Book#582

أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ

(Book# 114/٣٧٩)-৫৮২
www.motaher21.net
সুরা: আল্‌ – আনফাল।
সুরা:৮
৫০-৫২ নং আয়াত:-
ذَلِكَ بِمَا قَدَّمَتْ أَيْدِيكُمْ
এ হল তাদের কর্মফল।
This is because of that which your hands forwarded.

وَ لَوۡ تَرٰۤی اِذۡ یَتَوَفَّی الَّذِیۡنَ کَفَرُوا ۙ الۡمَلٰٓئِکَۃُ یَضۡرِبُوۡنَ وُجُوۡہَہُمۡ وَ اَدۡبَارَہُمۡ ۚ وَ ذُوۡقُوۡا عَذَابَ الۡحَرِیۡقِ ﴿۵۰﴾

ذٰلِکَ بِمَا قَدَّمَتۡ اَیۡدِیۡکُمۡ وَ اَنَّ اللّٰہَ لَیۡسَ بِظَلَّامٍ لِّلۡعَبِیۡدِ ﴿ۙ۵۱﴾
کَدَاۡبِ اٰلِ فِرۡعَوۡنَ ۙ وَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ ؕ کَفَرُوۡا بِاٰیٰتِ اللّٰہِ فَاَخَذَہُمُ اللّٰہُ بِذُنُوۡبِہِمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ قَوِیٌّ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ ﴿۵۲﴾

তুমি যদি দেখতে তখনকার অবস্থা যখন ফিরিশতাগণ অবিশ্বাসীদের মুখমন্ডলে ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করে তাদের প্রাণ হরণ করছে এবং বলছে, তোমরা দহন যন্ত্রণা ভোগ কর।
এ হল তাদের কর্মফল। আর আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি কখনও অন্যায় করেন না।
ফিরআউনের বংশধর ও তাদের পূর্ববর্তিগণের অভ্যাসের ন্যায়[১] এরা আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে প্রত্যাখ্যান করে। সুতরাং আল্লাহ তাদের পাপের জন্য তাদেরকে শাস্তি দেন। নিশ্চয় আল্লাহ শক্তিমান, শাস্তিদানে কঠোর।

তাফসীরে ইবনে ‌কাসীর বলেছেন:-

৫০-৫২ নং আয়াতের তাফসীর:

আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ হে মুহাম্মাদ (সঃ)! ফেরেশতারা কত জঘন্যভাবে কাফিরদের রূহ কবয করে থাকে তা যদি তুমি দেখতে! তারা ঐ সময় কাফিরদের মুখমণ্ডলে ও পৃষ্ঠদেশে মারতে থাকে এবং বলে-“নিজেদের দুষ্কার্যের প্রতিফল হিসেবে শাস্তির স্বাদ গ্রহণ কর।” এর এক ভাবার্থ এও বর্ণনা করা হয়েছে যে, এটাও বদরের দিনেরই ঘটনা। সামনের দিক থেকেই সেইদিন ঐ কাফিরদের চেহারায় তরবারীর আঘাত লাগছিল এবং যখন তারা পলায়ন করছিল তখন তাদের পিঠের উপর তলোয়ার পড়ছিল।

