أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book# 114/٣٧٢)-৫৭৫
www.motaher21.net
সুরা: আল্ – আনফাল।
সুরা:৮
৩৩-৩৫ নং আয়াত:-
وَمَا كَانَ اللّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونَ
তিনি এরূপ নন যে, তাদের ক্ষমা প্রার্থনা করা অবস্থায় তিনি তাদেরকে শাস্তি দেবেন।
Nor will He punish them while they seek (Allah’s) forgiveness.
وَ مَا کَانَ اللّٰہُ لِیُعَذِّبَہُمۡ وَ اَنۡتَ فِیۡہِمۡ ؕ وَ مَا کَانَ اللّٰہُ مُعَذِّبَہُمۡ وَ ہُمۡ یَسۡتَغۡفِرُوۡنَ ﴿۳۳﴾
وَ مَا لَہُمۡ اَلَّا یُعَذِّبَہُمُ اللّٰہُ وَ ہُمۡ یَصُدُّوۡنَ عَنِ الۡمَسۡجِدِ الۡحَرَامِ وَ مَا کَانُوۡۤا اَوۡلِیَآءَہٗ ؕ اِنۡ اَوۡلِیَآؤُہٗۤ اِلَّا الۡمُتَّقُوۡنَ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَہُمۡ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۳۴﴾
وَ مَا کَانَ صَلَاتُہُمۡ عِنۡدَ الۡبَیۡتِ اِلَّا مُکَآءً وَّ تَصۡدِیَۃً ؕ فَذُوۡقُوا الۡعَذَابَ بِمَا کُنۡتُمۡ تَکۡفُرُوۡنَ ﴿۳۵﴾
আল্লাহ এরূপ নন যে, তুমি তাদের মধ্যে থাকা অবস্থায় তিনি তাদেরকে শাস্তি দেবেন এবং তিনি এরূপ নন যে, তাদের ক্ষমা প্রার্থনা করা অবস্থায় তিনি তাদেরকে শাস্তি দেবেন।
তাদের মধ্যে কি (এমন গুণ) আছে যে, আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দেবেন না; যখন তারা লোকদেরকে মাসজিদুল-হারাম (পবিত্র কা’বা) হতে নিবৃত্ত করে? অথচ তারা ওর তত্ত্বাবধায়ক নয়, ওর তত্ত্বাবধায়ক তো কেবল (পরহেযগার) সাবধানী লোকেরাই। কিন্তু তাদের অধিকাংশ তা অবগত নয়।
আর কা’বা গৃহের নিকট শুধু শিস ও করতালি দেওয়াই ছিল তাদের নামায। সুতরাং অবিশ্বাসের জন্য তোমরা শাস্তি ভোগ কর।
তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ বলেছেন:-
৩৩-৩৫ নং আয়াতের শানে নুযূল:
(وَمَا كَانَ اللّٰهُ لِيُعَذِّبَهُمْ وَأَنْتَ فِيْهِمْ)
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আবূ জাহল বলল: হে আল্লাহ! এ কুরআন যদি তোমার পক্ষ থেকে সত্য হয় তাহলে আমাদের ওপর পাথর বর্ষণ কর অথবা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দাও। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। (সহীহ বুখারী হা: ৪৬৪৯, সহীহ মুসলিম হা: ২৭৯৬)
তারপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন: তাদেরকে তিনি কেন শাস্তি দেবেন না! কারণ তারা মাসজিদে হারাম থেকে মানুষকে বাধা দেয়। তারা তো এ মাসজিদের তত্ত্বাবধায়ক নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “তারাই ঐ সকল লোক, যারা কুফরী করেছে ও তোমাদেরকে মাসজিদুল হারাম থেকে ফিরিয়ে রেখেছে এবং কুরবানীর উটগুলোকে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছতে দেয়নি। যদি (মক্কায়) এমন মু’মিন নর ও নারী না থাকত যাদের কথা তোমরা জান না আর অজ্ঞতাবশত তোমরা তাদেরকে পদদলিত করে ফেলবে এবং এতে তোমরাও তাদের পক্ষ থেকে কষ্ট পাবে (এ আশঙ্কা না থাকলে যুদ্ধ বন্ধ করা হতো না)। (যুদ্ধ এ জন্য বন্ধ করা হয়েছে) যাতে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে তাঁর রহমতে শামিল করে নেন। ঐ মু’মিনরা যদি (কাফিরদের থেকে) আলাদা অবস্থায় থাকত তাহলে (মক্কায়) যারা কাফির ছিল তাদেরকে আমি অবশ্যই কঠিন শাস্তি দিতাম।”(সূরা ফাতহ ৪৮:২৫)
