Book#554

أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ

(Book# 114/٣٥١) -৫৫৪
www.motaher21.net
সুরা: আল্‌ আরাফ
সুরা:৭
১৯১-১৯৮ নং আয়াত:-

لَا يَخْلُقُ شَيْياً وَهُمْ يُخْلَقُونَ
তারা কি এমন বস্তুকে অংশী-স্থাপন করে, যারা কিছুই সৃষ্টি করে না?
Who created nothing but they themselves are created,

اَیُشۡرِکُوۡنَ مَا لَا یَخۡلُقُ شَیۡئًا وَّ ہُمۡ یُخۡلَقُوۡنَ ﴿۱۹۱﴾۫ۖ

وَ لَا یَسۡتَطِیۡعُوۡنَ لَہُمۡ نَصۡرًا وَّ لَاۤ اَنۡفُسَہُمۡ یَنۡصُرُوۡنَ ﴿۱۹۲﴾

وَ اِنۡ تَدۡعُوۡہُمۡ اِلَی الۡہُدٰی لَا یَتَّبِعُوۡکُمۡ ؕ سَوَآءٌ عَلَیۡکُمۡ اَدَعَوۡتُمُوۡہُمۡ اَمۡ اَنۡتُمۡ صَامِتُوۡنَ ﴿۱۹۳﴾

اِنَّ الَّذِیۡنَ تَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ عِبَادٌ اَمۡثَالُکُمۡ فَادۡعُوۡہُمۡ فَلۡیَسۡتَجِیۡبُوۡا لَکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ ﴿۱۹۴﴾

اَلَہُمۡ اَرۡجُلٌ یَّمۡشُوۡنَ بِہَاۤ ۫ اَمۡ لَہُمۡ اَیۡدٍ یَّبۡطِشُوۡنَ بِہَاۤ ۫ اَمۡ لَہُمۡ اَعۡیُنٌ یُّبۡصِرُوۡنَ بِہَاۤ ۫ اَمۡ لَہُمۡ اٰذَانٌ یَّسۡمَعُوۡنَ بِہَا ؕ قُلِ ادۡعُوۡا شُرَکَآءَکُمۡ ثُمَّ کِیۡدُوۡنِ فَلَا تُنۡظِرُوۡنِ ﴿۱۹۵﴾
اِنَّ وَلِیِّ ۦَ اللّٰہُ الَّذِیۡ نَزَّلَ الۡکِتٰبَ ۫ۖ وَ ہُوَ یَتَوَلَّی الصّٰلِحِیۡنَ ﴿۱۹۶﴾

وَ الَّذِیۡنَ تَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِہٖ لَا یَسۡتَطِیۡعُوۡنَ نَصۡرَکُمۡ وَ لَاۤ اَنۡفُسَہُمۡ یَنۡصُرُوۡنَ ﴿۱۹۷﴾
وَ اِنۡ تَدۡعُوۡہُمۡ اِلَی الۡہُدٰی لَا یَسۡمَعُوۡا ؕ وَ تَرٰىہُمۡ یَنۡظُرُوۡنَ اِلَیۡکَ وَ ہُمۡ لَا یُبۡصِرُوۡنَ ﴿۱۹۸﴾
তারা কি এমন বস্তুকে অংশী-স্থাপন করে, যারা কিছুই সৃষ্টি করে না? বরং ওরা নিজেরাই সৃষ্ট।

ওরা তাদের কোন প্রকার সাহায্য করতে পারে না এবং ওদের নিজেদেরও নয়।
তোমরা তাদেরকে সৎপথের দিকে আহবান করলে ওরা তোমাদের অনুসরণ করবে না। তোমরা ওদেরকে আহবান কর অথবা চুপ করে থাক, তোমাদের পক্ষে উভয়ই সমান।
নিশ্চয়ই আল্লাহ ব্যতীত তোমরা যাদেরকে আহবান কর, তারা তো তোমাদেরই মত দাস। তোমরা তাদেরকে আহবান কর, যদি তোমরা সত্যবাদী হও, তাহলে তারা তোমাদের ডাকে সাড়া দিক্।

তাদের কি চলার পা আছে? তাদের কি ধরার হাত আছে? তাদের কি দেখার চোখ আছে? কিংবা তাদের কি শোনার কান আছে? বল, ‘তোমরা তোমাদের ঐ অংশীদেরকে ডাক, অতঃপর আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কর এবং আমাকে অবকাশ দিয়ো না।

