্তিত্ব বিলোপ করতে পারেন এবং এক নতুন সৃষ্টি অস্তিত্বে আনতে পারেন। If He wills, He can do away with you and produce a new creation.] www.motaher21.net

أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ

(Book# 762)
সুরা: ইব্রাহিম
সুরা:১৪
১৯-২০ ‌নং আয়াত:-
[ اِنۡ یَّشَاۡ یُذۡہِبۡکُمۡ وَ یَاۡتِ بِخَلۡقٍ جَدِیۡدٍ
তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদের অস্তিত্ব বিলোপ করতে পারেন এবং এক নতুন সৃষ্টি অস্তিত্বে আনতে পারেন।
If He wills, He can do away with you and produce a new creation.]
www.motaher21.net
اَلَمۡ تَرَ اَنَّ اللّٰہَ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ بِالۡحَقِّ ؕ اِنۡ یَّشَاۡ یُذۡہِبۡکُمۡ وَ یَاۡتِ بِخَلۡقٍ جَدِیۡدٍ ﴿ۙ۱۹﴾
Have you not seen that Allah created the heavens and the earth in truth? If He wills, He can do away with you and produce a new creation.

وَّ مَا ذٰلِکَ عَلَی اللّٰہِ بِعَزِیۡزٍ ﴿۲۰﴾
And that is not difficult for Allah .

সুরা: ইব্রাহিম
সুরা:১৪
১৯-২০ ‌নং আয়াত:-
(Book# 762)
সুরা: ইব্রাহিম
সুরা:১৪
১৯-২০ ‌নং আয়াত:-
[ اِنۡ یَّشَاۡ یُذۡہِبۡکُمۡ وَ یَاۡتِ بِخَلۡقٍ جَدِیۡدٍ
তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদের অস্তিত্ব বিলোপ করতে পারেন এবং এক নতুন সৃষ্টি অস্তিত্বে আনতে পারেন।
If He wills, He can do away with you and produce a new creation.]
www.motaher21.net
১৯-২০ নং আয়াতের তাফসীর:
তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-
এখানে মূলত আল্লাহ তা‘আলার ক্ষমতা ও বড়ত্ব তুলে ধরা হয়েছে। মানুষের মনে করা উচিত নয় যে, আমরা অনেক কিছু হয়ে গেছি। বরং তাদের স্মরণ রাখা উচিত আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে ধ্বংস করে অন্য জাতিকে নিয়ে আসতে সক্ষম। বিশাল উচ্চ আকাশ, বিস্তৃত জমিন যদি আল্লাহ তা‘আলা সৃষ্টি করতে পারেন যা তারা দেখতে পাচ্ছে তাহলে কি তিনি তাদেরকে ধ্বংস করে অন্য জাতি নিয়ে আসতে সক্ষম নন? অবশ্যই সক্ষম, সুতরাং বুঝা দরকার, আল্লাহ তা‘আলার অসংখ্য সৃষ্টির মাঝে তারা একটা ছোট্ট সৃষ্টি মাত্র। তাদেরকে ধ্বংস করে যদি অন্য কোন জাতি নিয়ে আসেন তাহলে তারা তাদের মত হবে না।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

(وَإِنْ تَتَوَلَّوْا يَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ لا ثُمَّ لَا يَكُوْنُوْآ أَمْثَالَكُمْ)

“যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে রাখ তাহলে আল্লাহ তোমাদের বদলে অন্য কাওমকে নিয়ে আসবেন। আর তারা তোমাদের মত হবে না।” (সূরা মুহাম্মাদ ৪৭:৩৮)

অনুরূপ তিনি মানব জাতিকে দ্বিতীয় বার হিসাব-নিকাশের জন্য সৃষ্টি করতে সক্ষম।

আল্লাহ তা‘আলার বাণী:

(أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّ اللّٰهَ الَّذِيْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضَ وَلَمْ يَعْيَ بِخَلْقِهِنَّ بِقَادِرٍ عَلٰٓي أَنْ يُّحْيِيَ الْمَوْتٰيط بَلٰٓي إِنَّه۫ عَلٰي كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ)