মাসজিদের তত্ত্বাবধায়ক হবে একমাত্র ঈমানদারগণ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “মুশরিকরা যখন নিজেরাই নিজেদের কুফরী স্বীকার করে তখন তারা আল্লাহর মাসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করবে- এমনটি হতে পারে না। তারা এমন যাদের সমস্ত কর্ম ব্যর্থ হয়ে গেছে এবং তারা অগ্নিতেই স্থায়ীভাবে অবস্থান করবে। তারাই তো আল্লাহর মাসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করবে যারা ঈমান আনে আল্লাহ ও আখিরাতে এবং সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে ভয় করে না। অতএব আশা করা যায়, তারা হবে সৎ পথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।”(সূরা তাওবাহ ৯:১৭-১৮)
(إِلَّا مُكَا۬ءً وَتَصْدِيَةً)
‘কা‘বা ঘরের নিকট শুধু শিস ও হাততালি দেয়াই ছিল তাদের সালাত’ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন: কুরাইশরা উলঙ্গ অবস্থায় কাবা তাওয়াফ করত ও মুখে আঙ্গুল দিয়ে শিস দিত এবং দু’হাত দ্বারা তালি বাজাত। (ইবনু কাসীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)
এরূপ করাকে তারা ইবাদত ও পুণ্যের কাজ মনে করত। যেমন আজকাল কিছু সুফীরা তাদের আস্তানায় ঢোল-তবলা বাজায় এবং বলে, এটাই আমাদের ইবাদত ও সালাত।
সুতরাং নিজের কাছে যা ভাল মনে হবে তা-ই ইবাদত, আর যা ভাল মনে হবে না তা ইবাদতের বাইরে- এমন কথা ইবাদতের মাপকাঠি নয় বরং ইবাদতের মাপকাঠি হল কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ। কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ যাকে ইবাদত বলে আখ্যায়িত করবে তাই ইবাদত বলে গণ্য হবে তা- নিজের মনোপুত হোক আর না-ই হোক।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
কোন নাবীর বর্তমানে তিনি না চাইলে তাঁর জাতিকে আল্লাহ তা‘আলা আযাব দেন না।
* মাসজিদে কেবল ঈমানদাররাই ইবাদত করবে, দেখা শোনা করবে এবং তদারকি করবে।
* মাসজিদে শিস দেয়া, হাতে তালি দেয়া নিষেধ। তবে সালাতে ভুল হলে স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য মহিলাদের হাতে তালি দিয়ে সংকেত দেয়া বৈধ।
English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura Al-Anfal
Sura:8
Verses :- 33-35
وَمَا كَانَ اللّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونَ
Nor will He punish them while they seek (Allah’s) forgiveness.
And Allah would not punish them while you are among them, nor will He punish them while they seek (Allah’s) forgiveness.
Ibn Abi Hatim recorded that Ibn Abbas said,
“Pagans used to go around the House in Tawaf and proclaim, `We rush to Your obedience, O Allah, there is no partner with You,’ and the Prophet would tell them,
قَدٍ قَد
Enough, enough.
But they would go on, `We rush to Your obedience, O Allah, there is no partner with You except a partner who is with You, You own Him but he does not own!
They also used to say, `O Allah, Your forgiveness, Your forgiveness.’
Allah revealed this verse;
وَمَا كَانَ اللّهُ لِيُعَذِّبَهُمْ وَأَنتَ فِيهِمْ
(And Allah would not punish them while you are among them…).”‘
Ibn Abbas commented,
“They had two safety shelters:
the Prophet, and
their seeking forgiveness (from Allah).
The Prophet went away, and only seeking forgiveness remained.”
At-Tirmidhi recorded that Abu Musa said that the Messenger of Allah said,
أَنْزَلَ اللهُ عَلَيَّ أَمَانَيْنِ لاُِمَّتِي
“Allah sent down to me two safe shelters for the benefit of my Ummah.
وَمَا كَانَ اللّهُ لِيُعَذِّبَهُمْ وَأَنتَ فِيهِمْ وَمَا كَانَ اللّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونَ
And Allah would not punish them while you are among them, nor will He punish them while they seek (Allah’s) forgiveness.