নিশ্চয়ই আমার অভিভাবক আল্লাহ যিনি কিতাব অবতীর্ণ করেছেন এবং তিনিই সৎকর্মপরায়ণদের অভিভাবকত্ব করে থাকেন।’
এবং আল্লাহ ব্যতীত তোমরা যাদেরকে আহবান কর, তারা তোমাদের কোন প্রকার সাহায্য করতে পারে না এবং ওদের নিজেদেরও নয়।
যদি তাদেরকে সৎপথের দিকে আহবান কর, তবে তারা শ্রবণ করবে না এবং তুমি দেখতে পাবে যে, তারা তোমার দিকে তাকিয়ে আছে, অথচ তারা দেখে না।

১৯১-১৯৮ নং আয়াতের তাফসীর:

তাফসীরে ইবনে ‌কাসীর বলেছেন:-

যে মুশরিকরা আল্লাহকে ছেড়ে প্রতিমা-পূজায় লিপ্ত হয়ে পড়ে তাদেরকে এখানে ভৎসনা করা হচ্ছে যে, এই প্রতিমাগুলোও আল্লাহর সৃষ্ট এবং মানুষই এগুলো নির্মাণ করেছে। এদের কোনই ক্ষমতা নেই। এগুলো কারও কোন ক্ষতিও করতে পারে না এবং কোন উপকারও করতে পারে না। এদের দেখারও শক্তি নেই এবং যারা এদের ইবাদত করে তাদের এরা কোন সাহায্যও করতে পারে না। বরং এ মূর্তিগুলো তো জড় পদার্থের অন্তর্ভুক্ত। এগুলো নড়াচড়া পর্যন্ত করতে পারে না। এমন কি যারা এদের ইবাদত করে তারাও এদের চেয়ে উত্তম। কেননা, তারা শুনতে পায়, দেখতে পায়, স্পর্শ করতে পারে এবং ধরতে পারে । এ জন্যেই আল্লাহ পাক বলেনঃ “তারা কি ঐ পাথরের মূর্তিগুলোকে আল্লাহর অংশীদার বানিয়ে নিচ্ছে যারা কোন কিছুই সৃষ্টি করতে পারে না? বরং তারা নিজেরাই তো সৃষ্ট। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ “হে লোক সকল! একটি দৃষ্টান্ত বর্ণনা করা হচ্ছে দেখো! যারা আল্লাহকে ছেড়ে অন্যান্যের উপাসনা করছে ঐ উপাস্যগুলো তো একটি মাছি পর্যন্ত সৃষ্টি করতে পারে না যদিও তারা সবাই একত্রিত হয়ে চেষ্টা করে, এমন কি মাছিও যদি তাদের খাবারের কোন জিনিস ছিনিয়ে নেয় তবে তারা তার নিকট থেকে তা ফিরিয়ে নিতেও পারে না। আকাংখী ও আকাংখিত উভয়েই কতই না দুর্বল ও শক্তিহীন!” তারা আল্লাহর মর্যাদা বুঝেনি। নিশ্চয়ই আল্লাহ বড়ই শক্তিশালী ও প্রবল পরাক্রান্ত। তাদের উপাস্যরা এতই দুর্বল ও শক্তিহীন যে, মাছি একটা নিকৃষ্ট খাবারও যদি তাদের নিকট থেকে ছিনিয়ে নিয়ে উড়ে যায় তবে তার নিকট থেকে তা কেড়ে নেয়ারও শক্তি এদের নেই। যাদের বিশেষণ এইরূপ তারা কি করে জীবিকা দান করতে পারে বা সাহায্য করতে পারে? যেমন হযরত ইবরাহীম (আঃ) বলেছিলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “তোমরা কি এমন জিনিসের ইবাদত করছো যাকে তোমরা নিজেরাই নির্মাণ করছো?” (৩৭:৯৫)।

ইরশাদ হচ্ছে- তারা তাদের উপাসনাকারীদের সামান্য পরিমাণও সাহায্য করতে পারে না। এমন কি কেউ যদি তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে তবে তা থেকে তারা নিজেদেরকে রক্ষা করতেও পারে না। যেমন হযরত ইবরাহীম খলীল (আঃ) স্বীয় কওমের মূর্তিগুলোকে ভেঙ্গে ফেলতেন এবং এভাবে পূর্ণমাত্রায় ওদেরকে লাঞ্ছিত করতেন। আল্লাহ তা’আলা বলেন যে, মূর্তিগুলোকে ইবরাহীম (আঃ) মেরে মেরে টুকরো টুকরো করে ফেলেন। কিন্তু ভুতখানার সবচেয়ে বড় মূর্তিকে ছেড়ে দিলেন, যেন জনগণ এসে ঐ বড় মূর্তিটিকে জিজ্ঞেস করে যে, এটা কি হয়েছে এবং কে করেছে?

