(Book# 783) সুরা: হিজর সুরা:১৫ ৮৫-৮৬ নং আয়াত:- [ فَاصْفَحِ الصَّفْحَ الْجَمِيلَ কাজেই আপনি পরম সৌজন্যের সাথে ওদেরকে ক্ষমা করুন। So overlook their faults with gracious forgiveness.] www.motaher21.net

أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ

(Book# 783)
সুরা: হিজর
সুরা:১৫
৮৫-৮৬ নং আয়াত:-
[ فَاصْفَحِ الصَّفْحَ الْجَمِيلَ
কাজেই আপনি পরম সৌজন্যের সাথে ওদেরকে ক্ষমা করুন।
So overlook their faults with gracious forgiveness.]
www.motaher21.net
وَ مَا خَلَقۡنَا السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ وَ مَا بَیۡنَہُمَاۤ اِلَّا بِالۡحَقِّ ؕ وَ اِنَّ السَّاعَۃَ لَاٰتِیَۃٌ فَاصۡفَحِ الصَّفۡحَ الۡجَمِیۡلَ ﴿۸۵﴾
আর আসমান, যমীন ও তাদের মাঝে অবস্থিত কোন কিছুই যথার্থতা ছাড়া সৃষ্টি করিনি এবং নিশ্চয় কিয়ামত আসবেই। কাজেই আপনি পরম সৌজন্যের সাথে ওদেরকে ক্ষমা করুন।
And We have not created the heavens and earth and that between them except in truth. And indeed, the Hour is coming; so forgive with gracious forgiveness.
اِنَّ رَبَّکَ ہُوَ الۡخَلّٰقُ الۡعَلِیۡمُ ﴿۸۶﴾
নিশ্চয় তোমার প্রতিপালকই মহাস্রষ্টা, মহাজ্ঞানী।
Indeed, your Lord – He is the Knowing Creator.

সুরা: হিজর
সুরা:১৫
৮৫-৮৬ নং আয়াত:-
[ فَاصْفَحِ الصَّفْحَ الْجَمِيلَ
কাজেই আপনি পরম সৌজন্যের সাথে ওদেরকে ক্ষমা করুন।
So overlook their faults with gracious forgiveness.]
www.motaher21.net

৮৫-৮৬ নং আয়াতের তাফসীর: –
তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বর্ণনা করেছেন যে, তিনি আকাশ-জমিন অযথা সৃষ্টি করেননি। তিনি কিয়ামত সংঘটিত করে সৎকর্মপরায়ণ ব্যক্তিদেরকে উত্তম প্রতিদান দেবেন এবং যারা অন্যায় করবে তাদের কর্মের উপযুক্ত প্রতিদান দেবেন।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

(وَلِلّٰهِ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ لا لِيَجْزِيَ الَّذِيْنَ أَسَا۬ءُوْا بِمَا عَمِلُوْا وَيَجْزِيَ الَّذِيْنَ أَحْسَنُوْا بِالْحُسْنٰي)

“আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা আল্লাহরই। যাতে করে যারা মন্দ আমল করে তাদেরকে তিনি দেন মন্দ ফল এবং যারা সৎ আমল করে তাদেরকে তিনি দেন উত্তম প্রতিদান।” (সূরা নাজম ৫৩:৩১)

আল্লাহ তা‘আলা অনর্থক আকাশ-জমিন সৃষ্টি করেছের এরূপ ধারণা কাফিরদের।

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:

(وَمَا خَلَقْنَا السَّمَا۬ءَ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا بَاطِلًا ط ذٰلِكَ ظَنُّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا ج فَوَيْلٌ لِّلَّذِيْنَ كَفَرُوْا مِنَ النَّارِ)‏

“আর আমি আসমান, জমিন এবং উভয়ের মধ্যে অবস্থিত কোন কিছুই অনর্থক সৃষ্টি করিনি; এরূপ ধারণা তো তাদের যারা কাফির। সুতরাং কাফিরদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের দুর্ভোগ।” (সূরা সোয়াদ ৩৮:২৭)

আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:

(أَفَحَسِبْتُمْ أَنَّمَا خَلَقْنٰكُمْ عَبَثًا وَّأَنَّكُمْ إِلَيْنَا لَا تُرْجَعُوْنَ)‏

“তোমরা কি মনে করেছিলে যে, আমি তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে না?’’ (সূরা মু’মিনুন ২৩:১১৫-১১৬) আর কিয়ামত অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