হাসান বসরী (রঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, একটি লোক বলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল! আমি আবু জেহেলের পিঠে কাঁটাসমূহের চিহ্ন দেখেছি।” তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “এটা ফেরেশতাদের মারের চিহ্ন।” আসল কথা এই যে, এই আয়াতটি বদরের সাথে নির্দিষ্ট নয়। শব্দগুলো সাধারণ। প্রত্যেক কাফিরেরই অবস্থা এরূপ হয়ে থাকে। সূরায়ে কিতালের মধ্যেও এ ঘটনা বর্ণিত হয়েছে এবং সূরায়ে আনআমের …. (আরবী) (৬:৯৩)-এই আয়াতের মধ্যেও এর বর্ণনা তাফসীরসহ বর্ণিত হয়েছে। যেহেতু তারা ছিল নাফরমান লোক, সেহেতু তাদের মৃত্যুর সময় ফেরেশতাদের দ্বারা তাদেরকে খুবই কষ্ট দেয়া হয়। তাদের দুঙ্কার্যের কারণে তাদের রূহসমূহ তাদের দেহের মধ্যে লুকিয়ে যায়। সুতরাং ফেরেশতাগণ ওগুলো জোরপূর্বক বের করেন এবং বলেনঃ “তোমার জন্যে আল্লাহর গজব রয়েছে। যেমন বারা’ (রাঃ)-এর হাদীসে রয়েছে যে, মৃত্যুর যাতনার সময় ঐ অশুভ অবস্থায় মৃত্যুর ফেরেশতা কাফিরের কাছে এসে বলেনঃ “হে কলুষিত আত্মা! গরম বাতাস, গরম পানি এবং গরম ছায়ার দিকে চল।” তখন ঐ আত্মা দেহের মধ্যে লুকাতে থাকে। অবশেষে ফেরেশতা কোন জীবিত মানুষের গায়ের চামড়া খুলে নেয়ার মত ঐ আত্মাকে জোরপূর্বক টেনে বের করেন এবং সাথে সাথে শিরা উপশিরাও বেরিয়ে আসে। ফেরেশতা তাকে বলেনঃ “এখন দহনের স্বাদ গ্রহণ কর। এটা তোমার পার্থিব দুষ্ককার্যাবলীর শাস্তি। আল্লাহ তাআলা বান্দাদের উপর মোটেই অত্যাচার করেন না। তিনি তো ন্যায়পরায়ণ হাকিম। তিনি কল্যাণময়, সর্বোচ্চ, অমুখাপেক্ষী, পবিত্র, মহামর্যাদা সম্পন্ন এবং প্রশংসিত। এজন্যেই সহীহ মুসলিমে আবু যার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “হে আমার বান্দাগণ! আমি নিজের উপর অত্যাচার হারাম করে দিয়েছি এবং তোমাদের উপরও তা হারাম করেছি। সুতরাং তোমরা পরস্পর একে অপরের উপর অত্যাচার করো না। হে আমার বান্দারা! আমি তো শুধু তোমাদের কত আমলগুলোকে পরিবেষ্টন করেছি। সুতরাং যে ব্যক্তি কল্যাণ প্রাপ্ত হবে সে যেন আল্লাহর প্রশংসা করে। আর যে ব্যক্তি অন্য কিছু প্রাপ্ত হবে সে যেন নিজেকেই ভৎসনা করে।”
আল্লাহ তা’আলা বলেন, হে মুহাম্মাদ (সঃ)! এই মুশারিকরা তোমার সাথে ঐ ব্যবহারই করছে যে ব্যবহার তাদের পূর্ববর্তী কাফির ও মুশরিকরা তাদের নবীদের সাথে করেছিল। সুতরাং আমিও এদের সাথে ঐ ব্যবহারই করেছি যে ব্যবহার এদের পূর্ববর্তীদের সাথে করেছিলাম, যারা এদের মতই ছিল। যেমন ফিরআউনের বংশ ও তাদের পূর্ববর্তী লোকেরা, যারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছিল। এই কারণে আল্লাহ তাদেরকে পাকড়াও করেছিলেন। সমস্ত শক্তির মালিক আল্লাহ এবং তার শাস্তিও খুবই কঠিন। এমন কেউ নেই যে তাঁর উপর জয়যুক্ত হতে পারে এবং এমন কেউ নেই যে তার নিকট থেকে পলায়ন করতে পারে।

English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura Al-Anfal
Sura:8
Verses :- 50-52

ذَلِكَ بِمَا قَدَّمَتْ أَيْدِيكُمْ

This is because of that which your hands forwarded.

The Angels smite the Disbelievers upon capturing Their Souls

Allah says,

وَلَوْ تَرَى إِذْ يَتَوَفَّى الَّذِينَ كَفَرُواْ الْمَليِكَةُ

And if you could see when the angels take away the souls of those who disbelieve (at death);

Allah says, if you witnessed the angels capturing the souls of the disbelievers, you would witness a tremendous, terrible, momentous and awful matter,

يَضْرِبُونَ وُجُوهَهُمْ وَأَدْبَارَهُمْ

they smite their faces and their backs,

saying to them,

وَذُوقُواْ عَذَابَ الْحَرِيقِ

“Taste the punishment of the blazing Fire.”

Ibn Jurayj said that Mujahid said that,

وَأَدْبَارَهُمْ
(and their backs), refers to their back sides, as happened on the day of Badr.

Ibn Jurayj also reported from Ibn Abbas,

“When the idolators faced the Muslims (in Badr), the Muslims smote their faces with swords. When they gave flight, the angels smote their rear ends.”

Although these Ayat are describing Badr, they are general in the case of every disbeliever. This is why Allah did not make His statement here restrictive to the disbelievers at Badr,

وَلَوْ تَرَى إِذْ يَتَوَفَّى الَّذِينَ كَفَرُواْ الْمَليِكَةُ

يَضْرِبُونَ وُجُوهَهُمْ وَأَدْبَارَهُمْ

And if you could see when the angels take away the souls of those who disbelieve (at death); they smite their faces and their backs,

In Surah Al-Qital (or Muhammad) there is a similar Ayah, as well as in Surah Al-An`am,

وَلَوْ تَرَى إِذِ الظَّـلِمُونَ فِى غَمَرَاتِ الْمَوْتِ وَالْمَلَـيِكَةُ بَاسِطُواْ أَيْدِيهِمْ أَخْرِجُواْ أَنفُسَكُمُ

And if you could but see when the wrongdoers are in the agonies of death, while the angels are stretching forth their hands (saying):”Deliver your souls!” (6:93)

The angels stretch their hands and smite the disbelievers by Allah’s command, since their souls refuse to leave their bodies, so they are taken out by force. This occurs when the angels give them the news of torment and Allah’s anger.