হযরত মুআহ্ ইবনে আমর ইবনুল জামূহ (রাঃ) এবং হযরত মুআয ইবনে জাবাল (রাঃ) দু’জন যুবক লোক ছিলেন। তাঁরা মুসলমান হয়েছিলেন। রাত্রিকালে তারা মদীনায় মুশরিকদের মূর্তিগুলোর নিকটে যেতেন এবং ওগুলোকে ভেঙ্গে ফেলতেন। ওগুলো কাঠ দ্বারা নির্মিত হয়ে থাকলে ওগুলো ভেঙ্গে দিয়ে জ্বালানী কাষ্ঠ রূপে ব্যবহারের জন্যে গরীব বিধবা নারীদেরকে ওগুলো দিয়ে দিতেন।

উদ্দেশ্য এই যে, যেন মুশরিকরা এর থেকে কিছু শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে এবং নিজেদের আমল ও আকীদার উপর চিন্তা ভাবনা করে। আমর ইবনে জামূহ (রাঃ) ছিলেন স্বীয় গোত্রের নেতা! তাঁর একটা প্রতিমা ছিল। তিনি ঐ প্রতিমার পূজা করতেন। ওর গায়ে তিনি সুগন্ধি মাখাতেন। রাত্রিকালে ঐ দু’যুবক তার ভুতখানায় যেতেন এবং ঐ প্রতিমার মাথার উপর ময়লা-আবর্জনা রেখে দিতেন। আমর ইবনে জামূহ মূর্তিটিকে ঐ অবস্থায় দেখতেন এবং আবর্জনা ধুয়ে মুছে পুনরায় সুগন্ধি মাখাতেন। অতঃপর ওর পার্শ্বে তরবারী রেখে দিয়ে বলতেনঃ “এর দ্বারা তুমি নিজেকে রক্ষা করবে।” দ্বিতীয় রাতে যুবকদ্বয় আবার ঐ কাজই করতেন এবং ইবনে জামৃহ ওটা ধুয়ে মুছে সাফ করতেন এবং পুনরায় ওর পার্শ্বে তরবারী রেখে দিতেন। অবশেষে একদিন যুবকদ্বয় ঐ মূর্তিটিকে বের করে আনেন এবং একটি কুকুরের মৃত দেহের সাথে ওকে বেঁধে একটি রজ্জ্বর মাধ্যমে একটি কুয়ায় লটকিয়ে দেন। আমর ইবনে জামূহ এসে মূর্তিটিকে এ অবস্থায় যখন দেখলেন তখন তার জ্ঞান আসলো যে, তিনি প্রতিমা পূজায় লিপ্ত থেকে এতোদিন বাতিল আকীদার মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন। তাই তিনি মূর্তিটিকে সম্বোধন করে বললেনঃ “তুমি যদি সত্যিই উপাস্য হতে তবে এই কুয়ার মধ্যে কুকুরটির সাথে পড়ে থাকতে না।” অতঃপর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং একজন ভাল মুসলিম রূপে জীবন অতিবাহিত করেন। উহুদের যুদ্ধে তিনি শহীদ হন।

ইরশাদ হচ্ছে- তুমি যদি ওদেরকে সৎপথে ডাকো তবে ওরা তোমার অনুসরণ করবে না। অর্থাৎ লো কারো ডাক শুনতে পায় না। ওদেরকে। ডাকা এবং না ডাকা সমান কথা। হযরত ইবরাহীম (আঃ) বলেছিলেনঃ “হে পিতা! এমন মূর্তির উপাসনা করবেন না যা না শুনতে পায়, না দেখতে পায়, না আপনার কোন কাজ করে দেয়।” আল্লাহ পাক বলেনঃ মূর্তিপূজকের মত এই মূর্তিগুলোও আল্লাহরই সৃষ্ট। এমন কি এই মূর্তিপূজকরাই বরং মূর্তিগুলোর চেয়ে উত্তম। কেননা, তারা শুনতে পায়, দেখতে পায় এবং স্পর্শ করতে তো পারে।

