(Book# 788) সুরা: আন- নহল সুরা:১৬ ০২ নং আয়াত:- [ أَنَاْ فَاتَّقُونِ তোমরা আমাকে ভয় কর। So have Taqwa of Me.] www.motaher21.net

أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ

(Book# 788)
সুরা: আন- নহল
সুরা:১৬
০২ নং আয়াত:-
[ أَنَاْ فَاتَّقُونِ
তোমরা আমাকে ভয় কর।
So have Taqwa of Me.]
www.motaher21.net
یُنَزِّلُ الۡمَلٰٓئِکَۃَ بِالرُّوۡحِ مِنۡ اَمۡرِہٖ عَلٰی مَنۡ یَّشَآءُ مِنۡ عِبَادِہٖۤ اَنۡ اَنۡذِرُوۡۤا اَنَّہٗ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّاۤ اَنَا فَاتَّقُوۡنِ ﴿۲﴾
তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা স্বীয় নির্দেশে অহী (প্রত্যাদেশ) সহ ফিরিশতা অবতীর্ণ করেন, এই মর্মে সতর্ক করবার জন্য যে, আমি ছাড়া কোন (সত্য) উপাস্য নেই; সুতরাং তোমরা আমাকে ভয় কর।
He sends down the angels, with the inspiration of His command, upon whom He wills of His servants, [telling them], “Warn that there is no deity except Me; so fear Me.”

সুরা: আন- নহল
সুরা:১৬
০২ নং আয়াত:-
[ أَنَاْ فَاتَّقُونِ
তোমরা আমাকে ভয় কর।
So have Taqwa of Me.]
www.motaher21.net

২ নং আয়াতের তাফসীর:
তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-
উক্ত আয়াতে الرُوْحُ বলতে ওয়াহী বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা নাবী ও রাসূলদের প্রতি যে ওয়াহী করার ইচ্ছা করেন, ফেরেশতারা আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশে তাদের কাছে সে ওয়াহী নিয়ে অবতীর্ণ হন।

যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

(وَكَذٰلِكَ أَوْحَيْنَآ إِلَيْكَ رُوْحًا مِّنْ أَمْرِنَا)

“আর এভাবেই আমি তোমার প্রতি ওয়াহী করেছি রূহ (কুরআন) আমার নির্দেশে” (সূরা শুরা ৪২:৫২)

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:

(رَفِيْعُ الدَّرَجٰتِ ذُو الْعَرْشِ ج يُلْقِي الرُّوْحَ مِنْ أَمْرِه۪ عَلٰي مَنْ يَّشَا۬ءُ مِنْ عِبَادِه۪ لِيُنْذِرَ يَوْمَ التَّلَاقِ) ‏

“তিনি সমুচ্চ মর্যাদার অধিকারী, আরশের অধিপতি, তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা রূহ (ওয়াহী) প্রেরণ করেন স্বীয় আদেশসহ, যাতে সে সতর্ক করতে পারে সাক্ষাত (কিয়ামত) দিবস সম্পর্কে।” (সূরা মু’মিন ৪০:১৫)

ওয়াহী নাযিল করা কোন ফেরেশতা বা মানুষের কর্তৃত্বাধীন নয়, বরং আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ইচ্ছামত তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যার প্রতি খুশি ওয়াহী করেন। তারপর ওয়াহী নাযিল করার উদ্দেশ্য বর্ণনা করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন: ‘তোমরা সতর্ক কর‎ যে, নিশ্চয়ই আমি ব্যতীত কোন সত্যিকার মা‘বূদ নেই; সুতরাং আমাকে ভয় কর‎।’ অর্থাৎ একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই সকল ইবাদত পাওয়ার যোগ্য এবং তাঁকেই ভয় করা উচিত। এ ওয়াহী দিয়েই সকল নাবী-রাসূলকে প্রেরণ করা হয়েছে।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

