Book#550

أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ

(Book# 114/٣٤٧) -৫৫০
www.motaher21.net
সুরা: আল্‌ আরাফ
সুরা:৭
১৮৪ – ১৮৬ নং আয়াত:-
فَبِأَيِّ حَدِيثٍ بَعْدَهُ يُوْمِنُونَ
এর পর তারা আর কোন্ কথায় বিশ্বাস করবে?
In what message after this will they then believe!

اَوَ لَمۡ یَتَفَکَّرُوۡا ٜ مَا بِصَاحِبِہِمۡ مِّنۡ جِنَّۃٍ ؕ اِنۡ ہُوَ اِلَّا نَذِیۡرٌ مُّبِیۡنٌ ﴿۱۸۴﴾
তারা কি চিন্তা করে না যে, তাদের সঙ্গী (নবী) উন্মাদ নয়, সে তো এক স্পষ্ট সতর্ককারী।

اَوَ لَمۡ یَنۡظُرُوۡا فِیۡ مَلَکُوۡتِ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ مَا خَلَقَ اللّٰہُ مِنۡ شَیۡءٍ ۙ وَّ اَنۡ عَسٰۤی اَنۡ یَّکُوۡنَ قَدِ اقۡتَرَبَ اَجَلُہُمۡ ۚ فَبِاَیِّ حَدِیۡثٍۭ بَعۡدَہٗ یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۱۸۵﴾
তারা কি লক্ষ্য করে না আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্বের প্রতি, আল্লাহ যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তার প্রতি এবং এর প্রতিও যে, তাদের (মরণের) নির্ধারিতকাল সম্ভবতঃ নিকটবর্তী হয়ে গেছে। সুতরাং এর পর তারা আর কোন্ কথায় বিশ্বাস করবে?
مَنۡ یُّضۡلِلِ اللّٰہُ فَلَا ہَادِیَ لَہٗ ؕ وَ یَذَرُہُمۡ فِیۡ طُغۡیَانِہِمۡ یَعۡمَہُوۡنَ ﴿۱۸۶﴾

আল্লাহ যাকে বিপথগামী করেন তার কোন পথপ্রদর্শক নেই। আর তিনি তাদেরকে তাদের অবাধ্যতায় উদভ্রান্তের ন্যায় ঘুরে বেড়াতে ছেড়ে দেন।

১৮৪-১৮৬ নং আয়াতের তাফসীর:

তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ বলেছেন:-

مَا بِصَاحِبِهِمْ مِنْ جِنَّةٍ)

‘তাদের সঙ্গী তো উন্মাদ নয়’ এখানে সঙ্গী বলতে মুহাম্মাদ (সাঃ)-কে বুঝানো হয়েছে। মুশরিকরা নাবী (সাঃ)-কে কখনো জাদুকর, কখনো পাগল ইত্যাদি বলত। আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে হুশিয়ার করে অন্যত্র বলেন,

(قُلْ إِنَّمَآ أَعِظُكُمْ بِوَاحِدَةٍ ج أَنْ تَقُوْمُوْا لِلّٰهِ مَثْنٰي وَفُرَادٰي ثُمَّ تَتَفَكَّرُوْا قف مَا بِصَاحِبِكُمْ مِّنْ جِنَّةٍ ط إِنْ هُوَ إِلَّا نَذِيْرٌ لَّكُمْ بَيْنَ يَدَيْ عَذَابٍ شَدِيْدٍ)‏

“বল, আমি তোমাদেরকে শুধু একটি উপদেশ দিচ্ছি যে, তোমরা আল্লাহ তা‘আলারই জন্য দাঁড়াও দু’ দু’ জন করে ও এক এক জন করে; তারপর তোমরা চিন্তা কর (দেখতে পাবে), তোমাদের সঙ্গীটির মধ্যে কোন মস্তিষ্ক বিকৃতি নেই। সে তো কঠিন ‘আযাব আসার পূর্বে তোমাদের একজন সতর্ককারী মাত্র।” (সূরা সাবা ৩৪:৪৬) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:

(وَمَا صَاحِبُكُمْ بِمَجْنُوْنٍ)