অতঃপর আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ হে নবী (সঃ)! তুমি বলে দাও আল্লাহর সাথে তোমরা যাদেরকে অংশী করছে তাদেরকে ডাকো, তারপর সকলে সমবেত হয়ে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতে থাকো এবং আমাকে আদৌ কোন অবকাশ দিয়ো না। আর আমার বিরুদ্ধে মন খুলে চেষ্টা চালিয়ে দেখো। আমার সাহায্যকারী হচ্ছেন ঐ আল্লাহ যিনি কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। তিনি সঙ্কর্মশীলদের অভিভাবক। ঐ আল্লাহই আমার জন্যে যথেষ্ট। তিনিই আমাকে সাহায্য করবেন। তাঁরই উপর আমি ভরসা করছি। আমি যদি বাধ্য হই তবে তাঁরই বাধ্য হবো। তিনি দুনিয়া ও আখিরাতে শুধু আমার নয় বরং আমার পরেও সকল সৎকর্মশীল লোকেরই অভিভাবক ও বন্ধু । যেমন হূদ (আঃ) স্বীয় কওমের কথার প্রতি উত্তরে বলেছিলেন, যখন তারা তাকে অপবাদ দিয়ে বলেছিলঃ “তোমার উপর আমাদের দেবতাদের মার পড়েছে, এ জন্যেই তুমি এসব বিভ্রান্তি মূলক কথা বলছো।” তিনি উত্তরে তাদেরকে বলেছিলেনঃ “আমি তো আল্লাহরই সাক্ষ্য দান করছি এবং পরিষ্কারভাবে তোমাদেরকে বলে দিচ্ছি যে, আমি তোমাদের শরীকদের প্রতি ঘৃণা ও অসন্তোষ প্রকাশ করছি। আচ্ছা, তোমরা সমবেতভাবে আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করে দেখো এবং আমাকে আত্মরক্ষার সুযোগে পর্যন্ত দিয়ো না। তোমরা আমার কি ক্ষতি করবে? আমার ভরসাস্থল একমাত্র আল্লাহ। তিনি আমার তোমাদের সবারই প্রতিপালক। দুনিয়ায় এমন কোন প্রাণী নেই যার বাগডোর তার হাতে নেই। আমার প্রতিপালক সরল ও সঠিক পথে রয়েছেন।” হযরত ইবরাহীম (আঃ) স্বীয় কওমকে বলেছিলেনঃ “যে প্রতিমাগুলোর পূজা তোমরা করছো এবং তোমাদের পূর্বপুরুষরা করতো সেগুলো সম্পর্কে তোমাদের ধারণা কি? এরা তো আমার শত্রু, আর আমার বন্ধু হচ্ছেন স্বয়ং আমার প্রতিপালক। তিনিই আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং তিনিই আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করবেন।” আরো যেমন হযরত ইবরাহীম (আঃ) স্বীয় পিতা এবং কওমের লোককে সম্বোধন করে বলেছিলেনঃ “আমি তোমাদের দেবতাদের থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত। আমি আমার আল্লাহরই ইবাদতকারী যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর আমাকে হিদায়াতের পথে চালিয়েছেন, আর এর পেছনে তিনি এটাকে একটা স্মারক হিসাবে রেখে দিয়েছেন, আশা এই যে, হয়তো এরা নিজেদের কার্যকলাপ থেকে ফিরে আসবে।” এ জন্যেই ইরশাদ হচ্ছে- এরা না তোমাদের সাহায্য করতে পারে, না পারে নিজেদেরকে সাহায্য করতে। যদি তুমি তাদেরকে হিদায়াতের দিকে আহ্বান কর তবে তারা তোমার ডাক শুনতে পাবে না। তুমি মনে করছে যে, ওরা (মূর্তিগুলো) তোমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে, কিন্তু আসলে কিছুই দেখে না। ওরা ছবির চক্ষু দ্বারা তোমাকে দেখছে। মনে হচ্ছে যেন প্রকৃতই তোমার প্রতি দৃষ্টিপাত করছে। কিন্তু বাস্তবে তো ওরা নিজীব। এ জন্যেই ওদের সম্পর্কে এমন ভাষা প্রয়োগ করা হয়েছে যেমন জ্ঞান বুদ্ধির অধিকারীর ব্যাপারে প্রয়োগ করা হয়। কেননা, ওগুলো হচ্ছে মানুষের আকৃতি বিশিষ্ট এবং মানুষের মতই মনে হয়। আল্লাহ পাক বলেনঃ তুমি দেখছো যে, তারা যেন মনোযোগের সাথে তোমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এ কারণেই ওদের ব্যাপারে সর্বনাম ব্যবহার করা হয়েছে, যা মানুষের বেলায় প্রয়োগ করা হয়। অথচ ওগুলো তো জড় পদার্থ ও নিজীব। আর নির্জীব ও জড় পদার্থের ব্যাপারে (আরবী) সর্বনাম ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সুদ্দী (রঃ) এর দ্বারা প্রতিমার পরিবর্তে মুশরিকদেরকে বুঝানো হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেন। কিন্তু প্রথম মতটিই সঠিকতর।