(وَمَآ أَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ مِنْ رَّسُوْلٍ إِلَّا نُوْحِيْ إِلَيْهِ أَنَّه۫ لَآ إِلٰهَ إِلَّآ أَنَا فَاعْبُدُوْنِ )‏

“আমি তোমার পূর্বে যখন কোন রাসূল প্রেরণ করেছি তার প্রতি এ ওয়াহী করেছি, ‘আমি ব্যতীত অন্য কোন সত্যিকার মা‘বূদ নেই; সুতরাং আমারই ‘ইবাদত কর‎।’’ (সূরা আম্বিয়া ২১:২৫)

এ সম্পর্কে অনেক আয়াত রয়েছে যেমন সূরা যুখরুফের ৪৫ নং ও সূরা আম্বিয়ার ১০৮ নং আয়াত ইত্যাদি। অতএব যুগে যুগে রাসূল প্রেরণ করার প্রধান উদ্দেশ্য হল পৃথিবীতে এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত প্রতিষ্ঠা করা এবং মানুষের মাঝে আল্লাহ তা‘আলার ভয় সৃষ্টি করা।

আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

১. ওয়াহী প্রেরণ করার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে পারলাম আর তা হল এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত প্রতিষ্ঠা করা এবং মানুষের মাঝে তাঁর ভয় সঞ্চার করা।

তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
# নবুওয়াতের রূহ। এ রূহ বা প্রাণসত্তায় উজ্জীবিত হয়েই নবী কাজ করেন ও কথা বলেন। স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক জীবনে প্রাণের যে মর্যাদা এ অহী ও নবুওয়াতী প্রাণসত্তা নৈতিক জীবনে সেই একই মর্যাদর অধিকারী। তাই কুরআনের বিভিন্ন স্থানে তার জন্য ‘রূহ’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এ সত্যটি না বুঝার কারণে ঈসায়ীগণ রূহুল কুদুস(…….)-কে তিন খোদার এক খোদা বানিয়ে নিয়েছে।

# ফায়সালা কার্যকর করাবার দাবী জানিয়ে কাফেররা যে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছিল তার পেছনে যেহেতু মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুওয়াতের অস্বীকৃতিও কার্যকর ছিল, তাই শিরক খণ্ডনের পরপরই তাঁর নবুওয়াতের সত্যতা সুদৃঢ়ভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। তারা বলতো, এ ব্যক্তি যা বলছে, এসব মিথ্যা ও বানোয়াট। এর জবাবে আল্লাহ বলছেন, এ ব্যক্তি হচ্ছে আমার পাঠানো রূহ। এ রূহ ও প্রাণশক্তিতে উজ্জীবিত হয়েই সে নবুওয়াতের দায়িত্ব পালন করছে। তারপর তিনি যে বান্দার ওপর চান এ রূহ নাযিল করেন —একথার মাধ্যমে নবী করীমের ﷺ বিরুদ্ধে কাফেরদের একটি আপত্তির জবাব দেয়া হয়েছে। কাফেররা আপত্তি করে বলতো, আল্লাহর যদি নবী পাঠাবার দরকার হয়ে থাকে তাহলে কেবলমাত্র আবদুল্লাহর পুত্র মুহাম্মাদই ﷺ কি এ কাজের যোগ্য সাব্যস্ত হয়েছিল? মক্কা ও তায়েফের সমস্ত বড় বড় সরদাররা কি মরে গিয়েছিল? তাদের কারোর ওপর আল্লাহর দৃষ্টি পড়েনি? এ ধরনের অর্থহীন ও অযৌক্তিক আপত্তির জবাব এছাড়া আর কি হতে পারতো? এ কারণেই কুরআনের বিভিন্ন স্থানে এর এ জবাব দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, আল্লাহ নিজের কাজ সম্পর্কে নিজেই অবগত আছেন। তাঁর কাজের ব্যাপারে তোমাদের কাছ থেকে তাঁর পরামর্শ নেবার প্রয়োজন নেই। তিনি নিজের বান্দাদের মধ্য থেকে যাকেই সঙ্গত মনে করেন নিজের কাজের জন্য নির্বাচিত করে নেন।