“তারা কি এটুকুও বোঝে না, যে আল্লাহ জমিন ও আসমান সৃষ্টি করলেন এবং এগুলো সৃষ্টি করতে তিনি ক্লান্ত হননি, সেই আল্লাহ মৃত্যুকে অবশ্যই জীবিত করার ক্ষমতা রাখেন। কেন নয়? নিশ্চয়ই তিনি সব কিছুর ওপর শক্তিশালী।” (সূরা আহক্বাফ ৪৬:৩৩)

সুতরাং যে আল্লাহ তা‘আলা বিশাল আকাশ-জমিন সৃষ্টি করেছেন এবং আল্লাহ তা‘আলা যেমনিভাবে প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন সে আল্লাহ তা‘আলা পুনরায় তাদের সৃষ্টি করতে সক্ষম।

আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

১. মৃত্যুর পর মানুষকে পুনরায় জীবিত করা হবে।
২. আল্লাহ তা‘আলার বিধানের অবাধ্য হওয়া যাবে না।
৩. রব হিসেবেও আল্লাহ তা‘আলাকেই মানতে হবে, অন্যকে নয়।

তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
১৯-২০ নং আয়াতের তাফসীর

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ কিয়ামতের দিন দ্বিতীয় বার সৃষ্টি করতে আমি সক্ষম। আমি যখন আকাশ ও যমীন সৃষ্টি করেছি তখন মানুষকে সৃষ্টি করা আমার কাছে মোটেই কঠিন নয়। আকাশের উচ্চতা, প্রশস্ততা, বিরাটত্ব, অতঃপর তাতে স্থির ও চলমান নক্ষত্ররাজি আর এই যমীন, পর্বতরাজি, বন জঙ্গল, গাছ-পালা এবং জীবজন্তু সবই তাঁর সৃষ্ট। যিনি এগুলো সৃষ্টি করতে অপারগ হননি, তিনি কি মৃতদেরকে পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষমতা রাখেন না? অবশ্যই এতে ক্ষমতাবান। মহান আল্লাহ বলেনঃ “মানুষ কি দেখে না যে, আমি তাকে সৃষ্টি করেছি শুক্র বিন্দু হতে? অথচ পরে সে হয়ে পড়ে প্রকাশ্য বিত কিারী আর সে আমার সম্বন্ধে উপমা রচনা করে, অথচ সে নিজের সৃষ্টির কথা ভুলে যায়। বলেঃ অস্থিতে প্রাণ সঞ্চার করবে কে যখন তা পচে গলে যাবে? বলঃ “ওর মধ্যে প্রাণ সঞ্চার করবেন তিনিই যিনি এটা প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন। এবং তিনি প্রত্যেকটি সৃষ্টি সম্বন্ধে সম্যক পরিজ্ঞাত। তিনি তোমাদের জন্যে সবুজ বৃক্ষ হতে অগ্নি উৎপাদন করেন এবং তোমরা তা দ্বারা প্রজ্জ্বলিত কর।”

যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তিনি ওগুলির অনুরূপ সৃষ্টি করতে সমর্থ নন? হ্যা, নিশ্চয়ই তিনি মহা স্রষ্টা, সর্বজ্ঞ। তাঁর ব্যাপার শুধু এই যে, তিনি যখন কোন কিছুর ইচ্ছা করেন, তখন ওকে তিনি বলেনঃ ‘হও। ফলে তা হয়ে যায়।

“অতএব পবিত্র ও মহান তিনি যাঁর হস্তে প্রত্যেক বিষয়ের সার্বভৌম ক্ষমতা এবং তাঁরই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।”