English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura Al-Araf
Sura:7
Verses :- 191-198

لَا يَخْلُقُ شَيْياً وَهُمْ يُخْلَقُونَ

Who created nothing but they themselves are created,

Idols do not create, help, or have Power over Anything

Allah admonishes the idolators who worshipped idols, rivals and images besides Him, although these objects were created by Allah, and neither own anything nor can they bring harm or benefit. These objects do not see or give aid to those who worship them. They are inanimate objects that neither move, hear, or see. Those who worship these objects are better than they are, for they hear see and have strength of their own.

Allah said,

أَيُشْرِكُونَ مَا لَا يَخْلُقُ شَيْياً وَهُمْ يُخْلَقُونَ

Do they attribute as partners to Allah those who created nothing but they themselves are created!

meaning, `Do you associate with Allah others that neither create, nor have power to create anything!’

Allah said in other Ayat,

يأَيُّهَا النَّاسُ ضُرِبَ مَثَلٌ فَاسْتَمِعُواْ لَهُ إِنَّ الَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِ اللَّهِ لَن يَخْلُقُواْ ذُبَاباً وَلَوِ اجْتَمَعُواْ لَهُ وَإِن يَسْلُبْهُمُ الذُّبَابُ شَيْياً لاأَّ يَسْتَنقِذُوهُ مِنْهُ ضَعُفَ الطَّالِبُ وَالْمَطْلُوبُ

مَا قَدَرُواْ اللَّهَ حَقَّ قَدْرِهِ إِنَّ اللَّهَ لَقَوِىٌّ عَزِيزٌ

O mankind! A similitude has been coined, so listen to it (carefully):Verily, those on whom you call besides Allah, cannot create (even) a fly, even though they combine together for the purpose. And if the fly snatches away a thing from them, they will have no power to release it from the fly. So weak are (both) the seeker and the sought. They have not estimated Allah His rightful estimate. Verily, Allah is All-Strong, Almighty. (22:73-74)

Allah states that if all false gods of the disbelievers gather their strength, they would not be able to create a fly. Rather, if the fly steals anything from them, no matter how insignificant, and flew away, they would not be able to retrieve it. Therefore, if an object is this weak, how can it be worshipped and invoked for provisions and aid. This is why Allah said,
لَا يَخْلُقُ شَيْياً وَهُمْ يُخْلَقُونَ
(… who created nothing but they themselves are created), these worshipped objects themselves were created and made. Prophet Ibrahim Al-Khalil proclaimed,
أَتَعْبُدُونَ مَا تَنْحِتُونَ
(“Worship you that which you (yourselves) carve.” (37:95).

Allah said next.

وَلَا يَسْتَطِيعُونَ لَهُمْ نَصْرًا

No help can they give them,

those who worship them,

وَلَا أَنفُسَهُمْ يَنصُرُونَ

nor can they help themselves.

nor are they able to aid themselves against those who seek to harm them. For instance, Allah’s Khalil, peace be upon him, broke and disgraced the idols of his people, just as Allah said he did,
فَرَاغَ عَلَيْهِمْ ضَرْبًا بِالْيَمِينِ
(Then he turned upon them, striking (them) with (his) right hand), (37:93) and,
فَجَعَلَهُمْ جُذَاذًا إِلاَّ كَبِيرًا لَّهُمْ لَعَلَّهُمْ إِلَيْهِ يَرْجِعُونَ
(So he broke them to pieces, (all) except the biggest of them, that they might turn to it). (21:58)

Mu`adh bin Amr ibn Al-Jamuh and Mu`adh bin Jabal, may Allah be pleased with both of them, were still young when they embraced Islam after the Messenger of Allah came to Al-Madinah. So they were attacking the idols of the idolators at night, breaking, disfiguring them and using them as fuel for needy widows. They sought to give a lesson to their people to make them aware of their error.

Amr bin Al-Jamuh, who was one of the chiefs of his people, had an idol that he used to worship and perfume. The two Mu`adhs used to go to that idol, turn it on its head and tarnish it with animal waste. When Amr bin Al-Jamuh would see what happened to his idol, he would clean it, perfume it and leave a sword next to it, saying, “Defend yourself.” However, the two young men would repeat their actions, and he would do the same as before.

Once, they took the idol, tied it to a dead dog and threw it in a well while tied to a rope! When Amr bin Al-Jamuh saw this, he knew that his religion was false and said, “By Allah! Had you been a god who has might, you would not end up tied to a dog on a rope!”

