Book#583

أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ

(Book# 114/٣٨٠)-৫৮৩
www.motaher21.net
সুরা: আল্‌ – আনফাল।
সুরা:৮
৫৩-৫৪ নং আয়াত:-
اللَّهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّى يُغَيِّرُواْ مَا بِأَنفُسِهِمْ
আল্লাহ কোন সম্প্রদায়কে যে সম্পদ দান করেন, তিনি তা পরিবর্তন করেন না; যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে।
Allah will never change a grace which He has bestowed on a people until they change what is in themselves.

ذٰلِکَ بِاَنَّ اللّٰہَ لَمۡ یَکُ مُغَیِّرًا نِّعۡمَۃً اَنۡعَمَہَا عَلٰی قَوۡمٍ حَتّٰی یُغَیِّرُوۡا مَا بِاَنۡفُسِہِمۡ ۙ وَ اَنَّ اللّٰہَ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿ۙ۵۳﴾
کَدَاۡبِ اٰلِ فِرۡعَوۡنَ ۙ وَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ ؕ کَذَّبُوۡا بِاٰیٰتِ رَبِّہِمۡ فَاَہۡلَکۡنٰہُمۡ بِذُنُوۡبِہِمۡ وَ اَغۡرَقۡنَاۤ اٰلَ فِرۡعَوۡنَ ۚ وَ کُلٌّ کَانُوۡا ظٰلِمِیۡنَ ﴿۵۴﴾

এ এ জন্য যে, আল্লাহ কোন সম্প্রদায়কে যে সম্পদ দান করেন, তিনি তা পরিবর্তন করেন না; যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। আর নিশ্চিত আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
ফিরআউনের বংশধর ও তাদের পূর্ববর্তিগণের অভ্যাসের ন্যায় এরা এদের প্রতিপালকের নিদর্শনসমূহকে মিথ্যাজ্ঞান করে। তাদের পাপের জন্য আমি তাদেরকে ধ্বংস করেছি এবং ফিরআউনের বংশধরকে (সমুদ্রে) নিমজ্জিত করেছি। আর তারা সকলেই ছিল অত্যাচারী।

তাফসীরে‌ ফাতহুল মাজীদ বলেছেন:-

بِأَنَّ اللّٰهَ لَمْ يَكُ مُغَيِّرًا نِعْمَةً)

‘এটা এজন্য যে, যদি কোন সম্প্রদায় নিজের অবস্থার পরিবর্তন না করে তবে আল্লাহ এমন নন যে, তিনি তাদেরকে যে সম্পদ দান করেছেন, সেটা পরিবর্তন করবেন; অর্থাৎ যতক্ষণ পর্যন্ত কোন জাতি নেয়ামত অস্বীকারের পথ অবলম্বন করে এবং আল্লাহ তা‘আলার আদেশ ও নিষেধ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে নিজেদের অবস্থা ও আচরণকে বদলে না নেবে ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলা পাপের কারণে নিজ নেয়ামতকে ছিনিয়ে নেবেন না। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

(إِنَّ اللّٰهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتّٰي يُغَيِّرُوْا مَا بِأَنْفُسِهِمْ ط وَإِذَآ أَرَادَ اللّٰهُ بِقَوْمٍ سُوْ۬ءًا فَلَا مَرَدَّ لَه۫ ج وَمَا لَهُمْ مِّنْ دُوْنِه۪ مِنْ وَّالٍ)

“এবং আল্লাহ কোন সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ না তারা নিজ অবস্থা নিজে পরিবর্তন করে। কোন সম্প্রদায়ের সম্পর্কে যদি আল্লাহ অশুভ কিছু ইচ্ছা করেন তবে তা মোকাবেলা করার নয় এবং তিনি ব্যতীত তাদের কোন অভিভাবক নেই।” (সূরা রা‘দ ১৩:১১)

আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:

আল্লাহ তা‘আলা কোন জাতির অবস্থার পরিবর্তন ঘটান না যতক্ষণ না নিজেরা নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটায়।

English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura Al-Anfal
Sura:8
Verses :- 53-54
اللَّهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّى يُغَيِّرُواْ مَا بِأَنفُسِهِمْ
Allah will never change a grace which He has bestowed on a people until they change what is in themselves.

That is so because Allah will never change a grace which He has bestowed on a people until they change what is in themselves. And verily, Allah is All-Hearer, All-Knower.

Allah affirms His perfect justice and fairness in His decisions, for He decided that He will not change a bounty that He has granted someone, except on account of an evil that they committed.

Allah said in another Ayah,

إِنَّ اللَّهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّى يُغَيِّرُواْ مَا بِأَنفُسِهِمْ وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِقَوْمٍ سُوءًا فَلَ مَرَدَّ لَهُ وَمَا لَهُمْ مِّن دُونِهِ مِن وَالٍ

Verily, Allah will not change the (good) condition of a people as long as they do not change their state (of goodness) themselves. But when Allah wills a people’s punishment, there can be no turning it back, and they will find besides Him no protector. (13:11)

Allah said next,

كَدَأْبِ الِ فِرْعَوْنَ وَالَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ كَذَّبُواْ بأيَاتِ رَبِّهِمْ فَأَهْلَكْنَاهُم بِذُنُوبِهِمْ وَأَغْرَقْنَا الَ فِرْعَونَ وَكُلٌّ كَانُواْ ظَالِمِينَ

Similar to the behavior of the people of Fir`awn, and those before them. They belied the Ayat of their Lord, so We destroyed them for their sins, and We drowned the people of Fir`awn for they were all wrongdoers.

meaning, He punished Fir`awn and his kind, those who denied His Ayat. Allah destroyed them because of their sins, and took away the favors that He granted them, such as gardens, springs, plants, treasures and pleasant dwellings, as well as all of the delights that they enjoyed. Allah did not wrong them, but it is they who wronged themselves.