আল্লাহ পাক বলেনঃ “তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদের অস্তিত্ব বিলোপ করতে পারেন এবং এক নতুন সৃষ্টি অস্তিত্ব আনতে পারেন। আর এটা আল্লাহর জন্যে মোটেই কঠিন নয়। তোমরা যদি তার বিরুদ্ধাচরণ কর তবে এরূপই হবে।” যেমন তিনি আর এক জায়গায় বলেছেনঃ “হে লোক সকল! তোমরা আল্লাহর কাছে দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত এবং তিনি হচ্ছেন অভাবমুক্ত ও প্রশংসিত। তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদেরকে সরিয়ে দিবেন এবং তোমাদের স্থলে) নতুন সৃষ্টি আনয়ন করবেন এবং আল্লাহর কাছে এটা মোটেই কঠিন নয়।” অন্য জায়গায় তিনি বলেনঃ “যদি তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন কর তবে তিনি তোমাদের পরিবর্তে অন্য কওম আনয়ন করবেন, যারা তোমাদের মত হবে।” তিনি আরো বলেনঃ “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মধ্যে যে মুরতাদ বা ধর্মত্যাগী হয়ে যাবে (তবে তার জেনে রাখা উচিত যে,), সত্বই আল্লাহ এমন কওম আনয়ন করবেন। যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারাও তাঁকে ভালবাসবে।” আর এক জায়গায় আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদেরকে সরিয়ে দিবেন এবং অন্যদেরকে আনায়ন করবেন এবং আল্লাহ এর উপর পূর্ণ ক্ষমতাবান।”

তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
# ইতিপূর্বে যে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছিল এটি হচ্ছে তার সপক্ষে যুক্তি। এর মানে হচ্ছে, একথা শুনে তোমরা অবাক হচ্ছো কেন? তোমরা কি দেখছো না এ যমীন ও আসমানের বিরাট সৃষ্টি কারখানা মিথ্যার ওপর নয় বরং সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত? এখানে যে জিনিসটি সত্য ও যথার্থতার ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় না বরং নিছক একটি ধারণা-অনুমানের ওপর যার ভিত রাখা হয় সেটি কখনো স্থায়িত্ব লাভ করতে পারে না। তার প্রতিষ্ঠা ও মজবুতী- লাভের কোন সম্ভাবনা থাকে না। তার ওপর ভরসা করে যে ব্যক্তি কাজ করে সে কখনো নিজের ভরসার ক্ষেত্রে সফল-কাম হতে পারে না। যে ব্যক্তি পানির ওপর নকশা কাটে এবং বালির বাঁধ নির্মাণ করে, সে যদি মনে করে, তার এ নকশা স্থায়ী হবে এবং এ বাঁধ কায়েম থাকবে তাহলে তার এ আশা কখনো পূর্ণ হতে পারে না। কারণ পানির প্রকৃতিই এমন যে তাতে কোন নকশা টিকে থাকে না এবং বাঁধের জন্য যে মজবুত বুনিয়াদের প্রয়োজন তা সরবরাহ করার ক্ষমতা বালির নেই। কাজেই সত্যতা ও বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে যে ব্যক্তি মিথ্যা আশা-আকাংখার ওপর কর্মের ভিত্ গড়ে তোলে তার ব্যর্থতা অনিবার্য। একথা যদি তোমরা বুঝতে পেরে থাকো তাহলে একথা শুনে তোমরা অবাক হচ্ছো কেন যে, আল্লাহর এ বিশ্ব-জাহানে যে ব্যক্তি নিজেকে আল্লাহর ইবাদাত ও আনুগত্য মুক্ত মনে করে কাজ করবে অথবা আল্লাহ‌ ছাড়া অন্য কারোর সার্বভৌম ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব মেনে নিয়ে (যার আসলে কোন সার্বভৌম ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব নেই) জীবন যাপন করবে তার জীবনের সমস্ত কাজ নষ্ট হয়ে যাবে? যখন মানুষ এখানে যথার্থই স্বাধীন নয় এবং আল্লাহ‌ ছাড়া অন্য কারোর বান্দাও নয় তখন এ মিথ্যা ও অবাস্তব কল্পনার ওপর নিজের সমগ্র চিন্তা ও কর্মের ভিত্তি স্থাপনকারী মানুষ যদি তোমাদের মতে পানির ওপর নকশা অংকনকারী নির্বোধের পরিণাম না ভোগে তাহলে তার জন্য তোমরা আর কোন ধরনের পরিণাম আশা করো?
# দাবীর সপক্ষে যুক্তি পেশ করার সাথে সাথেই উপদেশ হিসেবে এ বাক্য উচ্চারণ করা হয়েছে এবং এ সাথে ওপরের দ্ব্যর্থহীন কথা শুনে মানুষের মনে যে সন্দেহ সৃষ্টি হতে পারে তা দূর করার ব্যবস্থাও এতে রয়েছে। কেউ জিজ্ঞেস করতে পারে এ আয়াতগুলোতে যে কথা বলা হয়েছে তাই যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে প্রত্যেক মিথ্যাপূজারী ও দৃষ্কৃতকারী ধ্বংস হয় না কেন? এর জবাব হচ্ছে, হে নির্বোধ! তুমি কি মনে করো তাকে ধ্বংস করা আল্লাহর জন্য তেমন কোন কঠিন কাজ অথবা আল্লাহর সাথে তার কোন আত্মীয়তা আছে যে কারণে তার দুষ্কৃতি সত্ত্বেও নিছক স্বজন প্রীতির বশে বাধ্য হয়ে আল্লাহ‌ তাকে অব্যাহতি দিয়েছেন? যদি এমনটি না হয়ে থাকে এবং তুমি নিজে জানো এমন কোন ব্যাপার নেই তাহলে তোমার অবশ্যি বুঝা উচিত, একটি মিথ্যাপূজারী ও দুস্কৃতিকারী জাতি সবসময় তাকে সরিয়ে দেয়ার এবং তার জায়গায় অন্য কোন জাতিকে কাজ করার সুযোগ দেয়ারআশঙ্কা করে থাকে। এআশঙ্কার বাস্তবে রূপ নিতে দেরী হয়ে থাকলে আদতেআশঙ্কার কোন অস্তিত্বই নেই এ ধরনের বিভ্রান্তির নেশায় মত্ত হয়ে যাওয়া উচিত নয়। অবকাশের প্রত্যেকটি মুহূর্তকে মূল্যবান মনে করো এবং নিজের মিথ্যা চিন্তা ও কর্ম ব্যবস্থার অস্থায়িত্ব অনুভব করে তাকে দ্রুত স্থায়ী বুনিয়াদের ওপর প্রতিষ্ঠিত করো।