Amr bin Al-Jamuh embraced Islam, and he was strong in his Islam. He was later martyred during the battle of Uhud, may Allah be pleased with him, give him pleasure. and grant him Paradise as his dwelling.

Allah said.

وَإِن تَدْعُوهُمْ إِلَى الْهُدَى لَا يَتَّبِعُوكُمْ

And if you call them to guidance, they follow you not.

Allah says, these idols do not hear the calls of those who worship them. Therefore, the result is the same, whether calling the idols or shunning them.

سَوَاء عَلَيْكُمْ أَدَعَوْتُمُوهُمْ أَمْ أَنتُمْ صَامِتُونَ

It is the same for you whether you call them or you keep silent.

Ibrahim, peace be upon said,

يأَبَتِ لِمَ تَعْبُدُ مَا لاأَ يَسْمَعُ وَلاأَ يَبْصِرُ وَلاأَ يُغْنِى عَنكَ شَيْياً

“O my father! Why do you worship that which hears not, sees not and cannot avail you in anything!” (19:42)

Next, Allah states,

إِنَّ الَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِ اللّهِ عِبَادٌ أَمْثَالُكُمْ فَادْعُوهُمْ فَلْيَسْتَجِيبُواْ لَكُمْ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ

Verily, those whom you call upon besides Allah are servants like you. So call upon them and let them answer you if you are truthful.

أَلَهُمْ أَرْجُلٌ يَمْشُونَ بِهَا أَمْ لَهُمْ أَيْدٍ يَبْطِشُونَ بِهَا أَمْ لَهُمْ أَعْيُنٌ يُبْصِرُونَ بِهَا أَمْ لَهُمْ اذَانٌ يَسْمَعُونَ بِهَا

Have they feet wherewith they walk! Or have they hands wherewith they hold! Or have they eyes wherewith they see! Or have they ears wherewith they hear!

Allah states that the idols were created, just as those who worship them. Rather, the people are better than the idols, because they are able to hear, see and exert harm. The idols, on the other hand, have no such powers.

Allah said next,

قُلِ ادْعُواْ شُرَكَاءكُمْ ثُمَّ كِيدُونِ فَلَ تُنظِرُونِ

Say:”Call your (so-called) partners (of Allah) and then plot against me, and give me no respite!

invoke the idols for aid against me and do not give me respite, even for an instant, and give it your best effort,

إِنَّ وَلِيِّـيَ اللّهُ الَّذِي نَزَّلَ الْكِتَابَ وَهُوَ يَتَوَلَّى الصَّالِحِينَ

Verily, my protector is Allah Who has revealed the Book (the Qur’an), and He protects the righteous.

Allah’s support is sufficient and He will suffice for me, He is My supporter, I trust in Him and take refuge with Him. He is my protector, in this life and the Hereafter, and the protector of every righteous believer after me.

Similarly, the people of Hud said,

إِن نَّقُولُ إِلاَّ اعْتَرَاكَ بَعْضُ ءَالِهَتِنَا بِسُوءٍ قَالَ إِنِّى أُشْهِدُ اللَّهِ وَاشْهَدُواْ أَنِّى بَرِىءٌ مِّمَّا تُشْرِكُونَ

مِن دُونِهِ فَكِيدُونِى جَمِيعًا ثُمَّ لَا تُنظِرُونِ

إِنِّى تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ رَبِّى وَرَبِّكُمْ مَّا مِن دَابَّةٍ إِلاَّ هُوَ ءاخِذٌ بِنَاصِيَتِهَأ إِنَّ رَبِّى عَلَى صِرَطٍ مُّسْتَقِيمٍ

“All that we say is that some of our gods have seized you with evil (madness).”

Hud replied:”I call Allah to witness, and bear you witness that I am free from that which you ascribe (as partners in worship, with Him (Allah)). So plot against me, all of you, and give me no respite. I put my trust in Allah, my Lord and your Lord! There is not a moving (living) creature but He has the grasp of its forelock. Verily, my Lord is on a path that is straight. (11:54-56)

Ibrahim Al-Khalil proclaimed (to his people),

قَالَ أَفَرَءَيْتُمْ مَّا كُنْتُمْ تَعْبُدُونَ

أَنتُمْ وَءَابَأوُكُمُ الاٌّقْدَمُونَ

فَإِنَّهُمْ عَدُوٌّ لِى إِلاَّ رَبَّ الْعَـلَمِينَ

الَّذِى خَلَقَنِى فَهُوَ يَهْدِينِ

Do you observe that which you have been worshipping, You and your ancient fathers. Verily, they are enemies to me, save the Lord of all that exists. Who has created me, and it is He Who guides me.” (26:75-78)