“এবং তোমাদের সাথী (মুহাম্মদ) পাগল নয়।” (সূরা তাকভীর ৮১:২২)

সুতরাং কাফিরদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ ইত্যাদি দেখে আশ্চর্যের কিছুই নেই। কারণ দুনিয়াতে এসব তাদেরকে অবকাশস্বরূপ দেয়া হয়েছে, পরকালে তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।

আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে কাফির মুশরিকরা বিভিন্নভাবে গালিগালাজ করে কষ্ট দিত।

English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura Al-Araf
Sura:7
Verses :- 184-186
فَبِأَيِّ حَدِيثٍ بَعْدَهُ يُوْمِنُونَ
In what message after this will they then believe!
Allah said,

أَوَلَمْ يَتَفَكَّرُواْ

Do they not reflect,

`those who deny Our Ayat,’

مَا بِصَاحِبِهِم

there is not in their companion, (Muhammad),

مِّن جِنَّةٍ

madness,

Muhammad is not mad, rather, he is truly the Messenger of Allah, calling to Truth,

إِنْ هُوَ إِلاَّ نَذِيرٌ مُّبِينٌ

but he is a plain warner,

and this is clear for those who have a mind and a heart by which they understand and comprehend.

Allah said in another Ayah,

وَمَا صَـحِبُكُمْ بِمَجْنُونٍ

And (O people) your companion is not a madman. (81:22)

Allah also said,

قُلْ إِنَّمَأ أَعِظُكُمْ بِوَحِدَةٍ أَن تَقُومُواْ لِلَّهِ مَثْنَى وَفُرَادَى ثُمَّ تَتَفَكَّرُواْ مَا بِصَـحِبِكُمْ مِّن جِنَّةٍ إِنْ هُوَ إِلاَّ نَذِيرٌ لَّكُمْ بَيْنَ يَدَىْ عَذَابٍ شَدِيدٍ

Say:”I exhort you to one (thing) only, that you stand up for Allah’s sake in pairs and singly, and reflect, there is no madness in your companion. He is only a warner to you in face of a severe torment.” (34:46)

meaning, `I ask you to stand for Allah in sincerity without stubbornness or bias,’

مَثْنَى وَفُرَادَى

in pairs and singly. (34:46),

individuals and in groups.

ثُمَّ تَتَفَكَّرُواْ

and reflect (34:46),

about this man who brought the Message from Allah, is he mad If you do this, it will become clear to you that he is the Messenger of Allah in truth and justice.

Qatadah bin Di’amah said,

“We were informed that the Prophet of Allah once was on (Mount) As-Safa and called the Quraysh, sub-tribe by sub-tribe, proclaiming,

يَا بَنِي فُلَانٍ يَا بَنِي فُلَانٍ فَحَذَّرَهُمْ بَأْسَ اللهِ وَوَقَايِعَ الله

O Children of so-and-so, O Children of so-and-so! He warned them against Allah’s might and what He has done (such as revenge from His enemies).

Some of them commented, `This companion of yours (Prophet Muhammad) is mad;

he kept shouting until the morning’ Allah sent down this Ayah,

أَوَلَمْ يَتَفَكَّرُواْ مَا بِصَاحِبِهِم مِّن جِنَّةٍ إِنْ هُوَ إِلاَّ نَذِيرٌ مُّبِينٌ

Do they not reflect There is no madness in their companion. He is but a plain warner.”

Allah says;

أَوَلَمْ يَنظُرُواْ فِي مَلَكُوتِ السَّمَاوَاتِ وَالَارْضِ وَمَا خَلَقَ اللّهُ مِن شَيْءٍ وَأَنْ عَسَى أَن يَكُونَ قَدِ اقْتَرَبَ أَجَلُهُمْ

Do they not look in the dominion of the heavens and the earth and all things that Allah has created; and that it may be that the end of their lives is near.

Allah asks, those who denied faith, did they not contemplate about Our Ayat in the kingdom of the heavens and earth and what was created in them! Do they not contemplate about all this and learn lessons from it, so that they are certain that He Who has all this, has no equal or rival All this was made by He Who Alone deserves the worship and sincere religion, so that they might have faith in Him and believe in His Messenger, all the while turning to Allah’s obedience, rejecting any rivals to Him, and rejecting idols. They should be warned that their lives may have reached their end, and they, thus, face their demise while disbelievers, ending up in Allah’s torment and severe punishment.