তাফসীরে‌ আবুবকর জাকারিয়া বলেছেন:-
#.এখানে আল্লাহ্‌ তা’আলা মানুষকে স্বশরীরে আবার পুনরায় নিয়ে আসতে তিনি যে সক্ষম সেটার পক্ষে দলীল পেশ করে বলছেন যে, মানুষ তো কোন ব্যাপার নয়। যে আল্লাহ্ আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন তাঁর পক্ষে মানুষকে পুনরায় সৃষ্টি করা কোন ব্যাপারই নয়। কারণ, মানুষের সৃষ্টির চেয়ে আসমান ও যমীন সৃষ্টি করা বড় ব্যাপার। [ইবন কাসীর] আল্লাহ্ তা’আলা পবিত্র কুরআনের অন্যত্রও এটাকে তুলে ধরেছেন। যেমনঃ “তারা কি দেখে না যে, আল্লাহ্, যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং এসবের সৃষ্টিতে কোন ক্লান্তি বোধ করেননি, তিনি মৃতের জীবন দান করতেও সক্ষম? বস্তুত তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। [সূরা আল-আহকাফঃ ৩৩]

“মানুষ কি দেখে না যে, আমি তাকে সৃষ্টি করেছি শুক্রবিন্দু থেকে? অথচ পরে সে হয়ে পড়ে প্রকাশ্য বিতণ্ডাকারী। এবং সে আমার সম্বন্ধে উপমা রচনা করে, অথচ সে নিজের সৃষ্টি কথা ভুলে যায়। সে বলে, ‘কে অস্থিতে প্রাণ সঞ্চার করবে যখন তা পচে গলে যাবে?’ বলুন, ‘তাতে প্রাণ সঞ্চার করবেন তিনিই যিনি তা প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি প্রত্যেকটি সৃষ্টি সম্বন্ধে সম্যক পরিজ্ঞাত।’ তিনি তোমাদের জন্য সবুজ গাছ থেকে আগুন উৎপাদন করেন এবং তোমরা তা থেকে প্রজ্বলিত কর। যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তিনি কি তাদের অনুরূপ সৃষ্টি করতে সমর্থ নন? হ্যাঁ, নিশ্চয়ই তিনি মহাস্রষ্টা, সর্বজ্ঞ। তাঁর ব্যাপার শুধু এই, তিনি যখন কোন কিছুর ইচ্ছে করেন, তিনি বলেন, ‘হও’, ফলে তা হয়ে যায়। অতএব পবিত্র ও মহান তিনি, যাঁর হাতেই প্রত্যেক বিষয়ের সর্বময় কর্তৃত্ব; আর তাঁরই কাছে তোমরা ফিরে যাবে। [সূরা ইয়াসীনঃ ৭৭-৮৩]