فَإِذَا مَضَيْتُ تَرَكْتُ فِيهِمُ الاْإسْتِغْفَارَ إِلَى يَومِ الْقِيَامَة
When I die, I will leave the seeking of forgiveness with them, until the Day of Resurrection.
What testifies to this Hadith, is the Hadith that Ahmad recorded in his Musnad and Al-Hakim in his Mustadrak, that Abu Sa`id narrated that the Messenger of Allah said,
إِنَّ الشَّيْطَانَ قَالَ وَعِزَّتِكَ يَا رَبِّ لَا أَبْرَحُ أَغْوِي عِبَادَكَ مَا دَامَتْ أَرْوَاحُهُمْ فِي أَجْسَادِهِمْ
فَقَالَ الرَّبُّ وَعِزَّتِي وَجَلَلِي لَا أَزَالُ أَغْفِرُ لَهُمْ مَا اسْتَغْفَرُونِي
Shaytan said, `By Your might, O Lord! I will go on luring Your servants as long as their souls are still in their bodies.’
The Lord said, `By My might and majesty! I will keep forgiving them, as long as they keep invoking Me for forgiveness.’
Al-Hakim said, “Its chain is Sahih and they did not record it.
The Idolators deserved Allah’s Torment after Their Atrocities
Allah states that the idolators deserved the torment, but He did not torment them in honor of the Prophet residing among them. After Allah allowed the Prophet to migrate away from them, He sent His torment upon them on the day of Badr. During that battle, the chief pagans were killed, or captured. Allah also directed them to seek forgiveness for the sins, Shirk and wickedness they indulged in. If it was not for the fact that there were some weak Muslims living among the Makkan pagans, those Muslims who invoked Allah for His forgiveness, Allah would have sent down to them the torment that could never be averted. Allah did not do that on account of the weak, ill-treated, and oppressed believers living among them, as He reiterated about the day at Al-Hudaybiyyah,
هُمُ الَّذِينَ كَفَرُواْ وَصَدُّوكُمْ عَنِ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَالْهَدْىَ مَعْكُوفاً أَن يَبْلُغَ مَحِلَّهُ وَلَوْلَا رِجَالٌ مُّوْمِنُونَ وَنِسَأءٌ مُّوْمِنَـتٌ لَّمْ تَعْلَمُوهُمْ أَن تَطَيُوهُمْ فَتُصِيبَكمْ مِّنْهُمْ مَّعَرَّةٌ بِغَيْرِ عِلْمٍ لِّيُدْخِلَ اللَّهُ فِى رَحْمَتِهِ مَن يَشَأءُ لَوْ تَزَيَّلُواْ لَعَذَّبْنَا الَّذِينَ كَفَرُواْ مِنْهُمْ عَذَاباً أَلِيماً
They are the ones who disbelieved and hindered you from Al-Masjid Al-Haram (at Makkah) and detained the sacrificial animals from reaching their place of sacrifice. Had there not been believing men and believing women whom you did not know, that you may kill them and on whose account a sin would have been committed by you without (your) knowledge, that Allah might bring into His mercy whom He wills if they (the believers and the disbelievers) had been apart, We verily, would have punished those of them who disbelieved with painful torment. (48:25)
Allah said here,
وَمَا لَهُمْ أَلاَّ يُعَذِّبَهُمُ اللّهُ وَهُمْ يَصُدُّونَ عَنِ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَمَا كَانُواْ أَوْلِيَاءهُ إِنْ أَوْلِيَأوُهُ إِلاَّ الْمُتَّقُونَ وَلَـكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ
And why should not Allah punish them while they hinder (men) from Al-Masjid Al-Haram, and they are not its guardians!
None can be its guardians except those who have Taqwa, but most of them know not.
Allah asks, `why would not He torment them while they are stopping Muslims from going to Al-Masjid Al-Haram, thus hindering the believers, its own people, from praying and performing Tawaf in it’
Allah said,
وَمَا كَانُواْ أَوْلِيَاءهُ إِنْ أَوْلِيَأوُهُ إِلاَّ الْمُتَّقُونَ
And they are not its guardians. None can be its guardians except those who have Taqwa,
meaning, the Prophet and his Companions are the true dwellers (or worthy maintainers) of Al-Masjid Al-Haram, not the pagans. Allah said in other Ayah,
مَا كَانَ لِلْمُشْرِكِينَ أَن يَعْمُرُواْ مَسَاجِدَ الله شَـهِدِينَ عَلَى أَنفُسِهِم بِالْكُفْرِ أُوْلَـيِكَ حَبِطَتْ أَعْمَـلُهُمْ وَفِى النَّارِ هُمْ خَـلِدُونَ
إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَـجِدَ اللَّهِ مَنْ ءَامَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الاٌّخِرِ وَأَقَامَ الصَّلَوةَ وَءاتَى الزَّكَوةَ وَلَمْ يَخْشَ إِلاَّ اللَّهَ فَعَسَى أُوْلَـيِكَ أَن يَكُونُواْ مِنَ الْمُهْتَدِينَ
It is not for the polytheists, to maintain the Masjids of Allah, while they witness disbelief against themselves. The works of such are in vain and in the Fire shall they abide.