There is a Hadith narrated from Al-Bara’ that;

when the angel of death attends the disbeliever at the time of death, he comes to him in a terrifying and disgusting shape, saying, “Get out, O wicked soul, to fierce hot wind, boiling water and a shadow of black smoke.”

The disbeliever’s soul then scatters throughout his body, but the angels retrieve it, just as a needle is retrieved from wet wool. In this case, veins and nerve cells will be still attached to the soul.

Allah states here that angels bring news of the torment of the Fire to the disbelievers.

Allah said next.
ذَلِكَ بِمَا قَدَّمَتْ أَيْدِيكُمْ

This is because of that which your hands forwarded.

meaning, this punishment is the recompense of the evil deeds that you have committed in the life of the world. This is your reckoning from Allah for your deeds,

وَأَنَّ اللّهَ لَيْسَ بِظَلَّمٍ لِّلْعَبِيدِ

And verily, Allah is not unjust to His servants.

Certainly, Allah does not wrong any of His creatures, for He is the Just, who never puts anything in an inappropriate place. Honored, Glorified, Exalted and Praised be He, the All-Rich, Worthy of all praise.

Muslim recorded that Abu Dharr said that the Messenger of Allah said;

إنَّ اللهَ تَعَالَى يَقُولُ يَا عِبَادِي إِنِّي حَرَّمْتُ الظُّلْمَ عَلَى نَفْسِي وَجَعَلْتُهُ بَيْنَكُمْ مُحَرَّمًا فَلَ تَظَالَمُوا

يَا عِبَادِي إِنَّمَا هِيَ أَعْمَالُكُمْ أُحْصِيهَا لَكُمْ فَمَنْ وَجَدَ خَيْرًا فَلْيَحْمَدِ اللهَ وَمَنْ وَجَدَ غَيْرَ ذَلِكَ فَلَا يَلُومَنَّ إِلاَّ نَفْسَه

Allah, the Exalted, said, `O My servants! I have prohibited injustice for Myself, and made it prohibited to you between each other. Therefore, do not commit injustice against each other.

O My servants! It is your deeds that I am keeping count of, so whoever found something good, let him praise Allah for it. Whoever found other than that, has only himself to blame.

This is why Allah said.
Allah says,

كَدَأْبِ الِ فِرْعَوْنَ وَالَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ كَفَرُواْ بِأيَاتِ اللّهِ

Similar to the behavior of the people of Fir`awn, and of those before them — they rejected the Ayat of Allah,

Allah says, `The behavior of these rebellious disbelievers against what I sent you with, O Muhammad, is similar to the behavior of earlier disbelieving nations. So We behaved with them according to Our Da’b, that is, Our behavior (or custom) and way, as We did with them with what We often do and decide concerning their likes, the denying people of Fir`awn and the earlier nations who rejected the Messengers and disbelieved in Our Ayat,’

فَأَخَذَهُمُ اللّهُ بِذُنُوبِهِمْ

so Allah punished them for their sins.

Because of their sins, Allah destroyed them

إِنَّ اللّهَ قَوِيٌّ شَدِيدُ الْعِقَابِ

Verily, Allah is All-Strong, severe in punishment.

none can resist Him or escape His grasp.

ذَلِكَ بِأَنَّ اللّهَ لَمْ يَكُ مُغَيِّرًا نِّعْمَةً أَنْعَمَهَا عَلَى قَوْمٍ حَتَّى يُغَيِّرُواْ مَا بِأَنفُسِهِمْ وَأَنَّ اللّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ.

