أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book# 773)
সুরা: ইব্রাহিম
সুরা:১৪
৪৯-৫২ নং আয়াত:-
وَلِيَذَّكَّرَ أُوْلُواْ الَالْبَابِ ]
আর যাতে বুদ্ধিমানগণ উপদেশ গ্রহণ করে।
And that men of understanding may take heed.]
www.motaher21.net
الۡقَہَّارِ ﴿۴۸﴾ وَ تَـرَی الۡمُجۡرِمِیۡنَ یَوۡمَئِذٍ مُّقَرَّنِیۡنَ فِی الۡاَصۡفَادِ ﴿ۚ۴۹﴾
সেদিন তুমি অপরাধীদেরকে দেখবে শিকল দ্বারা বাঁধা অবস্থায়।
And you will see the criminals that Day bound together in shackles,
سَرَابِیۡلُہُمۡ مِّنۡ قَطِرَانٍ وَّ تَغۡشٰی وُجُوۡہَہُمُ النَّارُ ﴿ۙ۵۰﴾
তাদের জামা হবে আলকাতরার এবং অগ্নি আচ্ছন্ন করবে তাদের মুখমন্ডল।
Their garments of liquid pitch and their faces covered by the Fire.
لِیَجۡزِیَ اللّٰہُ کُلَّ نَفۡسٍ مَّا کَسَبَتۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ سَرِیۡعُ الۡحِسَابِ ﴿۵۱﴾
যাতে আল্লাহ প্রত্যেককে তার কৃতকর্মের প্রতিফল দিবেন। নিশ্চয় আল্লাহ হিসাব গ্রহণে তৎপর।
So that Allah will recompense every soul for what it earned. Indeed, Allah is swift in account.
ہٰذَا بَلٰغٌ لِّلنَّاسِ وَ لِیُنۡذَرُوۡا بِہٖ وَ لِیَعۡلَمُوۡۤا اَنَّمَا ہُوَ اِلٰہٌ وَّاحِدٌ وَّ لِیَذَّکَّرَ اُولُوا الۡاَلۡبَابِ ﴿٪۵۲﴾
এটা মানুষের জন্য এক বার্তা, আর যাতে এটা দ্বারা তাদেরকে সতর্ক করা হয় এবং তারা জানতে পারে যে, তিনিই কেবল এক সত্য ইলাহ্ আর যাতে বুদ্ধিমানগণ উপদেশ গ্রহণ করে।
This [Qur’an] is notification for the people that they may be warned thereby and that they may know that He is but one God and that those of understanding will be reminded.
৪৯-৫২ নং আয়াতের তাফসীর:
প্রথম আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বর্ণনা করেছেন, কিয়ামতের দিন পাপিষ্ট কাফিররা শিকলে বাঁধা থাকবে, অপমানস্বরূপ তাদেরকে এ শাস্তি দেয়া হবে। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা তাদের এরূপ অপমানকর অবস্থা তুলে ধরে বলেন:
(وَإِذَآ أُلْقُوْا مِنْهَا مَكَانًا ضَيِّقًا مُّقَرَّنِيْنَ دَعَوْا هُنَالِكَ ثُبُوْرًا)
“এবং যখন তাদেরকে শৃংখলিত অবস্থায় কোন সংকীর্ণ স্থানে নিক্ষেপ করা হবে তখন তারা তথায় ধ্বংস কামনা করবে।” (সূরা ফুরকান ২৫:১৩) الْأَصْفَادِ অর্থ শিকল, বেড়ী।
দ্বিতীয় আয়াতে বলেন যে, তাদের জামা হবে আলকাতরার যাতে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং আগুনের তাপ খুব কঠিন হয়। আগুন তাদের মুখমণ্ডল পর্যন্ত আচ্ছন্ন করে নিবে, ফলে পুড়ে এমন অবস্থা হবে যে, তাদেরকে চেনা যাবে না।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(تَلْفَحُ وُجُوْهَهُمُ النَّارُ وَهُمْ فِيْهَا كٰـلِحُوْنَ)
“অগ্নি তাদের মুখমণ্ডল দগ্ধ করবে এবং তারা তথায় থাকবে বীভৎস চেহারায়; (সূরা মু’মিনুন ২৩:১০৪)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন আমার উম্মাতের মাঝে জাহিলী যুগের চারটি বৈশিষ্ট্য থাকবে যা তারা বর্জন করবে না। তা হল
(১) আভিজাত্যের গৌরব করা,
(২) বংশকে গালিগালাজ করা,
(৩) তারকার মাধ্যমে বৃষ্টি প্রার্থনা করা এবং