Allah said,

فَبِأَيِّ حَدِيثٍ بَعْدَهُ يُوْمِنُونَ

In what message after this will they then believe!

Allah says, what more warnings, and discouragements should compel them to believe, if the warnings and threats that Muhammad brought them from Allah in His Book do not compel them to do so.

Allah said next,

مَن يُضْلِلِ اللّهُ فَلَ هَادِيَ لَهُ

وَيَذَرُهُمْ فِي طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُونَ

Whomsoever Allah sends astray, none can guide him; and He lets them wander blindly in their transgressions.

Allah says, those who were destined to be misguided, then none can lead them to guidance, and even if they try their best effort to gain such guidance, this will not avail them,

وَمَن يُرِدِ اللَّهُ فِتْنَتَهُ فَلَن تَمْلِكَ لَهُ مِنَ اللَّهِ شَيْياً

And whomsoever Allah wants to put in Fitnah (error, because of his rejecting of Faith, or trial), you can do nothing for him against Allah. (5:41)

and,

قُلِ انظُرُواْ مَاذَا فِى السَّمَـوَتِ وَالاٌّرْضِ وَمَا تُغْنِى الايَـتُ وَالنُّذُرُ عَن قَوْمٍ لاَّ يُوْمِنُونَ

Say:”Behold all that is in the heavens and the earth,” but neither Ayat nor warners benefit those who believe not. (10:101).

তাফসীরে ইবনে ‌কাসীর বলেছেন:-

এই মিথ্যা প্রতিপন্নকারীরা এটাও চিন্তা করেনি যে, তাদের বন্ধু ও সঙ্গী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) মোটেই পাগল নন, বরং তিনি আল্লাহর রাসূল। যিনি মানুষকে সত্যের পথে আহ্বান করে থাকেন। যে ব্যক্তির স্থির বুদ্ধি রয়েছে এবং তা সে কাজে লাগিয়ে থাকে সেই পরিষ্কারভাবে এটা বুঝতে পারবে। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “আমি তোমাদেরকে একটি কথার নসীহত করছি যে, তোমরা। আল্লাহরই ইবাদত করবে এবং এর তাবলীগের জন্যে এক একজন ও দুজন দু’জন মিলিত হয়ে দাড়িয়ে যাও। অতঃপর গভীরভাবে চিন্তা করে দেখো যে, তোমাদের সঙ্গী (হযরত মুহাম্মাদ সঃ) পাগল নয়। বরং তিনি তো তোমাদেরকে আল্লাহর ভীষণ শাস্তি থেকে ভয় প্রদর্শনকারী।” খাটি অন্তরে আল্লাহকে ডাকতে থাকো। গোঁড়ামি ও একগুয়েমি পরিত্যাগ কর। যদি তোমরা এরূপ কর তবে হাকীকত তোমাদের কাছে খুলে যাবে যে, এই রাসূল (সঃ) সত্য এবং তোমাদের শুভাকাঙ্খী।

রাসূলুল্লাহ (সঃ) একদা ‘সাফা পাহাড়ের উপর আরোহণ করেন। সেখানে তিনি কুরায়েশদেরকে একত্রিত করেন এবং এক এক গোত্রের নাম ধরে ডাকতে থাকেন। অতঃপর তিনি তাদেরকে আল্লাহর শাস্তি এবং আকস্মিক দুর্ঘটনা থেকে ভয় প্রদর্শন করেন। তখন কোন কোন নির্বোধ ব্যক্তি বলতে শুরু করে যে, তাঁকে তো পাগল বলে মনে হচ্ছে। সকাল পর্যন্ত তিনি বক্তৃতা করতে থাকেন। তখন আল্লাহ তাআলা এই আয়াত অবতীর্ণ করেন।