তাফসীরে আহসানুল বায়ান বলেছেন:-

* কোন কোন মুফাসসির বলেছেন, এটা বদর যুদ্ধে মুশরিকদের নিহত হওয়ার ব্যাপার। ইবনে আব্বাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত যে, যখন মুশরিকরা মুসলিমদের দিকে অগ্রসর হত, তখন মুসলিমরা তাদের চেহারায় তরবারি দ্বারা আঘাত করত। তা হতে বাঁচার জন্য তারা পিছন ফিরে পলায়ন করত। তখন ফিরিশতাগণ তাদের পাছাতে তরবারি মারতেন। কিন্তু এই আয়াত ব্যাপক; প্রত্যেক কাফের ও মুশরিক এর অন্তর্ভুক্ত। আর এর অর্থ হল, মৃত্যুর সময় ফিরিশতাগণ তাদের মুখমন্ডলে ও পাছায় আঘাত করে থাকেন; যেমন সূরা আনআমে (৬:৯৩ আয়াতে) বলা হয়েছে। {وَلَوْ تَرَى إِذِ الظَّالِمُونَ فِي غَمَرَاتِ الْمَوْتِ وَالْمَلآئِكَةُ بَاسِطُواْ أَيْدِيهِمْ أَخْرِجُواْ أَنفُسَكُمُ} অর্থাৎ, “যদি তুমি দেখতে পেতে (তখনকার অবস্থা) যখন (ঐ) যালেমরা মৃত্যু যন্ত্রণায় থাকবে আর ফিরিশতাগণ হাত বাড়িয়ে বলবে, তোমাদের প্রাণ বের কর।” আর কারো কারো নিকটে ফিরিশতাগণের এই মার হবে কিয়ামতের দিন, যখন তাদেরকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবেন এবং জাহান্নামের দারোগা বলবেন, ‘তোমরা জাহান্নামের আযাব আস্বাদন কর।’

* এই মার ও আযাব তোমাদের নিজেদেরই কর্মফল। নচেৎ আল্লাহ তাআলা বান্দাদের উপর অত্যাচার করেন না। বরং তিনি হলেন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ। তিনি প্রত্যেক ধরনের অন্যায় ও অত্যাচার করা হতে পাক-পবিত্র। হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, “হে আমার বান্দারা! আমি নিজের উপর যুলুমকে হারাম করেছি এবং তোমাদের মাঝেও তা হারাম করে দিয়েছি। অতএব তোমরাও আপোসে যুলুম করো না। হে আমার বান্দারা! এটা তোমাদেরই কৃত আমল যা আমি গণনা করে রেখেছি। অতএব যে নিজের আমলে কল্যাণ পাবে, সে যেন আল্লাহর প্রসংশা করে। আর যে তার বিপরীত পাবে, সে যেন নিজেকেই ভৎর্সনা করে।” (সহীহ মুসলিমঃ নেকী করা ও অত্যাচার হারাম পরিচ্ছেদ)

دأب অর্থঃ অভ্যাস। ‘কাফ’ হরফট দৃষ্টান্ত বর্ণনা করার জন্য এসেছে। অর্থাৎ, আল্লাহর পয়গম্বরদেরকে মিথ্যা মনে করায় ঐ মুশরিকদের অভ্যাস বা অবস্থা হল সেই রকম, যে রকম ফিরআউন এবং তার পূর্বের অন্যান্য মিথ্যাজ্ঞানকারীদের অভ্যাস ও অবস্থা ছিল।

তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ বলেছেন:-
৫০-৫২ নং আয়াতের তাফসীরঃ

কাফির ও মুশরিকরা মৃত্যুকালে যে যন্ত্রণা ও আযাবের সম্মুখীন হয় এ আয়াতে তার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন: মুশরিকরা যখন মুসলিমদের দিকে অগ্রসর হত, তখন মুসলিমরা তাদের চেহারায় তরবারী দ্বারা আঘাত করত। তা হতে বাঁচার জন্য তারা পিছনে ফিরে পলায়ন করত। তখন ফেরেশতাগণ তাদের পশ্চাতে তরবারী দ্বারা আঘাত করত। (তাফসীর ইবনে কাসীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)

মানুষের আত্মা কবযকারী ফেরেশতা যখন কাফিরদের আত্মা কবয করার জন্য আসে তখন তাদের মুখে ও পশ্চাতে আঘাত করতে থাকে আর বলতে থাকে- হে খারাপ কাজে তৃপ্তিপ্রাপ্ত আত্মা আল্লাহ তা‘আলার গযবের দিকে বের হয়ে আস। এসব কথা এজন্য বলে যাতে জানতে পারে যে, সামনে তাদের জন্য আরো কঠিন শাস্তি রয়েছে।

(وَأَنَّ اللّٰهَ لَيْسَ بِظَلَّامٍ لِّلْعَبِيْدِ)

‘আল্লাহ তো তার বান্দাদের প্রতি অত্যাচারী নয়।’ অর্থাৎ তাদের এসব শাস্তির কারণ তাদের কৃতকর্ম। কেননা আল্লাহ তা‘আলা কারো প্রতি জুলুম করেন না। হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন: হে আমার বান্দা, আমি নিজের ওপর জুলুম করা হারাম করেছি এবং তোমাদের মাঝে তা হারাম করেছি। অতএব তোমরা পরস্পর জুলুম করো না। (সহীহ মুসলিম হা: ১৯৯৪, মুসনাদ আহমাদ: ৫/১৬০)

আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:

১. কাফিররা মৃত্যুকালে কঠিন যন্ত্রণার স্বীকার হয়।
২. তাদের শাস্তির কারণ হচ্ছে তাদের কৃতকর্ম।

Leave a Reply