The Masjids of Allah shall be maintained only by those who believe in Allah and the Last Day; perform the Salah, and give the Zakah and fear none but Allah. It is they who are on true guidance. (9:17-18)
and,
وَصَدٌّ عَن سَبِيلِ اللَّهِ وَكُفْرٌ بِهِ وَالْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَإِخْرَاجُ أَهْلِهِ مِنْهُ أَكْبَرُ عِندَ اللَّهِ
But a greater (transgression) with Allah is to prevent mankind from following the way of Allah, to disbelieve in Him, to prevent access to Al-Masjid Al-Haram (at Makkah), and to drive out its inhabitants, (2:217)
Urwah, As-Suddi and Muhammad bin Ishaq said that Allah’s statement,
إِنْ أَوْلِيَأوُهُ إِلاَّ الْمُتَّقُونَ
(None can be its guardians except those who have Taqwa),
refers to Muhammad and his Companions, may Allah be pleased with them all.
Mujahid explained that;
this Ayah is about the Mujahidin (in Allah’s cause), whomever and wherever they may be.
Allah then mentioned the practice of the pagans next to Al-Masjid Al-Haram and the respect they observed in its vicinity.
وَمَا كَانَ صَلَتُهُمْ عِندَ الْبَيْتِ إِلاَّ مُكَاء وَتَصْدِيَةً
Their Salah (prayer) at the House was nothing but Muka’ and Tasdiyah.
Abdullah bin Umar, Ibn Abbas, Mujahid, Ikrimah, Sa`id bin Jubayr, Abu Raja’ Al-Utardi, Muhammad bin Ka`b Al-Qurazi, Hujr bin Anbas, Nubayt bin Sharit, Qatadah and Abdur-Rahman bin Zayd bin Aslam said that;
this part of the Ayah refers to whistling.
Mujahid added that the pagans used to place their fingers in their mouth (while whistling).
Sa`id bin Jubayr said that Ibn `Abbas commented on Allah’s statement,
وَمَا كَانَ صَلَتُهُمْ عِندَ الْبَيْتِ إِلاَّ مُكَاء وَتَصْدِيَةً
(Their Salat at the House was nothing but Muka’and Tasdiyah),
“The Quraysh used to perform Tawaf (encircling the Ka`bah) while naked, whistling and clapping their hands, for Muka’ means `whistling’, while, Tasdiyah means `clapping the hands.”‘
This meaning was also reported from Ibn Abbas, by Ali bin Abi Talhah and Al-Awfi.
Similar was recorded from Ibn Umar, Mujahid, Muhammad bin Ka`b, Abu Salamah bin Abdur-Rahman, Ad-Dahhak, Qatadah, Atiyyah Al-Awfi, Hujr bin Anbas and Ibn Abza.
Ibn Jarir recorded that Ibn Umar explained the Ayah,
“Muka’ means `whistling’, while, `Tasdiyah’ means `clapping the hands.”‘
Sa`id bin Jubayr and `Abdur-Rahman bin Zayd said that,
وَتَصْدِيَةً
(and Tasdiyah),
means, they hindered from the path of Allah, the Exalted and Most Honored.
Allah said,
فَذُوقُواْ الْعَذَابَ بِمَا كُنتُمْ تَكْفُرُونَ
Therefore taste the punishment because you used to disbelieve.
According to Ad-Dahhak, Ibn Jurayj and Muhammad bin Ishaq,
this refers to the death and capture that they suffered during the battle of Badr.