তাফসীরে ইবনে ‌কাসীর বলেছেন:-

৫৩-৫৪ নং আয়াতের তাফসীর:

এখানে আল্লাহ তা’আলার আদল ও ইনসাফের বর্ণনা দেয়া হচ্ছে যে, তিনি তার দেয়া নিয়ামতরাশি পাপকার্যের পূর্বে তাঁর বান্দাদের নিকট থেকে ছিনিয়ে নেন না। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছে- “আল্লাহ কোন কওমের অবস্থা পরিবর্তন করেন না যে পর্যন্ত না তারা নিজেরাই নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। আল্লাহ যখন কোন কওমের প্রতি (তাদের পাপের কারণে) অমঙ্গল পৌছানোর ইচ্ছা করেন তখন কেউই তাঁর সেই ইচ্ছাকে রদ করতে পারে না এবং তিনি ছাড়া তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।”

আল্লাহ তা’আলা ফিরআউনের বংশধর এবং তাদের মত স্বভাব বিশিষ্ট তাদের পূর্ববর্তীদের সাথে এরূপ ব্যবহারই করেছিলেন। মহান আল্লাহ তাদেরকে নিয়ামতরাজি দান করেছিলেন। কিন্তু তারা দুঙ্কার্যে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। ফলে তিনি তাদেরকে প্রদত্ত বাগান, প্রস্রবণ, ক্ষেত-খামার, কোষাগার, অট্টালিকা এবং অন্যান্য নিয়ামত যা তারা উপভোগ করছিল সবই তাদের নিকট থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে তারা নিজেদের ক্ষতি নিজেরাই করেছিল। আল্লাহ তা’আলা তাদের প্রতি মোটেই অত্যাচার করেননি।

তাফসীরে ইবনে ‌কাসীর বলেছেন:-

৫৩-৫৪ নং আয়াতের তাফসীর:

এখানে আল্লাহ তা’আলার আদল ও ইনসাফের বর্ণনা দেয়া হচ্ছে যে, তিনি তার দেয়া নিয়ামতরাশি পাপকার্যের পূর্বে তাঁর বান্দাদের নিকট থেকে ছিনিয়ে নেন না। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছে- “আল্লাহ কোন কওমের অবস্থা পরিবর্তন করেন না যে পর্যন্ত না তারা নিজেরাই নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। আল্লাহ যখন কোন কওমের প্রতি (তাদের পাপের কারণে) অমঙ্গল পৌছানোর ইচ্ছা করেন তখন কেউই তাঁর সেই ইচ্ছাকে রদ করতে পারে না এবং তিনি ছাড়া তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।”

আল্লাহ তা’আলা ফিরআউনের বংশধর এবং তাদের মত স্বভাব বিশিষ্ট তাদের পূর্ববর্তীদের সাথে এরূপ ব্যবহারই করেছিলেন। মহান আল্লাহ তাদেরকে নিয়ামতরাজি দান করেছিলেন। কিন্তু তারা দুঙ্কার্যে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। ফলে তিনি তাদেরকে প্রদত্ত বাগান, প্রস্রবণ, ক্ষেত-খামার, কোষাগার, অট্টালিকা এবং অন্যান্য নিয়ামত যা তারা উপভোগ করছিল সবই তাদের নিকট থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে তারা নিজেদের ক্ষতি নিজেরাই করেছিল। আল্লাহ তা’আলা তাদের প্রতি মোটেই অত্যাচার করেননি।

তাবসীরে আহসানুল বায়ান বলেছেন:-
এর অর্থ এই যে, যতক্ষণ পর্যন্ত কোন জাতি বা গোষ্ঠী নিয়ামত অস্বীকারের পথ অবলম্বন করে এবং আল্লাহ তাআলার আদেশ ও নিষেধ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে নিজেদের অবস্থা ও আচরণকে বদলে না নেবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা তাদের উপর নিজ নিয়ামতের দরজা বন্ধ করে দেন না। দ্বিতীয় শব্দে আল্লাহ তাআলা পাপের কারণে নিজ নিয়ামতকে ছিনিয়ে নেন। আর আল্লাহ তাআলার এই নিয়ামতের অধিকারী হওয়ার জন্য জরুরী হল পাপ হতে দূরে থাকা। সুতরাং পরিবর্তনের অর্থ এই যে, জাতি পাপ-পঙ্কিলতাকে বর্জন করে আল্লাহর আনুগত্যের পথ অবলম্বন করে নিক।

* এটা পূর্বোক্ত কথারই তাকীদ। অবশ্য এতে ধ্বংসের কথা অতিরিক্ত বর্ণনা হয়েছে যে, তাদেরকে ডুবিয়ে মারা হয়েছে। এ ছাড়াও এ কথা স্পষ্ট করা হয়েছে যে, আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ডুবিয়ে মেরে তাদের প্রতি অত্যাচার করেননি। বরং তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি অত্যাচার করেছিল। যেহেতু আল্লাহ তাআলা কারোর প্রতি যুলুম করেন না। {وَمَا رَبُّكَ بِظَلَّامٍ لِّلْعَبِيد} “তোমার প্রভু বান্দাদের উপর অত্যাচারী নন” (সূরা হামীম সাজদাহ ৪১:৪৬ আয়াত)

তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-

অর্থাৎ যতক্ষণ পর্যন্ত কোন জাতি নিজেকে আল্লাহর নিয়ামতের পুরোপুরি অনুপযুক্ত প্রমাণ না করে থাকে, ততক্ষন পর্যন্ত আল্লাহ‌ তার কাছ থেকে নিজের নিয়ামত ছিনিয়ে নেন না।

Leave a Reply