He also said to his father and his people,

وَإِذْ قَالَ إِبْرَهِيمُ لاًّبِيهِ وَقَوْمِهِ إِنَّنِى بَرَاءٌ مِّمَّا تَعْبُدُونَ

إِلاَّ الَّذِى فَطَرَنِى فَإِنَّهُ سَيَهْدِينِ

وَجَعَلَهَا كَلِمَةً بَـقِيَةً فِى عَقِبِهِ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ

“Verily, I am innocent of what you warship. Except Him Who did create me; and verily, He will guide me.”

And he made it a legacy lasting among his offspring, that they may turn back (to Allah). (43:26-28)

Allah said here,
إِنَّ الَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِ اللّهِ
(Verily, those whom you call upon besides Allah) until the end of the Ayah, reiterating what has been said earlier, but He uses direct speech this time,

وَالَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِهِ لَا يَسْتَطِيعُونَ نَصْرَكُمْ وَلا أَنفُسَهُمْ يَنْصُرُونَ

And those whom you call upon besides Him (Allah) cannot help you nor can they help themselves.

The Ayah,

وَإِن تَدْعُوهُمْ إِلَى الْهُدَى لَا يَسْمَعُواْ إِن تَدْعُوهُمْ لَا يَسْمَعُواْ دُعَأءَكُمْ وَتَرَاهُمْ يَنظُرُونَ إِلَيْكَ وَهُمْ لَا يُبْصِرُونَ

and you will see them looking at you, yet they see not.

meaning, they have eyes that stare as if they see, although they are solid. Therefore, the Ayah treated them as if they had a mind (saying, Tarahum, instead of Taraha), since they are made in the shape of humans with eyes drawn on them.

তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ বলেছেন:-

১৯১-১৯৮ নং আয়াতের তাফসীর:

এ আয়াতগুলোতে আল্লাহ তা‘আলা মুশরিকদের সম্বোধন করে বলেন- তোমরা যাকে মা’বুদ হিসেবে ডাক তারা তো তোমাদের মতই মানুষ, তারা জীবিত ছিল আর এখন মারা গেছে। তাদের এখন হাত, পা, চোখ, কান ইত্যাদি কিছুই নেই যে, তারা তোমাদের ডাকে সাড়া দেবে বা দেখবে বা তোমাদেরকে স্পর্শ করবে। অতএব কি জন্য তাদেরকে ডাকছ, কি জন্য তাদের কবরে আস্তানা ও খানকা বা মাসজিদ বানিয়ে তাদের ইবাদত করছ? জেনে রেখো! আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে যাকে তোমরা ডাক তারা তোমাদের সহযোগিতা করতে পারবে না।

(إِنَّ وَلِيِّيَ اللّٰهُ)

‘নিশ্চয়ই আমার অভিভাবক আল্লাহ’ রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-সহ সকল মু’মিনদের অভিভাবক হলেন একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা। রাসূল বলেন: আমার কোন বন্ধু বা অভিভাবক নেই। আমার একমাত্র বন্ধু হলেন আল্লাহ তা‘আলা ও সৎ মু’মিনগণ। (সহীহ বুখারী হা: ৫৯৯০, সহীহ মুসলিম হা: ১৭৩৪৮)

(وَإِنْ تَدْعُوْهُمْ إِلَي الْهُدٰي لَا يَتَّبِعُوْكُمْ)