(৪) মৃত ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে বিলাপ করা। জেনে রেখ, মৃত ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে বিলাপকারিণী মহিলা যদি মৃত্যুর পূর্বে তাওবা না করে মারা যায় তাহলে তাকে আলকাতরার জামা এবং খোস-পাঁচড়ার দোপাট্টা পরিধান করানো হবে।
(সহীহ মুসলিম হা: ৯৩৪)
তৃতীয় আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন: তিনি এ কাজগুলো এ জন্য করবেন, যাতে তিনি প্রত্যেককে তাদের যথাযথ প্রতিদান দিতে পারেন। কারো প্রতি যেন জুলুম না হয়ে যায়। আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেককে তাদের কৃত-কর্মের ফলাফল পূর্ণ মাত্রায় দান করবেন। আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(فَمَنْ يَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَّرَه۫ ط وَمَنْ يَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَّرَه۫)
“অতঃপর কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলেও তা দেখতে পাবে, এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে।” (সূরা যিলযাল ৯৯:৭-৮)
সুতরাং যে ব্যক্তি যে প্রতিদান পেয়েছে সে জন্য যেন অন্য কাউকে তিরস্কার না করে। কারণ আল্লাহ তা‘আলা কারো প্রতি অনুপরিমাণও জুলুম করবেন না।
هٰذَا بَلٰغٌ বার্তা- বলতে কুরআনকে বুঝানো হয়েছে, অর্থাৎ এ কুরআন মানুষের জন্য বার্তা, যদি কুরআনের বার্তা শুনে ঈমান আনে তাহলে কুরআন তার জন্য সুসংবাদ দিবে, আর যদি বার্তা শুনে মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে কুরআন তাকে জাহান্নামের বিষয়ে সতর্ক করবে, তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। সুতরাং এ কুরআন দিয়ে অবাধ্যদেরকে আল্লাহ তা‘আলার শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করা হবে। কুরআন নাযিল করার অন্যতম আরো হিকমত হল যে, মানুষ যাতে জেনে নিতে পারে আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া সত্য কোন মা‘বূদ নেই। কুরআনে এ ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং যাতে বুদ্ধিমানগণ এ কুরআন থেকে উপদেশ গ্রহণ করতে পারে।
প্রথম হিকমতের দিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(كِتٰبٌ أُحْكِمَتْ اٰيٰتُه۪ ثُمَّ فُصِّلَتْ مِنْ لَّدُنْ حَكِيْمٍ خَبِيْرٍ لا أَلَّا تَعْبُدُوْآ إِلَّا اللّٰهَ)
“এটা এমন গ্রন্থ যার আয়াতগুলো সুদৃঢ়, অতঃপর বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞের পক্ষ থেকে। তোমরা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের ইবাদত করবে না।” (সূর হূদ ১১:১-২)
দ্বিতীয় হিকমতের দিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(كِتٰبٌ أَنْزَلْنٰهُ إِلَيْكَ مُبَارَكٌ لِّيَدَّبَّرُوْآ اٰيٰتِه۪ وَلِيَتَذَكَّرَ أُولُوا الْأَلْبَابِ)
“(এ কুরআন) একটি বরকতময় কিতাব, আমি তা তোমার প্রতি নাযিল করেছি যেন মানুষ এর আয়াতসমূহ অনুধাবন করে এবং জ্ঞানবান লোকেরা উপদেশ গ্রহণ করে।” (সূরা স্ব-দ ৩৮:২৯)
সুতরাং যারা কুরআন থেকে শিক্ষা নেয় তারাই প্রকৃত জ্ঞানী তাই বলতে পারি জ্ঞানী হওয়ার মানদণ্ড হল কুরআনকে গ্রহণ করা। যার মাঝে কুরআনের জ্ঞান নেই সে প্রকৃত জ্ঞানী নয়। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে কুরআন থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রকৃত জ্ঞানী হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমীন!