(إِنَّ السَّاعَةَ اٰتِيَةٌ أَكَادُ أُخْفِيْهَا لِتُجْزٰي كُلُّ نَفْسٍۭ بِمَا تَسْعٰي)‏

“কিয়ামত অবশ্যম্ভাবী, আমি এটা গোপন রাখতে চাই যাতে প্রত্যেকেই নিজ কর্মানুযায়ী ফল লাভ করতে পারে।” (সূরা ত্বহা ২০:১৫)

এরূপ সূরা হাজ্জের ৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে।

অতএব নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, কিয়ামত সংঘটিত হবেই। কাফিররা যতই অস্বীকার করুক না কেন কেউ তা প্রতিহত করতে পারবে না।

(فَاصْفَحِ الصَّفْحَ الْجَمِيْلَ….)

এখানে বলা হচ্ছে যে, কাফির-মুশরিকরা যতই অবাধ্যতামূলক আচরণ করুক না কেন, তিনি যেন তাদেরকে ক্ষমা করে দেন।

যেমন আল্লাহ তা‘আলা অন্য জায়গায় বলেন:

(فَاصْفَحْ عَنْهُمْ وَقُلْ سَلٰمٌ ط فَسَوْفَ يَعْلَمُوْنَ ‏)‏

“সুতরাং তুমি তাদেরকে উপেক্ষা কর এবং বল: সালাম; তারা শীঘ্রই জানতে পারবে।” (সূরা যুখরুফ ৪৩:৮৯)

অতএব তুমি তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করে যাও, তাদের কী পরিণাম তা তারা অচিরেই জানতে পারবে। কতক আলেম বলেছেন: আর এটা ছিল জিহাদ ফরয হওয়ার পূর্বে। সুতরাং জিহাদ ফরয হওয়ার পর এ বিধান রহিত হয়ে গেছে।

هُوَ الْخَلَّاقُ الْعَلِيْمُ…))

এখানে আল্লাহ তা‘আলার ক্ষমতা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, আকাশে ও জমিনে তাঁকে অপারগ করার মত কোন কিছুই নেই। তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। তিনি মানুষকে প্রথমবার যেমন সৃষ্টি করেছেন তেমনি দ্বিতীয় বার হিসাব-নিকাশের জন্য সৃষ্টি করবেন।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

(قُلْ يُحْيِيْهَا الَّذِيْٓ أَنْشَأَهَآ أَوَّلَ مَرَّةٍ ط وَهُوَ بِكُلِّ خَلْقٍ عَلِيْمُ)‏

“বলুন! তিনিই এগুলোকে আবার জীবিত করবেন, যিনি তা প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন। আর যিনি সর্বপ্রকার সৃষ্টি সম্পর্কে সম্যক অবগত আছেন।” (সূরা ইয়াসীন ৩৬:৭৯)

সুতরাং এমন কোন কাজ নেই যা আল্লাহ তা‘আলার কাছে অসম্ভব, তিনি যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন।

আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

১. আকাশ মণ্ডলী ও পৃথিবী অযথা সৃষ্টি করা হয়নি।
২. মানুষের সাথে উত্তম ব্যবহার করতে হবে যদিও সে একজন অসৎ লোক হয়।
৩. আল্লাহ তা‘আলাই সকল ক্ষমতার অধিকারী, তাঁর উপর কোনই ক্ষমতাবান নেই।

তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
# নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সান্তনা দেবার জন্য একথা বলা হচ্ছে। এর অর্থ হচ্ছে, বর্তমানে বাতিলের যে আপাত পরাক্রম ও বিজয় তুমি দেখতে পাচ্ছো এবং হকের পথে যেসব সমস্যা ও সংকটের মুখোমুখি তোমাকে হতে হচ্ছে এতে ভয় পেলে চলবে না। এটি একটি সাময়িক অবস্থা মাত্র। এ অবস্থা সবসময় এবং চিরকাল থাকবে না। কারণ পৃথিবী ও আকাশের সমগ্র ব্যবস্থা হকের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, বাতিলের ওপর নয়। বিশ্ব-জাহানের প্রকৃতি হকের সাথে সামঞ্জস্যশীল, বাতিলের সাথে নয়। কাজেই এখানে যদি অবস্থান ও স্থায়িত্বের অবকাশ থাকে তাহলে তা আছে হকের জন্য, বাতিলের জন্য নয়।
# স্রষ্টা হিসেবে তিনি নিজের সৃষ্টির ওপর পূর্ণ প্রভাব ও প্রতিপত্তির অধিকারী। তাঁর পাকড়াও থেকে আত্মরক্ষা করার ক্ষমতা কোন সৃষ্টির নেই। আবার এর সঙ্গে তিনি পুরোপুরি সজাগ ও সচেতনও। তুমি এদের সংশোধনের জন্য যা কিছু করছো তাও তিনি জানেন এবং যেসব চক্রান্ত দিয়ে এরা তোমার সংস্কার কার্যাবলীকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে সেগুলো সম্পর্কেও তিনি অবগত। কাজেই তোমার ঘাবড়াবার এবং অধৈর্য হবার প্রয়োজন নেই। নিশ্চিন্ত থাকো। সময় হলে ন্যায্য ফায়সালা চুকিয়ে দেয়া হবে।