# এই বাক্যের মাধ্যমে এ সত্যটি সুস্পষ্ট করে তুলে ধরা হয়েছে যে, নবুওয়াতের রূহ যেখানেই যে ব্যক্তির ওপর অবতীর্ণ হয়েছে সেখানেই তিনি এ একটিই দাওয়াত নিয়ে এসেছেন যে, সার্বভৌম কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্ধারিত এবং একমাত্র তাঁকেই ভয় করতে হবে, তিনি একাই এর হকদার। তিনি ছাড়া আর দ্বিতীয় এমন কোন সত্তা নেই যার অসন্তুষ্টির ভয়, যার শাস্তির আশঙ্কা এবং যার নাফরমানির অশুভ পরিণামের আতঙ্ক মানবিক চরিত্র ও নৈতিকতার নিয়ন্ত্রক এবং মানবিক চিন্তা ও কর্মের সমগ্র ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।

ফী জিলালিল কুরআন‌ বলেছেন:-

*সার্বভৌমত্ব একমাত্র আল্লাহর : মানুষের যাবতীয় শিরকজনিত চিন্তাধারা থেকে পবিত্র ও তার উর্ধে অবস্থানকারী মহান আল্লাহর নির্দেশ এসে গেছে। তিনি সেই আল্লাহ তায়ালা, যিনি মানুষকে গােমরাহীর দিকে ডাকেন না, বরং তিনি মানুষের ওপর আকাশ থেকে নাযিল করেন এমন এক জিনিস, যা তাদেরকে যথার্থ জীবনীশক্তি দান করে এবং তাদের মুক্তি নিশ্চিত করে। ‘আল্লাহ তায়ালা নিজের আদেশে ফেরেশতাদেরকে দিয়ে সেই বান্দাদের ওপর জীবনীশক্তি নাযিল করেন, যাদেরকে তিনি ইচ্ছা করেন।’ বস্তুত এই জিনিসটাই আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষকে দেয়া সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ নেয়ামত। আল্লাহ তায়ালা আকাশ থেকে শুধু জীবদেহকে রক্ষাকারী ও মাটিকে উর্বরা শক্তি প্রদানকারী পানিই বর্ষণ করেন না-যেমন সামনের এক আয়াতে বলা হয়েছে-‘বরং তিনি ফেরেশতাদেরকে দিয়ে নিজের বিধানও পাঠান নিজের নির্বাচিত বান্দাদের কাছে।’ ‘রূহ’ শব্দ দ্বারা এর ফলকেই বুঝানাে হয়েছে। রূহ বা প্রাণ হলাে জীবন ও জীবনের উৎস। এ দ্বারা শুধু জৈবিক জীবনই নয়, বরং একাধারে জৈবিক, নৈতিক ও আধ্যাত্মিক জীবনকেও বুঝানাে হয়েছে। এ জীবন হচ্ছে একাধারে দেহের জীবন, বিবেকের জীবন, বুদ্ধির জীবন, চেতনার জীবন এবং সমাজদেহেরও জীবন-যা সমাজদেহকে ধ্বংস ও বিনাশ থেকে রক্ষা করে। এই সর্বব্যাপী জীবন আল্লাহ তায়ালা মানুষের জন্যে আকাশ থেকে সর্ব প্রথম নাযিল করেন এবং এটাই বান্দাদের ওপর নাযিল করা আল্লাহর প্রথম ও প্রধান নেয়ামত। এ নেয়ামতটা নিয়ে আল্লাহর সবচেয়ে পূত পবিত্র ও নিস্পাপ সৃষ্টি ফেরেশতারা আল্লাহর মনােনীত বান্দাদের ওপর অর্থাৎ নবীদের ওপর অবতীর্ণ হন, যার