#তোমাদেরকে ধ্বংস করে সেখানে অন্যদের প্রতিষ্ঠিত করা তার জন্য কোন ব্যাপারই নয়। কোন বড় ব্যাপার নয় আবার কোন অসম্ভব ব্যাপার নয়। বরং এটা তাঁর জন্য সহজ। যদি তোমরা তাঁর নির্দেশ অমান্য কর, তখন তিনি তোমাদেরকে ধ্বংস করে তোমাদের স্থলে অন্য কাউকে প্রতিস্থাপন করবেন। [ইবন কাসীর] অন্যত্র আল্লাহ্ বলেনঃ “হে মানুষ! তোমরা তো আল্লাহ্‌র মুখাপেক্ষী; কিন্তু আল্লাহ্, তিনি অভাবমুক্ত, প্রশংসার যোগ্য। তিনি ইচ্ছে করলে তোমাদেরকে অপসৃত করতে পারেন এবং এক নূতন সৃষ্টি নিয়ে আসতে পারেন।” [সূরা ফাতিরঃ ১৫-১৭]

“যদি তোমরা বিমুখ হও, তিনি অন্য জাতিকে তোমাদের স্থলবর্তী করবেন; তারা তোমাদের মত হবে না।” [সূরা মুহাম্মাদঃ ৩৮]

“হে মু’মিনগণ! তোমাদের মধ্যে কেউ দ্বীন থেকে ফিরে গেলে নিশ্চয়ই আল্লাহ্ এমন এক সম্প্রদায় আনবেন যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং যারা তাঁকে ভালবাসবে;” [সূরা আল-মায়িদাহঃ ৫৪]

“হে মানুষ! তিনি ইচ্ছে করলে তোমাদেরকে অপসারিত করতে ও অপরকে আনতে পারেন; আল্লাহ্ তা করতে সম্পূর্ণ সক্ষম।” [সূরা আন-নিসাঃ ১৩৩]

 

 

English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- Ibrahim
Sura: 14
Verses :- 19-20
اِنۡ یَّشَاۡ یُذۡہِبۡکُمۡ وَ یَاۡتِ بِخَلۡقٍ جَدِیۡدٍ
If He wills, He can do away with you and produce a new creation.
Proof that Resurrection occurs after Death

Allah says:

أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللّهَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالَارْضَ بِالْحقِّ

Do you not see that Allah has created the heavens and the earth with truth!

Allah affirms His ability to resurrect the bodies on the Day of Resurrection, stating that He has created the heavens and earth which are stronger than the creation of man.

Is not He Who is able to create the heavens, high, wide and strongly built, which include in them the planets and stars and the various heavenly objects and clear signs.

Is not He Who created this earth with all what it contains of land, valleys, mountains, deserts, green fields, barren lands, seas and various shapes, benefits, species and colors of trees, plants and animals

أَوَلَمْ يَرَوْاْ أَنَّ اللَّهَ الَّذِى خَلَقَ السَّمَـوَتِ وَالاٌّرْضِ وَلَمْ يَعْىَ بِخَلْقِهِنَّ بِقَادِرٍ عَلَى أَن يُحْىِ الْمَوْتَى بَلَى إِنَّهُ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ

Do they not see that Allah, Who created the heavens and the earth, and was not wearied by their creation, is able to give life to the dead!