তাফসীরে ইবনে কাসীর বলেছেন:-
৩৩-৩৫ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা’আলা খবর দিচ্ছেন যে, মক্কাবাসী মুশরিকরা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য তো অবশ্যই ছিল, কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর বরকতে শাস্তি থেকে বেঁচে যায় । এজন্যে যখন তিনি মক্কা ছেড়ে চলে যান তখন বদরের দিন তাদের উপর শাস্তি নেমে আসে। তাদের নেতারা নিহত এবং বড় বড় লোক বন্দী হয়। আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে ক্ষমা প্রার্থনা করার কথা বলে দেন, কিন্তু ওর সাথে তারা শিরক ও ফাসাদকেও মিলিয়ে দেয়। কাতাদা (রঃ) এবং সুদ্দী (রঃ) বলেন যে, এই নিহত কুরায়েশরা ক্ষমা প্রার্থনা করতো না। যদি তারা তা করে থাকতো তবে আল্লাহ তাআলা বদরের যুদ্ধে তাদেরকে লাঞ্ছনার মৃত্যু দিতেন না। আর যদি এই দুর্বল মুসলমানরা মক্কায় অবস্থান করে ক্ষমা প্রার্থনা না করতেন তবে মক্কাবাসীর উপর এমন বিপদ এসে পড়তে যা কোনক্রমেই দূর করা যেতো না। ক্ষমা প্রার্থনার বরকতেই মক্কায় শাস্তি নাযিল হওয়া থেকে কুরায়েশরা রক্ষা পেয়েছে এবং মক্কার মুসলমানদের মাধ্যমেই তারা কিছুকাল পর্যন্ত আযাব থেকে মাহফুয থেকেছে। হুদায়বিয়ার দিন আল্লাহ পাক আয়াত নাযিল করেছিলেন- (আরবী) অর্থাৎ “এরা ঐ লোক যারা কুফরী করেছে এবং তোমাদেরকে মসজিদে হারাম হতে প্রতিরোধ করেছে এবং প্রতিরুদ্ধ কুরবানীর জন্তুগুলো ওদের নির্দিষ্ট স্থানে হাযির করা হতে বাধাদান করেছে, আর যদি বহু মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী না থাকতো যাদের সম্বন্ধে তোমরা কিছুই জানতে না, অর্থাৎ তাদের নিষ্পেষিত হওয়ার আশংকা না থাকতো, যদ্দরুন তাদের কারণে অজ্ঞাতসারে তোমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে, তবে সমস্ত ব্যাপারই চুকিয়ে দেয়া হতো, কিন্তু তা এ জন্যে করা হয়নি, যেন আল্লাহ যাকে ইচ্ছা নিজ রহমতে দাখিল করেন, যদি তারা (ঐ মুসলমানরা মক্কা হতে) সরে পড়তো তবে আমি তাদের মধ্যকার কাফিরদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রদান করতাম।” (৪৮:২৫) নবী (সঃ)-এর অবস্থানের সময় আল্লাহ তা’আলা তাঁকে বলেছিলেনঃ “তোমার অবস্থানকালীন সময়ে আমি তাদের উপর শাস্তি অবতীর্ণ করবো না।” অতঃপর যখন নবী (সঃ) মদীনায় চলে যান তখন আল্লাহ পাক তাঁকে বলেনঃ “তোমার স্থলবর্তীরা এখনও মক্কায় রয়েছে, সুতরাং এখনও আমি আযাব নাযিল করবো না।” তারপর যখন মুসলমানরাও মক্কা থেকে বেরিয়ে আসে তখন মহান আল্লাহ বলেনঃ “এখন তাদেরকে কেন শাস্তি দেয়া হবে না? তারা তো তোমাদেরকে বায়তুল্লাহতে আসতে বাধা দিয়েছে, অথচ তারা তো আল্লাহর বন্ধু ছিল না?” অতএব আল্লাহ তাদের উপর মক্কা বিজয়ের শাস্তি অবতীর্ণ করেন। এ আয়াতটি-(আরবী)-এই আয়াতটিকে রহিতকারী। ইকরামা (রাঃ) এবং হাসান বসরী (রঃ) বলেন যে, সূরায়ে আনফালের … (আরবী) আয়াতটিকে ওর পরবর্তী … (আরবী)-এই আয়াতটি মানসূখ বা রহিতকারী। তাই তিনি …. (আরবী) বলেছেন। সুতরাং দেখা যায় যে, মক্কাবাসীদের সাথে যুদ্ধ হয় এবং তারা ক্ষুধা ও ক্ষয়ক্ষতির শাস্তিতে জড়িয়ে পড়ে। এভাবে আল্লাহ তা’আলা মুশরিকদেরকে শাস্তি