أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book# 803)
সুরা: আন- নহল
সুরা:১৬
৪৫-৪৭ নং আয়াত:-
[ مِنْ حَيْثُ لَا يَشْعُرُونَ
যার তারা টেরও পাবে না?
From where they do not perceive it,]
www.motaher21.net
اَفَاَمِنَ الَّذِیۡنَ مَکَرُوا السَّیِّاٰتِ اَنۡ یَّخۡسِفَ اللّٰہُ بِہِمُ الۡاَرۡضَ اَوۡ یَاۡتِیَہُمُ الۡعَذَابُ مِنۡ حَیۡثُ لَا یَشۡعُرُوۡنَ ﴿ۙ۴۵﴾
যারা জঘন্য ষড়যন্ত্র করে, তারা কি এ বিষয়ে নিশ্চিত আছে যে, আল্লাহ তাদেরকে ভূগর্ভে ধসিয়ে দেবেন না অথবা এমন দিক হতে শাস্তি আসবে না, যার তারা টেরও পাবে না?
Then, do those who have planned evil deeds feel secure that Allah will not cause the earth to swallow them or that the punishment will not come upon them from where they do not perceive?
اَوۡ یَاۡخُذَہُمۡ فِیۡ تَقَلُّبِہِمۡ فَمَا ہُمۡ بِمُعۡجِزِیۡنَ ﴿ۙ۴۶﴾
অথবা চলাফেরা করতে থাকাকালে তিনি তাদেরকে পাকড়াও করবেন না; অতঃপর তারা তা ব্যর্থ করতে পারবে না?
Or that He would not seize them during their [usual] activity, and they could not cause failure?
اَوۡ یَاۡخُذَہُمۡ عَلٰی تَخَوُّفٍ ؕ فَاِنَّ رَبَّکُمۡ لَرَءُوۡفٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۴۷﴾
অথবা তাদেরকে তিনি ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় পাকড়াও করবেন না? তোমাদের প্রতিপালক তো অবশ্যই অত্যন্ত স্নেহশীল, পরম দয়ালু।
Or that He would not seize them gradually [in a state of dread]? But indeed, your Lord is Kind and Merciful.
সুরা: আন- নহল
সুরা:১৬
৪৫-৪৭ নং আয়াত:-
[ مِنْ حَيْثُ لَا يَشْعُرُونَ
যার তারা টেরও পাবে না?
From where they do not perceive it,]
www.motaher21.net
৪৫-৪৭ নং আয়াতের তাফসীর:
তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-
যারা কুফরী, রাসূলদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন ও অন্যান্য পাপ কর্ম করে থাকে তাদেরকে হুশিয়ার করে আল্লাহ তা‘আলা বলছেন: তারা কি নিশ্চিন্ত ও নিরাপদ যে, আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে জমিনে ধ্বসিয়ে দেবেন না অথবা তাদের এমনভাবে শাস্তি দেবেন না যে, তারা বুঝতেও পারবে না!
অথবা তারা যখন জমিনে চলাফেরা করবে তখন শাস্তি দেবেন না! এর কয়েকটি অর্থ হতে পারে ১. যখন তারা ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য বাইরে যাবে, ২. যখন কর্মব্যস্ততায় থাকবে, ৩. রাতে আরাম করার জন্য বিছানায় যাবে। অথবা তাদের অন্তরে আল্লাহ তা‘আলার আযাবের ভয় থাকাকালীন পাকড়াও করবেন না! না, নিশ্চিত ও নিরাপদ হওয়ার কিছু নেই, আল্লাহ তা‘আলা ইচ্ছা করলে যে কোন সময় জমিনে ধসিয়ে দিতে পারেন অথবা তাদের ওপর এমনভাবে শাস্তি নিয়ে আসবেন যে, তারা বুঝতেও পারবে না।
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(ءَاَمِنْتُمْ مَّنْ فِی السَّمَا۬ئِ اَنْ یَّخْسِفَ بِکُمُ الْاَرْضَ فَاِذَا ھِیَ تَمُوْرُﭟﺫاَمْ اَمِنْتُمْ مَّنْ فِی السَّمَا۬ئِ اَنْ یُّرْسِلَ عَلَیْکُمْ حَاصِبًاﺚ فَسَتَعْلَمُوْنَ کَیْفَ نَذِیْرِﭠ)