ইরশাদ হচ্ছে। আমার নিদর্শনসমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্নকারীরা একথা কি চিন্তা করে দেখে না যে, আকাশ, পৃথিবী এবং এ দুয়ের মধ্যস্থলে যা কিছু রয়েছে। সবগুলোর উপর আমার কিরূপ ক্ষমতা রয়েছে? তাদের উচিত ছিল এগুলো সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করা। তাহলেই তারা এ শিক্ষা লাভ করতো যে, এ সবকিছুই আল্লাহর আয়ত্ত্বাধীন। তাঁর সাথে কারো কোন তুলনা চলে না এবং তার সাথে কারো কোন সাদৃশ্যও নেই। তিনিই একমাত্র ইবাদতের যোগ্য। তাদের আরো উচিত তাঁর রাসূল (সঃ)-এর সত্যতা স্বীকার করা, তাঁর অনুসরণে ঝুঁকে পড়া, প্রতিমাগুলোকে দূরে নিক্ষেপ করা এবং এই ভয় করা যে, মৃত্যু অতি নিকটবর্তী, সুতরাং যদি কুফরীর অবস্থাতেই মৃত্যু এসে পড়ে তবে বেদনাদায়ক শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।

আল্লাহ পাক বলেনঃ এর পরও তারা কোন্ কথায় ঈমান আনবে? অর্থাৎ যে ভীতি প্রদর্শন মূলক হুমকি দেয়া হয়েছে এটা আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকেই এসেছে। তারা যদি এই অহী ও কুরআনের সত্যতা স্বীকার না করে যা মুহাম্মাদ (সঃ) পেশ করেছেন, তবে তারা আর কোন কথার সত্যতা স্বীকার করবে?

হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ শবে মিরাজে গিয়ে যখন আমি সপ্তম আকাশ পর্যন্ত পৌছলাম তখন উপর দিকে তাকিয়ে বস্ত্র ও বিদ্যুৎ দেখতে পেলাম এবং এমন কতগুলো লোকের পার্শ্ব দিয়ে আমি গমন করলাম যাদের পেট মৃৎ পাত্রের মত ফুলে মোটা হয়েছিল। পেটের মধ্যে সাপ ভরা ছিল। বাইরে থেকেও সেই সাপ দেখা যাচ্ছিল। আমি জিবরাঈল (আঃ)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ “এরা হচ্ছে সুদখোর।” অতঃপর এই প্রথম আকাশে নেমে এসে নীচের দিকে তাকালে ধুয়ার মত দেখলাম এবং শোরগোল শুনতে পেলাম। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে জিবরাঈল (আঃ)! এটা কি? তিনি উত্তরে বললেনঃ “এরা হচ্ছে শয়তান, যারা মানুষের চোখের সামনে ঘুরতে থাকে এবং আড় হয়ে যায়, যেন মানুষ যমীন ও আসমানের আধ্যাত্মিক বস্তুর দিকে দৃষ্টিপাতই করতে না পারে। যদি এই প্রতিবন্ধকতা থাকতো তবে মানুষ আকাশের বহু বিস্ময়কর ব্যাপার দেখতে পেতো।” এই হাদীসের একজন বর্ণনাকারী হচ্ছেন আলী ইবনে যায়েদ। বহু মুনকার হাদীসের সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে।

আল্লাহ তা’আলা যাদের নাম পথভ্রষ্ট হিসেবে লিখে দিয়েছেন তাদেরকে কেউই পথপ্রদর্শন করতে পারে না। তারা যতই নিদর্শনসমূহ অবলোকন করুক না কেন, তাদের কোনই উপকার হবে না। আল্লাহ যাকে ফিত্নায় পতিত করেন তাকে কে সত্য পথে আনয়ন করবে? যেমন আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “(হে নবী সঃ!) তুমি বলে দাও- দেখো! আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যে আমার কি নিদর্শনসমূহ রয়েছে। কিন্তু নিদর্শনসমূহ, মু’জিযাসমূহ এবং ভয় প্রদর্শন ঐ কওমের কোনই উপকার সাধন করবে না যারা ঈমান আনে না।”