প্রাপক হিসেবে বেছে নিয়েছেন এবং বলেছেনঃ “এখন তাদের কি বলবার আছে যে, আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিবেন না, যখন তারা মসজিদুল হারামের পথরোধ করেছে?” অথচ তারা মসজিদুল হারামের তত্ত্বাবধায়ক নয়, মুত্তাকী লোকেরাই হলো ওর তত্ত্বাবধায়ক, কিন্তু তাদের অধিকাংশ লোক এটা অবগত নয়। অথচ যাদেরকে কাবা ঘরে যেতে দিতে বাধা দেয়া হচ্ছে তারাই এর বেশী হকদার যে, তারা ওর মধ্যে নামায পড়বে এবং ওর চতুর্দিকে প্রদক্ষিণ করবে। আর এই কাফিরদেরই মসজিদুল হারামে যাওয়ার অধিকার নেই। যেমন আল্লাহ পাক বলেনঃ “মুশরিকদের এই অধিকার নেই যে, তারা আল্লাহর মসজিদ সমূহকে আবাদ করে, যে অবস্থায় তারা নিজেদের কুফরীর স্বীকারোক্তি করেছে, তাদের সমস্ত (সৎ) কাজ বিফল হয়ে গেল, আর তারা জাহান্নামে অনন্তকাল থাকবে। হ্যা, আল্লাহর মসজিদগুলো আবাদ করা তাদেরই কাজ যারা আল্লাহর প্রতি এবং কিয়ামতের দিবসের প্রতি ঈমান আনয়ন করে, নামায কায়েম রাখে, যাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ছাড়া আর কাউকেও ভয় করে না, বস্তৃতঃ এই সকল লোক সম্বন্ধে আশা যে, তারা নিজেদের লক্ষ্যস্থলে পৌছে যাবে।” আল্লাহ তা’আলা আরো বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আল্লাহর পথ থেকে বাধা প্রদান করা, তাঁর সাথে কুফরী করা, মসজিদুল হারাম হতে বাধা দেয়া ও মক্কার অধিবাসীকে মক্কা থেকে বের করে দেয়া আল্লাহর নিকট বড় রকমের পাপ বলে গণ্য।” (২:২১৭) হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলঃ “আপনার বন্ধু কারা?” উত্তরে তিনি বলেছিলেনঃ “প্রত্যেক মুত্তাকী ব্যক্তি (আমার বন্ধু)।” অতঃপর তিনি (আরবী)-এ আয়াতটি পাঠ করেন। ইমাম হাকিম (রঃ) স্বীয় মুসতাদরিক” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) কুরায়েশদেরকে একত্রিত করেন। অতঃপর তাদেরকে জিজ্ঞেস করেনঃ “তোমাদের মধ্যে তোমাদের (কুরায়েশ) ছাড়া আর কেউ আছে কি?” তারা উত্তরে বলেঃ “(আমরা ছাড়া) আমাদের মধ্যে রয়েছে আমাদের ভাগিনেয়, আমাদের মিত্র এবং আমাদের গোলাম।” তখন তিনি বললেনঃ “মিত্র, ভাগিনেয় এবং গোলাম একই গোত্রের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হয়ে থাকে। তোমাদের মধ্যে যারা মুত্তাকী তারাই আমার বন্ধু।” মুজাহিদ (রঃ) বলেন যে, এর দ্বারা জিহাদকারীদেরকে বুঝানো হয়েছে, তারা যারাই হন বা যেখানেই থাকুন না কেন। অতঃপর এই আলোচনা করা হয়েছে যে, ঐ লোকগুলো মসজিদুল হারামে কি কাজ করতো? আল্লাহ পাক ঘোষণা করছেন- “কা’বা ঘরের কাছে তাদের নামায হলো শিস ও করতালি প্রদান।” তারা উলঙ্গ অবস্থায় বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করতো, মুখে অঙ্গুলি ভরে দিয়ে বাশির মত শব্দ বের করতো, মুখ কুঁকাতো এবং তালি বাজাতো। আর এটাকেই তারা ইবাদত মনে করতো। বাম দিক থেকে তারা তাওয়াফ করতো। এর দ্বারা মুসলমানদেরকে কষ্ট দেয়াই হতো তাদের উদ্দেশ্য। এইভাবে তারা মুসলমানদেরকে ঠাট্টা ও উপহাস করতো। (আরবী) শব্দের অর্থ হচ্ছে বাঁশি বাজানো। (এটা হচ্ছে ইবনে আব্বাস (রাঃ), মুজাহিদ (রঃ), ইকরামা (রঃ), সাঈদ ইবনে জুবাইর (রঃ) এবং কাতাদা (রঃ)-এর উক্তি) আবদুর রহমান ইবনে যায়েদ (রঃ) বলেন যে, (আরবী) শব্দের অর্থ হচ্ছে আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে বাধা প্রদান করা।