“তোমরা কি নিরাপত্তা পেয়ে গেছ যে, আকাশে যিনি রয়েছেন তিনি তোমাদেরকেসহ ভূমিকে ধসিয়ে দেবেন না? অতঃপর তা আকস্মিকভাবে থরথর করে কাঁপতে থাকবে। অথবা তোমরা কি নিরাপদ হয়ে গেছ যে, আকাশে যিনি রয়েছেন তিনি তোমাদের ওপর পাথর বর্ষণকারী বাতাস প্রেরণ করবেন না? তখন তোমরা জানতে পারবে, কেমন ছিল আমার সতর্কবাণী!” (সূরা মুলক ৬৭:১৬-১৭)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(فَخَسَفْنَا بِه۪ وَبِدَارِهِ الْأَرْضَ قف فَمَا كَانَ لَه۫ مِنْ فِئَةٍ يَّنْصُرُوْنَه۫ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ ق ز وَمَا كَانَ مِنَ الْمُنْتَصِرِيْنَ)
“অতঃপর আমি কারূনকে তার প্রাসাদসহ ভূগর্ভে প্রোথিত করলাম। তার স্বপক্ষে এমন কোন দল ছিল না যে আল্লাহর শাস্তি হতে তাকে সাহায্য করতে পারত এবং সে নিজেও আত্মরক্ষায় সক্ষম ছিল না।” (সূরা ক্বাসাস ২৮:৮১)
কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা তা করেন না তাঁর অসীম দয়ার কারণে। তিনি মানুষকে অবকাশ দেন যাতে তারা এই সময়ের ভেতর তাওবা করে ফিরে আসতে পারে। নিজেদের ভুল-ত্র“টির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, স্বভাববিরুদ্ধ কষ্টদায়ক কথা শুনে ধৈর্য ধারণ করার ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা অপেক্ষা বেশি ধৈর্যধারণকারী আর কেউই নেই। লোকেরা তাঁর সন্তান সাব্যস্ত করে অথচ তিনি তাদেরকে খেতে দিচ্ছেন এবং নিরাপদে রাখছেন। (সহীহ বুখারী হা: ৬০৯৯, সহীহ মুসলিম হা: ২৮০৪)
অন্য বর্ণনায় এসেছে: আল্লাহ তা‘আলা জালিমকে অবকাশ দেন কিন্তু যখন পাকড়াও করেন তখন অকস্মাৎ পাকড়াও করেন এবং সে ধ্বংস হয়ে যায়।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাঠ করেন:
(وَكَذٰلِكَ أَخْذُ رَبِّكَ إِذَآ أَخَذَ الْقُرٰي وَهِيَ ظٰلِمَةٌ ط إِنَّ أَخْذَه۫ٓ أَلِيْمٌ شَدِيْدٌ)
“এরূপই তোমার প্রতিপালকের শাস্তি! তিনি শাস্তি দান করেন জনপদসমূহকে যখন তারা জুলুম করে থাকে। নিশ্চয়ই তাঁর শাস্তি যন্ত্রণাদায়ক কঠিন।” (সূরা হূদ ১১:১০২)
অন্যত্র রয়েছে
(وَكَأَيِّنْ مِّنْ قَرْيَةٍ أَمْلَيْتُ لَهَا وَهِيَ ظَالِمَةٌ ثُمَّ أَخَذْتُهَا ج وَإِلَيَّ الْمَصِيْرُ )
“এবং আমি অবকাশ দিয়েছি কত জনপদকে যখন তারা ছিল জালিম; অতঃপর তাদেরকে শাস্তি দিয়েছি এবং প্রত্যাবর্তন আমারই নিকট।” (সূরা হজ্জ ২২:৪৮, সহীহ বুখারী হা: ৪৬৮৬)
সুতরাং আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত, আমাদের দ্বারা যদি কোন অন্যায় কাজ হয়েই যায় তাহলে আমরা আল্লাহ তা‘আলার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব, আর তাঁর শাস্তিকে ভয় করব।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলা বান্দার ওপর খুবই স্নেহপরায়ণ।
২. আল্লাহ তা‘আলা যে কোন মুহূর্তে মানুষের অপরাধের জন্য শাস্তি প্রদান করতে সক্ষম।
তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
৪৫-৪৭ নং আয়াতের তাফসীর