Yes, He surely, is able to do all things. (46:33)

أَوَلَمْ يَرَ الاِنسَـنُ أَنَّا خَلَقْنَـهُ مِن نُّطْفَةٍ فَإِذَا هُوَ خَصِيمٌ مٌّبِينٌ

وَضَرَبَ لَنَا مَثَلً وَنَسِىَ خَلْقَهُ قَالَ مَن يُحىِ الْعِظَـمَ وَهِىَ رَمِيمٌ

قُلْ يُحْيِيهَا الَّذِى أَنشَأَهَأ أَوَّلَ مَرَّةٍ وَهُوَ بِكُلِّ خَلْقٍ عَلِيمٌ

الَّذِى جَعَلَ لَكُم مِّنَ الشَّجَرِ الاٌّخْضَرِ نَاراً فَإِذَا أَنتُم مِّنْه تُوقِدُونَ

أَوَلَـيْسَ الَذِى خَلَقَ السَّمَـوتِ وَالاٌّرْضَ بِقَـدِرٍ عَلَى أَن يَخْلُقَ مِثْلَهُم بَلَى وَهُوَ الْخَلَّـقُ الْعَلِيمُ

إِنَّمَأ أَمْرُهُ إِذَا أَرَادَ شَيْياً أَن يَقُولَ لَهُ كُن فَيَكُونُ

فَسُبْحَـنَ الَّذِى بِيَدِهِ مَلَكُوتُ كُلِّ شَىْءٍ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ

Does not man see that We have created him from Nutfah (drop of sperm). Yet behold he (stands forth) as an open opponent. And he puts forth for Us a parable, and forgets his own creation

He says:”Who will give life to these bones after they are rotten and have become dust”

Say:”He will give life to them Who created them for the first time! And He is the All-Knower of every creation!”

He Who produces for you fire out of the green tree, when behold you kindle therewith.

Is not He Who created the heavens and the earth, able to create the like of them!

Yes, indeed! He is the All-Knowing Supreme Creator.

Verily, His command, when He intends a thing, is only that He says to it, “Be!” – and it is!

So glorified is He and exalted above all that they associate with Him, and in Whose Hands is the dominion of all things:and to Him you shall be returned. (36:77-83)

Allah’s statement,

إِن يَشَأْ يُذْهِبْكُمْ وَيَأْتِ بِخَلْقٍ جَدِيدٍ

وَمَا ذَلِكَ عَلَى اللَّهِ بِعَزِيزٍ

If He wills, He can remove you and bring (in your place) a new creation! And for Allah that is not hard or difficult.

means, it is not hard or impossible for Allah to do that. Rather, it is easy for Him, that if you defy His order, He takes you away and brings in your place another creation who is unlike you.

Allah said in other Ayat,

يأَيُّهَا النَّاسُ أَنتُمُ الْفُقَرَاءُ إِلَى اللَّهِ وَاللَّهُ هُوَ الْغَنِىُّ الْحَمِيدُ

إِن يَشَأْ يُذْهِبْكُـمْ وَيَأْتِ بِخَلْقٍ جَدِيدٍ وَمَا ذَلِكَ عَلَى اللَّهِ بِعَزِيزٍ

O mankind!

It is you who stand in need of Allah. But Allah is Rich, Worthy of all praise. If He willed, He could destroy you and bring about a new creation. And that is not hard for Allah. (35:15-17)

الْفُقَرَاءُ وَإِن تَتَوَلَّوْاْ يَسْتَبْدِلْ قَوْماً غَيْرَكُمْ ثُمَّ لَا يَكُونُواْ

And if you turn away, He will exchange you for some other people and they will not be your likes. (47:38)

يأَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُواْ مَن يَرْتَدَّ مِنكُمْ عَن دِينِهِ فَسَوْفَ يَأْتِى اللَّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَهُ

O you who believe!

Whoever from among you turns back from his religion, Allah will bring a people whom He will love and they will love Him. (5:54)

and,

إِن يَشَأْ يُذْهِبْكُمْ أَيُّهَا النَّاسُ وَيَأْتِ بِـاخَرِينَ وَكَانَ اللَّهُ عَلَى ذلِكَ قَدِيراً

If He wills, He can take you away, O people, and bring others. And Allah is Ever All-Potent over that. (4:133).

Leave a Reply