ফী জিলালিল কুরআনে বলেছেন:-

এরপর আলােচ্য সূরার শেষের দিকে এসেছে এক মহাসত্যের বর্ণনা, যে মহানসত্য আসমান ও যমীন তথা নিখিল বিশ্বের সৃষ্টির মাধ্যমে প্রকাশ পায়, সন্দেহাতীতভাবে আসন্ন কেয়ামতের মাধ্যমে প্রকাশ পায় এবং রসূল(স.)-এর মহান রেসালাতের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এই সব কিছুই সেই মহা সত্যের সাথে সম্পৃক্ত এবং এর পরিচয় বহনকারী এসব কিছুর মাঝেই ওই মহাসত্যের অস্তিত্ব বিকাশমান। এই দৃশ্যমান গােটা জগত একজন বিজ্ঞ ও শক্তিধর স্রষ্টার অস্তিত্ব ঘােষণা করে, আর সেই মহান স্রষ্টা হচ্ছেন স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা। কাজেই মহাসত্য আপন পথেই চলবে এবং এই সত্যের প্রচারকার্যও আপন পথেই চলবে । এই সত্যের পথে যারা আহ্বান করবে তারা কখনও মােশরেকদের বিদ্রুপ ও হাসি-ঠাট্টাকে আমলে আনবে না, কোনাে পরােয়া করবে না। আল্লাহর চিরন্তন নিয়ম তার নিজস্ব গতি ও পথেই চলছে। এর কোনাে ব্যতিক্রম নেই। গােটা সৃষ্টি জগত একজন মহান স্রষ্টারই স্বাক্ষ্য বহন করছে। আলােচ্য সূরাটি এই মহাসত্যটির প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সমাপ্ত হচ্ছে। আলােচ্য আয়াতের বক্তব্য অত্যন্ত গভীর ও তাৎপর্যপূর্ণ। বিস্ময়কর এর বর্ণনা ভংগী। আয়াতটি অত্যন্ত সুস্পষ্ট ভাষায় ঘােষণা করছে যে, এই গােটা সৃষ্টি জগতের পরিকল্পনা সত্যিই তাৎপর্যপূর্ণ, এর পরিচালনা পদ্ধতি তাৎপর্যপূর্ণ এবং সর্বোপরি এই গােটা বিশ্বের পরিণতি এবং এর মাঝে যা কিছু আছে ও বিচরণ করছে-এ সবের পরিণতির বিষয়টিও গভীর তাৎপর্যপূর্ণ।  *কোনাে সৃষ্টি অনর্থক নয় : গোটা সৃষ্টি জগতের পরিকল্পনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ তা নিছক এমনিই সৃষ্টি করা হয়নি, অনুমানের ওপর ভিত্তি করে সৃষ্টি করা হয়নি এবং এর পরিকল্পনায় সামান্যতম কোনাে খুঁত ছিলাে না, কোনাে খাদ ছিলাে না, ছিলাে না কোনাে ত্রুটি-বিচ্যুতি। এর গঠন প্রণালী তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ যে জিনিস দ্বারা এর সৃষ্টি সেগুলাের বাস্তব ও কার্যকর উপাদান, কোনােটাই অনর্থক নয়, কোনাে কল্পিত বা জালিয়াতপূর্ণ উপাদান নয়। তাছাড়া যে প্রাকৃতিক নিয়ম-নীতি দ্বারা এসব উপাদান নিয়ন্ত্রিত ও গঠিত সেগুলােও সত্য ও তাৎপর্যপূর্ণ। এই নিয়ম-নীতি অনড়, অটল ও অবিচল। এর মাঝে কোনাে ব্যতিক্রম নেই, কোনাে গােলযােগ নেই এবং কোনাে পরিবর্তনও নেই। এই সৃষ্টি জগতের পরিচালনাও তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এই পরিচালনার পেছনে সত্য, সঠিক ও ভারসাম্যপূর্ণ নিয়ম নীতি কাজ করছে, মনগড়া কোনাে নিয়ম নীতি এখানে নেই। এই সৃষ্টি জগতের পরিণতিও তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এই পরিণতি ও শেষ ফলাফল ওই ভারসাম্যপূর্ণ ও চিরন্তন নিয়ম নীতির অধীনেই ঘটবে। নিখিল বিশ্বে যে পরিবর্তন ঘটছে তা সঠিক ভাবেই ঘটছে এবং যথার্থ নিয়মেই ঘটছে। কাজেই আল্লাহর এক ও অভিন্ন অমােঘ বিধানের অধীনেই প্রতিটি কাজের শেষ ফলাফল নির্ণীত হবে। যে মহাসত্যের সাথে নিখিল বিশ্বের সৃষ্টির বিষয়টি সম্পৃক্ত, সেই সত্যের সাথেই কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার বিষয়টিও সম্পৃক্ত। গােটা সৃষ্ট জগত যে সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত সেই সত্যেরই একটি অংশ হচ্ছে কেয়ামতের আগমনের বিষয়টি। কাজেই এই কেয়ামত স্বয়ং একটি সন্দেহাতীত বাস্তব বিষয়। এই সত্যকে যারা প্রত্যাখ্যান করছে বা অস্বীকার করছে তাদের আচার আচরণ ও কথাবার্তার প্রতি ভ্রুক্ষেপ করার তােমার আদৌ কোনাে প্রয়ােজন নেই। সত্য চিরকালই সত্য থাকবে। তােমার প্রভুই হচ্ছেন স্রষ্টা ও সর্বজ্ঞ। তিনি কেবল সৃষ্টিই করেন না, বরং যা সৃষ্টি করেন তার সকল বিষয় সম্পর্কে তিনি পরিপূর্ণ ওয়াকিবহাল। গােটা সৃষ্টি জগত তার সৃষ্টি নৈপুণ্যেরই সাক্ষ্য বহন করে। তিনিই প্রকৃত সত্য। এই সত্য থেকেই সব কিছুর অস্তিত্ব উৎসারিত এবং এই সত্যের মাঝেই সব কিছুর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। তিনি ব্যতীত আর সব কিছুরই অস্তিত্ব ক্ষণস্থায়ী মায়া ও কুহেলিকা, কাজেই সেগুলাে লয়প্রাপ্ত ও ধ্বংস হতে বাধ্য। কিন্তু গােটা সৃষ্টি জগতের অন্তরালে যে মহাসত্য সদা বিরাজমান, তার কোনাে লয় নেই, ক্ষয় নেই, ধ্বংস নেই। সেই মহা সত্যের আলাে থাকবে চির ভাঙ্কর ও অবিনশ্বর।

তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
৮৫-৮৬ নং আয়াতের তাফসীর

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ ‘আমি সমস্ত মাখলুককে ন্যায়ের সাথে সৃষ্টি করেছি। কিয়ামত অবশ্যই সংঘটিত হবে। মন্দলোকেরা মন্দ প্রতিদান এবং ভাল লোকেরা ভাল প্রতিদান প্রাপ্ত হবে। মাখলুককে বৃথা সৃষ্টি করা হয় নাই। এইরূপ ধারণা কাফিররাই করে থাকে এবং তাদের জন্যে অয়েল নামক জাহান্নাম রয়েছে। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ “তোমরা কি মনে করেছিলে যে, আমি তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে না? মহিমান্বিত আল্লাহ যিনি প্রকৃত মালিক, তিনি ব্যতীত কোন মাবুদ নেই; সম্মানিত আরশের তিনি অধিপতি।”

অতঃপর আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবীকে (সঃ) নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তিনি যেন পরম সৌজন্যের সাথে মুশরিকদেরকে ক্ষমা করে দেন। আর তিনি যেন তাদের দেয়া কষ্ট এবং তাদের মিথ্যা প্রতিপন্নকরণ সহ্য করে নেন। যেমন অন্য আয়াতে রয়েছেঃ “তাদেরকে সৌজন্যের সাথে ক্ষমা করে দাও এবং সালাম বলো, তারা সত্বরই জানতে পারবে।” এই নির্দেশ জিহাদ ফরয হওয়ার পূর্বে ছিল। এটা হচ্ছে মক্কী আয়াত আর জিহাদ ফরজ হয়েছে মদীনায় হিজরতের পর।