সার কথা হলাে, মানুষকে এই বলে সাবধান করে দাও যে, আমি ছাড়া আর কোনাে ইলাহ নেই, সুতরাং তােমরা আমাকেই ভয় করাে। বস্তুত সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে আল্লাহর সাথে আর কাউকে শরীক না করা এবং একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করাই হলাে ইসলামী আকীদা বিশ্বাসের মূল কথা, প্রাণীর জীবনের নিরাপত্তা বিধানকারী এবং জীবন রক্ষক ও জীবন বিধ্বংসী প্রবণতার চুড়ান্ত সীমারেখা। যে হৃদয় এক আল্লাহর এবাদাত করে না, তা সব সময় লক্ষ্যচুত ও দিশেহারা থাকে এবং ধ্বংসের পথে ধাবিত হয়। বিভিন্ন দিক থেকে তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকা হয়। বিভিন্ন অলীক কল্পনা তাকে বিপথগামী করে, পরস্পর বিরােধী মতাদর্শ তার মনােযােগ বিচ্ছিন্ন করে, নানা রকম কু-প্ররােচণা তাকে পথভ্রষ্ট করার প্রয়াস পায়। ফলে সে কোনাে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে স্থির থাকতে পারে না। ‘রূহ’ শব্দটা দ্বারা এই সব কয়টা অর্থই বুঝানাে হয়। বিভিন্ন রকমের নেয়ামতের বিবরণ সম্বলিত এ সূরার শুরুতে এই অর্থগুলাের দিকে ইংগিত দেয়া হয়েছে। এ দ্বারা আল্লাহর সব রকম নেয়ামতকে প্রকাশ করা হয়েছে। তন্মধ্যে আল্লাহর নাযিল করা বিধান ইসলাম হলো সবচেয়ে বড় নেয়ামত, যা ছাড়া অন্য সব নেয়ামত মূল্যহীন। ইসলামী আকীদা ও আদর্শ নামক এই নেয়ামত না পেলে মানুষ সারা পৃথিবীতে আর যতাে নেয়ামত তথা সম্পদ আছে, তারা সঠিকভাবে উপকৃত হতে পারে না। এখানে অন্যান্য জায়গার মতাে সাবধান করা ও সুসংবাদ দান করা এই উভয়টার উল্লেখ নেই, বরং শুধু সাবধান করার উল্লেখ করেই ক্ষান্ত থাকা হয়েছে এবং একেই ওহী ও রিসালাতের উদ্দেশ্য হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। কেননা সূরার অধিকাংশই ইসলামের দাওয়াত প্রত্যাখ্যানকারী, মােশরেক, আল্লাহর নেয়ামত অস্বীকারকারী, আল্লাহর হালাল করা জিনিসকে হারাম সাব্যস্তকারী, আল্লাহর সাথে করা অংগীকার ভংগকারী এবং ঈমান আনার পর পুনরায় কুফরীর পথে প্রত্যাবর্তনকারী (মুরতাদ)দেরকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত। এ জন্যেই সাবধানকরণ বা ইনযারের উল্লেখ করাই অধিকতর সমীচীন এবং খােদাভীতি, আখিরাতের আযাব ভীতি ও গুনাহর কাজ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানানােটাই এখানে অধিকতর অগ্রগণ্য।

তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
এখানে (আরবি) দ্বারা ওয়াহী উদ্দেশ্য। যেমন আল্লাহ তাআলার উক্তিঃ (আরবি) অর্থাৎ “এভাবেই আমি তোমার প্রতি আমার হুকুমে ওয়াহী অবতীর্ণ করেছি, অথচ তোমার তো এটাও জানা ছিল না যে, কিতাব কি এবং ঈমানই বা কি? কিন্তু আমি ওটাকে নূর বানিয়েছি এবং এর দ্বারা আমি আমার বান্দাদের মধ্যে যাকে চাই পথ প্রদর্শন করে থাকি।” (৪২:৫২) এখানে মহান আল্লাহ বলেনঃ “আমি আমার বান্দাদের মধ্যে যাকে চাই নুবওয়াত দান করে থাকি। নুবওয়াতের যোগ্য ব্যক্তি কে-এর পূর্ণজ্ঞান আমারই রয়েছে। যেমন তিনি বলেনঃ “আল্লাহ তাআলার ফেরেশতাদের মধ্য হতে এবং লোকদের মধ্য হতে রাসূলদেরকে মনোনীত করে থাকেন।” আর এক জায়গায় তিনি বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা ওয়াহী প্রেরণ করেন স্বীয় আদেশসহ, যাতে সে সতর্ক করতে পারে কিয়ামত দিবস সম্পর্কে। যেদিন মানুষ বের হয়ে পড়বে সেদিন আল্লাহর কাছে তাদের কিছু গোপন থাকবে না; আজ কতৃত্ব কার? এক পরাক্রমশালী আল্লাহরই।” (৪০:১৫-১৬) এটা এ জন্যে যে, তিনি লোকদের মধ্যে আল্লাহর একত্ববাদ ঘোষণা করবেন, মুশরিকদেরকে ভয় দেখাবেন এবং জনগণকে বুঝাবেন যে, তারা যেন আল্লাহকেই ভয় করে।

English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- An-Nahl
Sura: 16
Verses :- 02
[ أَنَاْ فَاتَّقُونِ
So have Taqwa of Me.]
www.motaher21.net
Allah sends Whomever He wills with the Message of Tawhid

Allah informs:

يُنَزِّلُ الْمَليِكَةَ بِالْرُّوحِ

He sends down the angels with the Ruh,

refers to the revelation.

This is like the Ayat:

وَكَذَلِكَ أَوْحَيْنَأ إِلَيْكَ رُوحاً مِّنْ أَمْرِنَا مَا كُنتَ تَدْرِى مَا الْكِتَـبُ وَلَا الاِيمَـنُ وَلَـكِن جَعَلْنَـهُ نُوراً نَّهْدِى بِهِ مَن نَّشَأءُ مِنْ عِبَادِنَا

And thus We have sent to you a Ruh (revelation) by Our command. You knew not what is the Book, nor what is the faith. But We have made it a light by which We guide whomever We will among Our servants. (43:52)

مِنْ أَمْرِهِ عَلَى مَن يَشَاء مِنْ عِبَادِهِ

to those servants of His whom He wills,

meaning the Prophets, as Allah says:

اللَّهُ أَعْلَمُ حَيْثُ يَجْعَلُ رِسَالَتَهُ

Allah best knows where to place His Message. (6:124)

اللَّهُ يَصْطَفِى مِنَ الْمَلَـيِكَةِ رُسُلً وَمِنَ النَّاسِ

Allah chooses Messengers from angels and from men. (22:75)

رَفِيعُ الدَّرَجَـتِ ذُو الْعَرْشِ يُلْقِى الرُّوحَ مِنْ أَمْرِهِ عَلَى مَن يَشَأءُ مِنْ عِبَادِهِ لِيُنذِرَ يَوْمَ التَّلَقِ

يَوْمَ هُم بَـرِزُونَ لَا يَخْفَى عَلَى اللَّهِ مِنْهُمْ شَىْءٌ لِّمَنِ الْمُلْكُ الْيَوْمَ لِلَّهِ الْوَحِدِ الْقَهَّارِ

He sends the Ruh (revelation) by His command to whoever among His servants He wills to, that he may warn of the Day of Meeting.

The Day when they will (all) come out, nothing about them will be hidden from Allah. Whose is the kingdom this Day:It is Allah’s, the One, the Irresistible! (40:15-16)

أَنْ أَنذِرُواْ

(saying):”Warn…”

meaning that they should alert them.

أَنَّهُ لَا إِلَـهَ إِلاَّ أَنَاْ فَاتَّقُونِ

that none has the right to be worshipped but I, so have Taqwa of Me.

means, `fear My punishment, if you go against My commands and worship anything other than Me.

Leave a Reply