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. অপরাধীদেরকে কিয়ামতের দিন শিকল দ্বারা বেঁধে রাখা হবে।
২. জাহান্নামীদের পোশাক হবে আলকাতরার।
৩. অগ্নি তাদের মুখমণ্ডল বেষ্টন করে রাখবে।
৪. প্রত্যেককে তার কাজের সঠিক ফলাফল দান করা হবে।
৫. মৃত ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে কান্নাকাটি করা, বিলাপ করা জাহেলী যুগের কাজ, যা ইসলামে হারাম।
৬.কুরআন মাজীদ মানবজাতির জন্য একটি সতর্কবার্তা এবং জ্ঞানী লোকদের জন্য উপদেশবাণী।
৭. আল্লাহ তা‘আলাই সত্যিকার মা‘বূদ বা ইবাদতের হকদার।
তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
৪৯-৫২ নং আয়াতের তাফসীর
আল্লাহ তাআলা বলছেনঃ “কিয়ামতের দিন যমীন ও আসমান তো পরিবর্তিত হয়ে যাবে এবং সমস্ত মাখলূক আল্লাহ তাআলার সামনে দাঁড়িয়ে থাকবে। হে নবী (সঃ)! ঐ দিন তুমি পাপী ও অপরাধীদেরকে শৃংখলিত অবস্থায় দেখতে পাবে। সর্বপ্রকারের গুনাহগার পরস্পরের সাথে মিলিতভাবে থাকবে। যেমন মহান আল্লাহ বলেন (আরবি) অর্থাৎ “একত্রিত কর যালিম ও ওদের সহচরদেরকে।” (৩৭:২২) আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “দেহে যখন আত্মা পুনঃসংযোজিত হবে।” (৮১:৭)
অন্য এক জায়গায় বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “আর যখন তাদেরকে শৃংখলিত অবস্থায় ওর কোন সংকীর্ণ স্থানে। নিক্ষেপ করা হবে তখন তারা তথায় ধ্বংস কামনা করবে।” (২৫:১৩) আরো বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ এবং শয়তানদেরকে যারা সবাই ছিল প্রাসাদ নির্মাণকারী ও ডুবুরী। আর শৃংখলে আবদ্ধ আরো অনেক কে।” (৩৮:৩৭-৩৮) (আরবি) বলা হয়। বন্দীত্বের শৃংখলকে। ইবনু কুলসুমের কবিতায় (আরবি) এর অর্থ করা হয়েছে শৃংখলে আবদ্ধ বন্দী তাদেরকে যে কাপড় পরিধান করানো হবে তাহবে গন্ধক বা আলকাতরা দ্বারা তৈরী, যা উঁটকে লাগানো হয়। তাতে তাড়াতাড়ি আগুন ধরে যায়। এ শব্দটি (আরবি) ও (আরবি) আছে এবং ও আছে। হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, গলিত তামাকে ‘কাতরান’ বলে। ঐ কঠিন গরম আগুনের মত তামা জাহান্নামীদের পোষাক হবে। আগুন তাদের মুখমণ্ডলকে আচ্ছন্ন করবে। মাথা থেকে অগ্নিশিখা উপরের দিকে উঠতে থাকবে। চেহারা বিকৃত হয়ে যাবে।
হযরত আবু মালিক আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আমার উম্মতের মধ্যে এমন চারটি কাজ রয়েছে যা তারা পরিত্যাগ করবে না। ১, আভিজাত্যের গৌরব করা, ২, অন্যের বংশকে বিদ্রুপ করা, ৩. নক্ষত্রের মাধ্যমে পানি চাওয়া, ৪. মৃতের উপর বিলাপ করা। জেনে রেখো যে, মৃতের উপর বিলাপকারিণী মহিলা যদি তার মৃত্যুর পূর্বে তাওবা না করে তবে কিয়ামতের দিন তাকে আলকাতরার জামা ও খোস পাচড়ার দোপাট্টা (উত্তরীয়) পরানো হবে।” (এ হাদীসটি ইমাম আহমদ (রঃ) স্বীয় মুসনাদে এবং ইমাম মুসলিম (রঃ) স্বীয় সহীহ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন)
অন্য একটি রিওয়াইয়াতে আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “বিলাপকারিণী যদি তাওবা না করেন তবে তাকে জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যস্থলে দাঁড় করানো হবে, আর তাকে পরানো হবে আলকাতরার জামা এবং অগ্নি তার মুখমণ্ডলকে আচ্ছন্ন করবে।”