তাফসীরে আহসানুল বায়ান বলেছেন:-
* صاحب (সঙ্গী) বলতে নবী (সাঃ)-কে বুঝানো হয়েছে। যাঁর সম্পর্কে মুশরিকরা কখনও যাদুকর, কখনো বা পাগল বলত। (নাউযু বিল্লাহ) মহান আল্লাহ বলেন, এ হল তোমাদের চিন্তা-ভাবনা না করার ফল। সে তো আমার বার্তাবাহক, যে আমার আদেশ পৌঁছিয়ে থাকে এবং যারা তা হতে উদাসীন ও বৈমুখ থাকে, তাদের জন্য সতর্ককারী।
* অর্থাৎ, এই সকল জিনিস নিয়েও যদি তারা চিন্তা-ভাবনা করত, তাহলে নিশ্চয় আল্লাহর উপর ঈমান আনত, তার রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করত ও তাঁর অনুসরণ করত, তারা যে আল্লাহর সাথে শিরক করে তা ত্যাগ করত এবং এ ব্যাপারে ভয় করত যে, তাদের মৃত্যু যেন তাদের কুফরীর অবস্থায় থাকাকালীন না আসে।

[২] حديث (কথা বা বাণী) বলতে কুরআন মাজীদকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, নবী (সাঃ)-এর সতর্ক করা ও ভয় দেখানো এবং কুরআন মাজীদ (পড়া বা শোনার) পরও যদি তারা ঈমান না আনে, তাহলে তাদেরকে সতর্ক করার জন্য আর কি হতে পারে, যা আল্লাহর পক্ষ হতে অবতীর্ণ হলে তারা ঈমান আনবে?

তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-

সাথী বলতে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বুঝানো হয়েছে। তিনি তাদের মধ্যেই জন্মলাভ করেন। তাদের মধ্যে বসবাস করেন। শৈশব থেকে যৌবন এবং যৌবন থেকে বার্ধক্যে পদার্পণ করেন। নবুওয়াত লাভের পূর্বে সমগ্র জাতি তাঁকে একজন অত্যন্ত শান্ত-শিষ্ট-ভারসাম্যপূর্ণ স্বভাব প্রকৃতি ও সুস্থ মন-মগজধারী মানুষ বলে জানতো। নবুওয়াত লাভের পর যে-ই তিনি মানুষের কাছে আল্লাহর দাওয়াত পৌঁছাতে শুরু করলেন, অমনি তাঁকে পাগল বলা আরম্ভ হয়ে গেল। একথা সুস্পষ্ট, নবী হবার আগে তিনি যেসব কথা বলতেন সেগুলো জন্য তাঁকে পাগল বলা হয়নি বরং নবী হবার পর তিনি যেসব কথা প্রচার করতে থাকেন, সেগুলোর জন্য তাঁকে পাগল বলা হতে থাকে। তাই এখানে বলা হচ্ছে, তারা কি কখনো ভেবে দেখেছে, যে কথা গুলো তিনি বলছেন তার মধ্যে কোনটি পাগলামির কথা? কোন কথাটি অর্থহীন, ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক? যদি তারা আসমান ও যমীনের ব্যবস্থাপনা নিয়ে চিন্তা করতো অথবা আল্লাহর তৈরী যে কোন একটি জিনিসকে গভীর দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করতো, তাহলে তারা নিজেরাই বুঝতে পারতো যে, শিরকের মতবাদ খণ্ডন, তাওহীদের প্রমাণ, রবের বন্দেগীর দাওয়াত এবং মানুষের দায়িত্ব পালন ও জবাবদিহি সম্পর্কে তাদের ভাই তাদেরকে যা কিছু বুঝাচ্ছেন, এই সমগ্র বিশ্ব ব্যবস্থা ও আল্লাহর সৃষ্টিলোকের প্রতিটি অনুকণিকা তারই সত্যতার সাক্ষ্য দিয়ে যাচ্ছে।

* অর্থাৎ এ নির্বোধরা এতটুকুও চিন্তা করে না যে, মৃত্যুর সময় কারোর জানা নেই। কেউ জানে না কার মৃত্যু কখন এসে পড়বে। তারপর যখন কারোর মৃত্যুর সময় এসে যাবে এবং তার কর্মনীতির সংশোধন করার জন্য ইহকালীন জীবনকালের যে অবকাশটুকু সে পেয়েছিল, তাকে যদি সে গোমরাহী ও অসৎকাজে নষ্ট করে দিয়ে থাকে তাহলে তার পরিণাম কি হবে?

Leave a Reply