(আরবী) সুতরাং এখন শাস্তির স্বাদ গ্রহণ কর। এই শাস্তি এই যে, বদরের যুদ্ধে তারা নিহতও হয়েছিল এবং বন্দীও হয়েছিল। মুজাহিদ (রঃ) বলেন যে, স্বীকারোক্তিকারীদের শাস্তি তরবারী দ্বারা হয়ে থাকে এবং মিথ্যা প্রতিপন্নকারীদের শাস্তি বিকট চীৎকার ও ভূমিকম্পের মাধ্যমে হয়ে থাকে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান বলেছেন:-
[১] অর্থাৎ নবীর বিদ্যমান থাকা অবস্থায় জাতির উপর আযাব আসে না। এই দিক দিয়ে নবী (সাঃ)-এর বিদ্যমানতা তাদের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার কারণ ছিল।
[২] এর অর্থ তারা ভবিষ্যতে ইসলাম গ্রহণ করে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। অথবা তাওয়াফ করার সময় মুশরিকরা ‘গুফরানাকা রাব্বানা গুফরানাক’ (তোমার ক্ষমা চাই প্রভু! তোমার ক্ষমা চাই) বলত।
[৩] অর্থাৎ, মুশরিকরা নিজেদেরকে মাসজিদুল হারামের তত্ত্বাবধায়ক মনে করত। আর এই কারণেই তারা যাকে ইচ্ছা তাওয়াফের অনুমতি দিত, আবার যাকে ইচ্ছা তাওয়াফে বাধা দিত। অনুরূপ মুসলিমদেরকেও মসজিদে আসতে বাধা দিত। অথচ আসলে তারা মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক ছিল না। শক্তির জোরে এ রকম মনে করত। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তার তত্ত্বাবধায়ক একমাত্র (মু’মিন) মুত্তাক্বীরাই হতে পারে, মুশরিকরা নয়।’ এ ছাড়া এই আয়াতে যে শাস্তির কথা বলা হয়েছে, তার অর্থ মক্কা বিজয়। যা ছিল মক্কাবাসীদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক আযাব সমতুল্য। পূর্বের আয়াতে নবী (সাঃ)-এর বর্তমানে আযাব না আসার যে কথা বলা হয়েছে, সে আযাব হল ধ্বংসের আযাব। তবে শিক্ষা ও সতর্ক করার জন্য ছোটখাট আযাব আসা তার বিরোধী নয়।
[৪] মুশরিকরা যেমন উলঙ্গ হয়ে কা’বার তাওয়াফ করত অনুরূপ তাওয়াফের সময় মুখে আঙ্গুল দিয়ে শিস দিত ও দুই হাত দিয়ে তালি বাজাতো। আর এটিকে তারা ইবাদত ও পুণ্যের কাজ মনে করত। যেমন আজকাল কিছু সুফীরা মসজিদে ও আস্তানায় নাচে, ঢোল-তবলা বাজায় এবং বলে, ‘এটিই আমাদের ইবাদত ও নামায। আমরা নেচে নেচে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে নেব।’ (আমরা আল্লাহর কাছে এই সমস্ত কুসংস্কার হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।)
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
ওপরে তাদের যে বাহ্যিক দোয়ার উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে যে প্রশ্ন নিহিত ছিল এটি তার জওয়াব। এ জওয়াবে বলা হয়েছে, আল্লাহ মক্কী যুগে আযাব পাঠাননি কে? এর প্রথম কারণ ছিল, যতদিন কোন নবী কোন জনবসতিতে উপস্থিত থাকেন এবং সত্যের দাওয়াত দিতে থাকেন, ততদিন পর্যন্ত জনবসতির অধিবাসীদের অবকাশ দেয়া হয় এবং পূর্বাহ্ণে আযাব পাঠিয়ে তাদের সংশোধিত হবার সুযোগ কেড়ে নেয়া হয় না। এর দ্বিতীয় কারণ, যতদিন পর্যন্ত কোন জনবসতি থেকে এমন ধরনের লোকেরা একের পর এক বের হয়ে আসতে থাকে, যারা নিজেদের পূর্ববর্তী গাফিলতি ও ভুল কর্মনীতি