সারা বিশ্বের সৃষ্টিকর্ত, আসমান ও যমীনের মালিক আল্লাহ তাআলা নিজের অবগতি সত্ত্বেও সহনশীলতা এবং ক্রোধ সত্ত্বেও নিজের মেহেরবানীর খবর দিচ্ছেন যে, তিনি ইচ্ছা করলে নিজের পাপী বান্দাদের যমীনে ধ্বসিয়ে দিতে পারেন এবং তাদের অজান্তে তাদের উপর শাস্তি আনয়ন করতে পারেন। কিন্তু নিজের সীমাহীন মেহেরবানীর কারণে তিনি তাদেরকে ক্ষমা করে থাকেন। যেমন তিনি বলেনঃ “তোমরা কি নিশ্চিন্ত রয়েছে যে, আকাশে যিনি রয়েছেন তিনি তোমাদেরকেসহ ভূমিকে ধ্বসিয়ে দিবেন না। আর ওটা আকস্মিকভাবে থরথর করে কাঁপতে থাকবে? অথবা তোমরা কি নিশ্চিন্ত আছ যে, আকাশে যিনি রয়েছেন তিনি তোমাদের উপর কংকরবর্ষী ঝটিকা প্রেরণ করবেন না? তখন তোমরা জানতে পারবে কিরূপ ছিল আমার সতর্কবাণী।” আবার এটাও হতে পারে যে, আল্লাহ তাআলা এইরূপ ষড়যন্ত্রকারী দুষ্ট প্রকৃতির লোকদেরকে তাদের চলা-ফেরা, আসা-যাওয়া, খাওয়া এবং উপার্জন করা অবস্থাতেই পাকড়াও করেন। সফরে, বাড়ীতে, দিনে-রাত্রে যখন ইচ্ছা তাদেরকে ধরে ফেলেন। যেমন তিনি বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “গ্রামবাসী কি নির্ভয় হয়ে গেছে যে, তাদের উপর আমার শাস্তি রাত্রি কালে তাদের শয়ন অবস্থাতেই এসে পড়বে? কিংবা বেলা ওঠার পর তাদের খেলাধুলায় মগ্ন থাকার অবস্থাতেই এসে পড়বে?” আল্লাহকে কোন ব্যক্তি বা কোন কাজ অপারগ করতে পারে না, তিনি পরাজিত ও ক্লান্ত হওয়ার নন এবং তিনি অকৃতকার্য হওয়ারও নন। এও হতে পারে যে, তারা ভীত-সন্ত্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে আল্লাহ ধরে ফেলবেন। তাহলে দুটো শাস্তি একই সাথে হয়ে যাবে। একটা হলো ভয়, আর অপরটা হলো পাকড়াও। একটি হলো মৃত্যু অন্যটি হলো সন্ত্রাস। কিন্তু মহান আল্লাহ, বিশ্বপ্রতিপালক বড়ই করুণাময়। একারণেই তিনি তাড়াতাড়ি পাকড়াও করেন না।
সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে রয়েছে যে, স্বভাব বিরুদ্ধে কথা শুনে ধৈর্য ধারণ করার ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা অপেক্ষা বেশী ধৈর্য ধারণকারী আর কেউই নেই। লোকেরা তাঁর সন্তান সাব্যস্ত করছে, অথচ তিনি তাদেরকে খেতে দিচ্ছেন এবং নিরাপদে রাখছেন।
আল্লাহ তাআলা যালিমকে অবকাশ দেন। কিন্তু যখন পাকড়াও করেন তখন অকস্মাৎ পাকড়াও করেন এবং সে ধ্বংস হয়ে যায়। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সঃ) পাঠ করেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “তোমার প্রতিপালকের পাকড়াও এরূপই যে, যুলুম করা অবস্থায় যখন তিনি কোন গ্রামবাসীকে পাকড়াও করেন তখন নিঃসন্দেহে তাঁর। পাকড়াও কঠিন যন্ত্রণাদায়ক হয়।” (১১:১০২) আর এক জায়গায় রয়েছেঃ (আরবি) অর্থাৎ “বহু এমন গ্রামবাসী রয়েছে যাদেরকে আমি কিছু দিনের জন্যে অবকাশ দিয়ে থাকি তাদের যুলুম করা অবস্থায়, অতঃপর তাদেরকে পাকড়াও করি, তাদের প্রত্যাবর্তন তো আমার কাছেই।” (২২:৪৮)
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura:- An-Nahl
Sura: 16
Verses :- 45-47
مِنْ حَيْثُ لَا يَشْعُرُونَ ]
From where they do not perceive it,]
How the Guilty can feel Secure
Allah tells:
أَفَأَمِنَ الَّذِينَ مَكَرُواْ السَّيِّيَاتِ أَن يَخْسِفَ اللّهُ بِهِمُ الَارْضَ أَوْ يَأْتِيَهُمُ الْعَذَابُ
Do then those who devise evil plots feel secure that Allah will not cause them to sink into the earth, or that torment will not seize them,
Allah informs us about His patience, and how He delays the punishment for the sinners who do evil things and call others to do likewise, plotting to call others to do evil – even though He is able to make the earth swallow them or to bring His wrath upon them.