‘তোমরা তাদেরকে সৎ পথে আহ্বান করলেও তারা তোমাদেরকে অনুসরণ করবে না’ এ আয়াতের তাফসীর ১৯৩ নং আয়াতেই আল্লাহ তা‘আলা বলে দিয়েছেন।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান বলেছেন:-
* তোমাদের কথামত তারা কাজ করবে না। এর দ্বিতীয় অর্থ এও হতে পারে যে, তোমরা তাদের নিকট হতে পথনির্দেশ ও হিদায়াত চাও, তাহলে না তারা তোমাদের কথা মানবে, আর না কোন উত্তর দেবে। (ফাতহুল কাদীর)
* যখন তারা জীবিত ছিল। আর এখন (ওদের মৃত্যুর পর) তোমরা তাদের তুলনায় বেশি ‘কামেল’ (সাবলম্বী)। কারণ, তারা দেখতে পায় না, তোমরা দেখতে পাও। তারা শুনতে পায় না, তোমরা শুনতে পাও। তারা কারো কথা বুঝতে পারে না, আর তোমরা বুঝতে পার। তারা উত্তর দিতে সক্ষম নয়, তোমরা উত্তরদানে সক্ষম। এখান হতে প্রমাণিত যে, মুশরিকরা যাদের মূর্তি তৈরী করে ইবাদত করত, তারাও আল্লাহর বান্দা মানুষই ছিল। যেমন নূহ (আঃ)-এর পাঁচ মূর্তি সম্পৃক্ত ঘটনায় সহীহ বুখারীতে এ কথা স্পষ্ট যে, তাঁরা আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দা ছিলেন।
* তাদের নিকট এখন এসবের কিছুই নেই। মুত্যুর সাথে সাথেই দেখা, শোনা, ধরা ও চলার শক্তি শেষ হয়ে গেছে। এখন তাদের দিকে সম্পৃক্ত কাঠ বা পাথর নির্মিত মূর্তি অথবা গম্বুজ, আস্তানা ও খানকা রয়েছে; যা তাদের কবরের উপর বানানো হয়েছে। আর এভাবেই বিনা পুঁজির (মৃত বুযুর্গের) ব্যবসা রমরমা হয়ে আছে। কবি বলেন, ‘আগার চে পীর হ্যায় আদম, জওয়াঁ হ্যাঁয় লাত অ মানাত।’ অর্থাৎ, আদম যদিও বুড়িয়ে গেছেন, যুবক আছে লাত ও মানাত!

* যদি তোমরা তোমাদের দাবীতে সত্য হও যে, তারা তোমাদের সহযোগী সাহায্যকারী, তাহলে তাদেরকে বল, তারা আমার বিরুদ্ধে কোন চক্রান্ত করুক।

* ে অপরের সাহায্য করবে কিভাবে? কবি বলেন, جو خود محتاج هوئےدوسرے كا بهلا اسسے مدد كا مانگنا كيا অর্থাৎ, যে অপরের মুখাপেক্ষী, তার কাছে সাহায্য ভিক্ষা কি শোভনীয়?

তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-

মুশরিকদের বাতিল মাবুদদের অবস্থা হচ্ছে এই যে, তাদের পক্ষে কাউকে সঠিক পথ দেখানো এবং নিজেদের অনুগামী ও পূজারীদেরকে পথের সন্ধান দেয়া তো দূরের কথা, তারা তো কোন পথপ্রদর্শকের অনুসরণ করারও যোগ্যতা রাখে না। এমনকি কোন আহ্বানকারীর আহবানের জবাব দেবার ক্ষমতাও তাদের নেই।

* এখানে একটি কথা পরিষ্কারভাবে বুঝে নিতে হবে। শিরক আশ্রিত ধর্মগুলোয় তিনটি জিনিস আলাদা আলাদা পাওয়া যায়, এক, যেসব মূর্তি, ছবি বা নিদর্শনকে পূজা করা হয় এবং যেগুলোকে কেন্দ্র করে সমগ্র পূজা কর্মটি অনুষ্ঠিত হয়। দুই, যেসব ব্যক্তি, আত্মা বা ভাবদেবীকে আসল মাবুদ গণ্য করা হয় এবং মূর্তি, ছবি ইত্যাদির মাধ্যমে যেগুলোর প্রতিনিধিত্ব করা হয়। তিন, এসব মুশরিকী পূজা অনুষ্ঠানাদির গভীরে যেসব আকীদা বিশ্বাস কার্যকর থাকে। কুরআন বিভিন্ন পদ্ধতিতে এ তিনটি জিনিসের ওপর আঘাত হেনেছে। তবে এখানে তার সমালোচনার লক্ষ্য হচ্ছে প্রথম জিনিসটি। অর্থাৎ মুশরিকরা যেসব মূর্তির সামনে পূজার অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন করে এবং যাদের সামনে নিজেদের আবেদন-নিবেদন ও নজরানা পেশ করে, তাদেরকেই এখানে সমালোচনার বস্তু হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

* মুশরিকরা নবী (সা.) কে যে হুমকি দিয়ে আসছিল এটা হচ্ছে তার জবাব। তারা বলতো, যদি তুমি আমাদের এসব মাবুদের বিরোধিতা করা থেকে বিরত না হও এবং তাদের বিরুদ্ধে লোকদের বিশ্বাস এভাবে নষ্ট করে যেতে থাকো, তাহলে তুমি তাদের গযবের শিকার হবে এবং তারা তোমাকে একেবারে নাস্তানাবুদ করে দেবে।

Leave a Reply