মহান আল্লাহর উক্তিঃ “এটা এই জন্যে যে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন) প্রত্যেকের কৃতকর্মের প্রতিফল দিবেন। মন্দ লোকদের মন্দ কর্ম তাদের সামনে এসে যাবে। আল্লাহ তাআলা স্বীয় বান্দাদের হিসাব গ্রহণে খুবই তৎপর সত্বরই তিনি তাদের হিসাব গ্রহণ পর্ব শেষ করবেন।” সম্ভবতঃ এটা আল্লাহ তাআলার নিম্নের উক্তির মতইঃ (আরবি) অর্থাৎ “মানুষের হিসাব নিকাশের সময় আসন্ন, কিন্তু তারা উদাসীনতায় মুখ ফিরিয়ে রয়েছে।” (২১:১) আবার এরও সম্ভাবনা রয়েছে যে, এটা বান্দার হিসাব গ্রহণের সময়ের বর্ণনা অর্থাৎ তাড়াতাড়ি হিসাব গ্রহণ পর্ব শেষ হয়ে যাবে। কেন না, তিনি সব কিছুই জানেন এবং তাঁর কাছে কোন কিছুই গোপন নেই। সারা মাখলুককে সৃষ্টি করা ও তাদের মৃত্যু ঘটিয়ে পুনরুত্থান করা তাঁর কাছে একজনের মতই। যেমন তিনি বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “তোমাদের সকলের সৃষ্টি ও মৃত্যুর পরে পুনরুত্থান আমার কাছে এমনই (সহজ) যেমন তোমাদের একজনকে মারা ও জীবিত করা।” (৩১:২৮) হযরত মুজাহিদের (রঃ) উক্তির অর্থ এটাই যে, হিসাব গ্রহণে আল্লাহ তাআ’লা খুবই তাড়াতাড়িকারী। আবার অর্থ দু’টোই হতে পারে। অর্থাৎ হিসাবের সময়ও নিকটবর্তী এবং হিসাবে আল্লাহ তাআলার বিলম্বও নেই। এদিকে শুরু হলো এবং ওদিকে শেষ হয়ে গেল। এ সব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সর্বাধিক সঠিক জ্ঞানের অধিকারী।
আল্লাহ তাআলা বলেছেন, এই কুরআন কারীম দুনিয়ায় মহান আল্লাহর স্পষ্ট পয়গাম। যেমন অন্য জায়গায় তিনি বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “যেমন আমি (মুহাম্মদ (সঃ)-এই কুরআনের মাধ্যমে তোমাদেরকে ভয় প্রদর্শন করি এবং তাদেরকেও যাদের কাছে এটা পৌছে।” (৬:১৯) অর্থাৎ সমস্ত মানব ও দানবকে। যেমন এই সূরারই প্রারম্ভে আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “আলিফ লাম রা, এই কিতাব, এটা আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি যাতে তুমি মানব জাতিকে তাদের প্রতিপালকের নির্দেশক্রমে বের করে আনতে পার (অজ্ঞতার অন্ধকার হতে (হিদায়াতের আলোকের দিকে।” (১৪:১)
এই কুরআন কারীমের উদ্দেশ্য এই যে, এর দ্বারা মানব জাতিকে সতর্ক করা ও ভয় প্রদর্শন করা হবে এবং তারা যেন এর হুজ্জত ও দলীল প্রমাণাদি দেখে, পড়ে এবং পড়িয়ে যথার্থভাবে অবহিত হতে পারে যে, আল্লাহ তাআ’লাই একমাত্র উপাসনার যোগ্য। তিনি এক ও অদ্বিতীয়। ও বোধশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তিরা এটা অনুধাবন করতঃ এর থেকে উপদেশ গ্রহণ করতে পারে।
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- Ibrahim
Sura: 14
Verses :- 49-52
وَلِيَذَّكَّرَ أُوْلُواْ الَالْبَابِ ]
And that men of understanding may take heed.]
The Condition of the criminals on the Day of Resurrection
Allah said,
وَتَرَى الْمُجْرِمِينَ يَوْمَيِذٍ مُّقَرَّنِينَ فِي الَاصْفَادِ
And you will see the criminals that Day, Muqarranun (bound together) in fetters.
Allah said,
يَوْمَ تُبَدَّلُ الَارْضُ غَيْرَ الَارْضِ وَالسَّمَاوَاتُ
(On the Day when the earth will be changed to another earth and so will be the heavens) `and the creations will be brought before their Lord, and you, O Muhammad, will witness the criminals who committed the crimes of Kufr and mischief,’
مُّقَرَّنِينَ
(Muqarranin),
bound together, each with his or her like, just as Allah said,
احْشُرُواْ الَّذِينَ ظَلَمُواْ وَأَزْوَجَهُمْ
Assemble those who did wrong, together with their companions. (37:22)
وَإِذَا النُّفُوسُ زُوِّجَتْ
And when the souls are joined with their bodies. (81:7)
وَإَذَا أُلْقُواْ مِنْهَا مَكَاناً ضَيِّقاً مُّقَرَّنِينَ دَعَوْاْ هُنَالِكَ ثُبُوراً
And when they shall be thrown into a narrow place thereof, chained together, they will exclaim therein for destruction. (25:13)
and,
وَالشَّيَـطِينَ كُلَّ بَنَّأءٍ وَغَوَّاصٍ
وَءَاخَرِينَ مُقَرَّنِينَ فِى الاٌّصْفَادِ
And also the Shayatin from the Jinn (including) every kind of builder and diver, and also others bound in fetters. (38:37-38)
Allah said next.