সম্পর্কে সজাগ হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে থাকে এবং নিজেদের ভবিষ্যত কর্মনীতি ও আচার-আচরণ সংশোধন করে নেয়, ততদিন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট জনবসতিকে মহান আল্লাহ অনর্থক ধ্বংস করে দেবেন, এটা মোটেই যুক্তিসঙ্গত নয়। তবে নবী যখন সংশ্লিষ্ট জনবসতির ব্যাপারে তার দায়িত্ব সর্বতোভাবে পালন করার পর নিরাশ হয়ে সেখান থেকে বের হয়ে যান অথবা তাঁকে বের করে দেয়া হয় কিংবা তাঁকে হত্যা করা হয় এবং জনবসতিটি তার কার্যধারার মাধ্যমে একথা প্রমাণ করে দেয় যে, সে নিজের মধ্যে কোন সৎ ও সত্যনিষ্ঠ ব্যক্তিকে দেখতে প্রস্তুত নয়, তখনই আযাবের আসল সময় এসে যায়।
* আরববাসীদের মনে যে ভুল ধারণা প্রচ্ছন্ন ছিল এবং সাধারণ আরববাসীরা যার ফলে প্রতারিত হচ্ছিল, এখানে সেদিকে ইশারা করা হয়েছে। তারা মনে করতো, কুরাইশরা যেহেতু বাইতুল্লাহর খাদেম ও মুতাওয়াল্লী এবং সেখানে ইবাদাত করে, তাই তাদের ওপর রয়েছে আল্লাহর অনুগ্রহ। এ ধারণার প্রতিবাদ করে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র উত্তরাধিকার সূত্রে খাদেম ও মুতাওয়াল্লির দায়িত্ব লাভ করলে কোন ব্যক্তি বা দল কোন ইবাদাত গৃহের বৈধ খাদেম ও মুতাওয়াল্লী হতে পারে না। একমাত্র যারা মুত্তাকী, আল্লাহকে ভয় করে, তারাই ইবাদাত গৃহের বৈধ মুতাওয়াল্লী হতে পারে। আর এদের অবস্থা হচ্ছে, যে গৃহটিকে শুধুমাত্র এবং নির্ভেজাল আল্লাহর ইবাদাত করার জন্য নির্ধারিত করা হয়েছিল, সেখানে এরা এমন একদল লোককে প্রবেশ করতে বাধা দিচ্ছে যারা নির্ভেজাল আল্লাহর ইবাদাতকারী। এভাবে এরা মুতাওয়াল্লী ও খাদেমের দায়িত্ব পালন করার পরিবর্তে এ ইবাদাত গৃহের মালিক হয়ে বসেছে। এখন এরা যার ওপর নারায হবে, তাকে এ ইবাদত, গৃহে আসতে দেবে না। এধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করার ব্যাপারে এরা নিজেদেরকে পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী বলে মনে করছে। এধরনের পদক্ষেপ ও কার্যকলাপ এদের মুত্তাকী না হবার এবং আল্লাহকে ভয় না করার সুস্পষ্ট প্রমাণ। আর এরা বাইতুল্লাহে এসে যে ইবাদাত করে, তাতে না আছে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা এবং না আছে আল্লাহর প্রতি ভক্তি ও নিষ্ঠা এবং আল্লাহকে স্মরণ করার প্রবণতা। তারা একটা অর্থহীন হৈ চৈ, শোরগোল ও ক্রীড়া-কৌতুক চালিয়ে যাচ্ছে। একে এরা নাম দিয়েছে ইবাদাত। আল্লাহর গৃহের এ ধরনের নামসর্বস্ব খিদমত এবং এ ধরনের মিথ্যা ইবাদাতের ভিত্তিতে এরা কেমন করে আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের অধিকারী হয়ে গেলো। এ ধরনের কার্যকলাপ এদেরকে কেমন করে আল্লাহর আযাব থেকে নিরাপদ রাখতে পারে?
* তারা মনে করতো, শুধুমাত্র আকাশ থেকে পাথর বৃষ্টি অথবা অন্য কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের আকারেই আল্লাহর আযাব আসে। কিন্তু এখানে তাদের জানানো হয়েছে, বদর যুদ্ধে তাদের চূড়ান্ত পরাজয়ই আসলে তাদের জন্য আল্লাহর আযাব ছাড়া আর কিছুই নয়। তাদের এ পরাজয় ইসলামকে জীবনী শক্তি লাভের সুসংবাদ এবং জাহেলী ব্যবস্থাকে মৃত্যুর সিদ্ধান্ত শুনিয়ে দিয়েছে।