মহান আল্লাহ বলেনঃ “নিশ্চয় তোমার প্রতিপালকই মহাস্রষ্টা, মহাজ্ঞানী। ইতস্ততঃ ছড়িয়ে পড়া অনু পরমাণুকেও তিনি একত্রিত করতঃ তাতে জীবন দানে সক্ষম।” যেমন তিনি অন্য জায়গায় বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি সেগুলির অনুরূপ সৃষ্টি করতে সমর্থ নন? হ্যা, নিশ্চয়ই তিনি মহা স্রষ্টা, সর্বজ্ঞ। তাঁর ব্যাপারে শুধু এই যে, তিনি যখন কোন কিছুর ইচ্ছা করেন, তিনি ওকে বলেনঃ ‘হও’, ফলে তা হয়ে যায়। অতএব পবিত্র ও মহান তিনি যার হস্তে প্রত্যেক বিষয়ের সার্বভৌম ক্ষমতা এবং তাঁরই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিতহবে।” (৩৬:৮১-৮৩)

English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- Al-Hijr
Sura: 15
Verses :- 85-86
فَاصْفَحِ الصَّفْحَ الْجَمِيلَ ]
So overlook their faults with gracious forgiveness. ]

The World has been created for some Purpose, then the Hour will come

Allah says,

وَمَا خَلَقْنَا السَّمَاوَاتِ وَالَارْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا إِلاَّ بِالْحَقِّ وَإِنَّ السَّاعَةَ لاتِيَةٌ

And We did not create the heavens and the earth and all that is between them except with the truth, and the Hour is surely coming,

i.e., with justice to –

لِيَجْزِىَ الَّذِينَ أَسَاءُواْ بِمَا عَمِلُواْ

requite those who do evil with that which they have done. (53:31)

Allah says,

وَمَا خَلَقْنَا السَّمَأءَ وَالاٌّرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا بَـطِلً ذَلِكَ ظَنُّ الَّذِينَ كَفَرُواْ فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ كَفَرُواْ مِنَ النَّارِ

And We did not create the heaven and the earth, and all that is between them without purpose! That is what those who disbelieve think! Then let those who disbelieve be warned of the Fire! (38:27)

أَفَحَسِبْتُمْ أَنَّمَا خَلَقْنَـكُمْ عَبَثاً وَأَنَّكُمْ إِلَيْنَا لَا تُرْجَعُونَ

فَتَعَـلَى اللَّهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ لَا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ

“Did you think that We created you in play, and that you would not be brought back to Us!”

So exalted be Allah, the Truth, the King, none has the right to be worshipped but He, the Lord of the Honored Throne! (23:115-116)

فَاصْفَحِ الصَّفْحَ الْجَمِيلَ

so overlook their faults with gracious forgiveness.

Allah informed His Prophet about the Hour, and that it will be the faults of the idolators when they insult him and reject the Message that he brings to them.

This is like the Ayah,

فَاصْفَحْ عَنْهُمْ وَقُلْ سَلَـمٌ فَسَوْفَ يَعْلَمُونَ

(o turn away from them, and say:”Salam (Peace!).” But they will come to know! (43:89)

Mujahid, Qatadah and others said:

“This was before fighting was prescribed.”

It is as they said, because this Surah was revealed in Makkah and fighting was prescribed after the Hijrah.

إِنَّ رَبَّكَ هُوَ الْخَلَّقُ الْعَلِيمُ

Verily, your Lord is the Knowing Creator.

This is a confirmation of the Day of Resurrection and that Allah, may He be exalted, is able to bring the Hour to pass. He is the Creator and nothing is beyond Him. He is the Knowing, Who knows what has been dispersed from people’s bodies and scattered throughout the regions of the earth, as He says:

أَوَلَـيْسَ الَذِى خَلَقَ السَّمَـوتِ وَالاٌّرْضَ بِقَـدِرٍ عَلَى أَن يَخْلُقَ مِثْلَهُم بَلَى وَهُوَ الْخَلَّـقُ الْعَلِيمُ

إِنَّمَأ أَمْرُهُ إِذَا أَرَادَ شَيْياً أَن يَقُولَ لَهُ كُن فَيَكُونُ

فَسُبْحَـنَ الَّذِى بِيَدِهِ مَلَكُوتُ كُلِّ شَىْءٍ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ

Is not He, Who created the heavens and the earth able to create the like of them!

Yes, indeed! He is the Knowing, Creator.

Verily, His command, when He intends a thing, is only that He says to it, “Be!” – and it is! So glorified and exalted is He above all that they associate with Him, and in whose Hands is the dominion of all things, and to Him you shall return. (36:81-83).

Leave a Reply