سَرَابِيلُهُم مِّن قَطِرَانٍ
Their garments will be of Qatiran (pitch),
that is used to coat camels.
Qatadah commented that;
Qatiran (tar) is one of the fastest objects to catch fire.
Ibn Abbas used to say that;
the Qatiran, mentioned in the Ayah, is dissolved lead.
It is possible that;
this Ayah reads as:
سَرَابِيلُهُمْ مِنْ
قَطِرَانٍ
referring to heated lead that has reached tremendous heat, according to Mujahid, Ikrimah, Sa’id bin Jubayr Al-Hasan and Qatadah.
Allah said next,
وَتَغْشَى وُجُوهَهُمْ النَّارُ
and fire will cover their faces,
which is similar to His other statement,
تَلْفَحُ وُجُوهَهُمُ النَّارُ وَهُمْ فِيهَا كَـلِحُونَ
The Fire will burn their faces, and therein they will grin, with displaced lips. (23:104)
Imam Ahmad recorded that Yahya bin Abi Ishaq said that Aban bin Yazid said that Yahya bin Abi Kathir said that Zayd bin Abi Salam said that Abu Malik Al-Ash`ari said that the Messenger of Allah said,
أَرْبَعٌ فِي أُمَّتِي مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ لَا يَتْرُكُونَهُنَّ
الْفَخْرُ بِالاَْحْسَابِ
وَالطَّعْنُ فِي الاْاَنْسَابِ
وَالاْاسْتِسْقَاءُ بِالنُّجُومِ
وَالنِّيَاحَةُ عَلَى الْمَيِّتِ
وَالنَّايِحَةُ إِذَا لَمْ تَتُبْ قَبْلَ مَوْتِهَا تُقَامُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَعَلَيْهَا سِرْبَالٌ مِنْ قَطِرَانٍ وَدِرْعٌ مِنْ جَرَب
Four characteristics from the time of Jahiliyyah will remain in my Ummah, since they will not abandon them:
boasting about their family lineage,
discrediting family ties,
seeking rain through the stars, and
wailing for their dead.
Verily, if she who wails, dies before she repents from her behavior, she will be resurrected on the Day of Resurrection while wearing a dress of Qatiran and a cloak of mange.
Muslim collected this Hadith.
Allah said next.
لِيَجْزِي اللّهُ كُلَّ نَفْسٍ مَّا كَسَبَتْ
That Allah may requite each person according to what he has earned.
meaning, on the Day of Resurrection.
Allah said in another Ayah,
لِيَجْزِىَ الَّذِينَ أَسَاءُواْ بِمَا عَمِلُواْ
That He may requite those who do evil with that which they have done. (53:31)
Allah said here,
إِنَّ اللّهَ سَرِيعُ الْحِسَابِ
Truly, Allah is swift at reckoning.
when He wills to reckon a servants of His, for He knows everything and nothing ever escapes His observation. Verily, His power over all of His creation is the same as His power over one creature,
مَّا خَلْقُكُمْ وَلَا بَعْثُكُمْ إِلاَّ كَنَفْسٍ وَحِدَةٍ
The creation of you all and the resurrection of you all are only as a single person. (31:28)
And this is why Mujahid said,
سَرِيعُ الْحِسَابِ
(swift at reckoning),
means “keeping count.
Allah states;
هَـذَا بَلَغٌ لِّلنَّاسِ
This (Qur’an) is a Message for mankind (and a clear proof against them),
لااٌّنذِرَكُمْ بِهِ وَمَن بَلَغَ
(So) that I may therewith warn you and whomsoever it may reach. (6:19)
This Qur’an is for all mankind and the Jinns, just as Allah said in the beginning of this Surah,
الَركِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ إِلَيْكَ
لِتُخْرِجَ النَّاسَ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ
Alif-Lam-Ra. (This is) a Book which We have revealed unto you in order that you might lead mankind out of darkness into light. (14:1)
Allah said next,
وَلِيُنذَرُواْ بِهِ
in order that they may be warned thereby,
or to receive and draw lessons from it,
وَلِيَعْلَمُواْ أَنَّمَا هُوَ إِلَـهٌ وَاحِدٌ
and that they may know that He is the only One God,
using its proofs and evidences that testify that there is no true deity except Allah,
وَلِيَذَّكَّرَ أُوْلُواْ الَالْبَابِ
and that men of understanding may take heed.
meaning those who have good minds.
This is the end of the Tafsir of Surah Ibrahim, and all praise is due to Allah.