مِنْ حَيْثُ لَا يَشْعُرُونَ
from where they do not perceive it,
meaning in such a way that they do not know where it comes from.
As Allah says:
أَءَمِنتُمْ مَّن فِى السَّمَأءِ أَن يَخْسِفَ بِكُمُ الاٌّرْضَ فَإِذَا هِىَ تَمُورُ
أَمْ أَمِنتُمْ مِّن فِى السَّمَأءِ أَن يُرْسِلَ عَلَيْكُمْ حَـصِباً فَسَتَعْلَمُونَ كَيْفَ نَذِيرِ
Do you feel secure that He Who is over the heaven (Allah), will not cause you to sink into the earth, when it quakes! Or do you feel secure that He Who is over the heaven (Allah), will not send a storm of stones upon you! Then you shall know how My warning really is. (67:16-17)
أَوْ يَأْخُذَهُمْ فِي تَقَلُّبِهِمْ
Or that He may punish them in the midst of their going to and fro,
meaning, when they are busy with their daily business, travel, and other distracting activities.
Qatadah and As-Suddi said:
تَقَلُّبِهِمْ
(Their going to and fro),
means their journeys.”
As Allah says:
أَفَأَمِنَ أَهْلُ الْقُرَى أَن يَأْتِيَهُم بَأْسُنَا بَيَـتاً وَهُمْ نَأيِمُونَ
أَوَ أَمِنَ أَهْلُ الْقُرَى أَن يَأْتِيَهُمْ بَأْسُنَا ضُحًى وَهُمْ يَلْعَبُونَ
Did the people of the towns feel secure against the coming of Our punishment by night while they were asleep! Or, did the people of the towns feel secure against the coming of Our punishment in the forenoon while they were playing! (7:97-98)
فَمَا هُم بِمُعْجِزِينَ
so that there be no escape for them (from Allah’s punishment).
meaning, it is not impossible for Allah, no matter what their situation.
أَوْ يَأْخُذَهُمْ عَلَى تَخَوُّفٍ
Or that He may punish them where they fear it most!
meaning, or Allah will take from them what they most fear, which is even more frightening, because when the thing you most fear to happen does happen, this is even worse.
Hence Al-Awfi reported that Ibn Abbas said that,
أَوْ يَأْخُذَهُمْ عَلَى تَخَوُّفٍ
(Or that He may punish them where they fear it most), means that Allah is saying:
`If I wish, I can take him after the death of his companion and after he has become frightened of that.’
This was also reported from Mujahid, Ad-Dahhak, Qatadah and others.
Then Allah says:
فَإِنَّ رَبَّكُمْ لَروُوفٌ رَّحِيمٌ
Indeed your Lord is full of kindness, Most Merciful.
meaning, because He does not hasten to punish, as was reported in the Two Sahihs:
لَاا أَحَدَ أَصْبَرُ عَلَى أَذًى سَمِعَهُ مِنَ اللهِ إِنَّهُمْ يَجْعَلُونَ لَهُ وَلَدًا وَهُوَ يَرْزُقُهُمْ وَيُعَافِيهِم
No one is more patient in the case of hearing offensive speech than Allah, for they attribute to Him a son, while He (alone) is giving them provision and good health.
And it is also recorded in Two Sahihs,
إِنَّ اللهَ لَيُمْلِي لِلظَّالِمِ حَتَّى إِذَا أَخَذَهُ لَمْ يُفْلِتْه
Allah will let the wrongdoer continue until, when He begins to punish him, He will never let him go.
Then the Messenger of Allah recited:
وَكَذلِكَ أَخْذُ رَبِّكَ إِذَا أَخَذَ الْقُرَى وَهِىَ ظَـلِمَةٌ إِنَّ أَخْذَهُ أَلِيمٌ شَدِيدٌ
Such is the punishment of your Lord when He seizes the (population of) towns while they are doing wrong. Indeed, His punishment is painful, (and) severe. (11:102)
And Allah says:
وَكَأَيِّن مِّن قَرْيَةٍ أَمْلَيْتُ لَهَا وَهِىَ ظَـلِمَةٌ ثُمَّ أَخَذْتُهَا وَإِلَىَّ الْمَصِيرُ
And many a township did I give respite while it was given to wrongdoing. Then I punished it. And to Me is the (final) return (of all). (22:48).