Book#600

أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم

(Book# 114/٣٢٦)-৬০০
www.motaher21.net
সুরা: আত্ তাওবাহ
সুরা:০৯
১৭-১৮ নং আয়াত:-

مَا كَانَ لِلْمُشْرِكِينَ أَن يَعْمُرُواْ مَسَاجِدَ الله
অংশীবাদীরা আল্লাহর মসজিদের করবে এমন হতে পারে না।
It is not for the Mushrikin, to maintain the Masjids of Allah,

مَا کَانَ لِلۡمُشۡرِکِیۡنَ اَنۡ یَّعۡمُرُوۡا مَسٰجِدَ اللّٰہِ شٰہِدِیۡنَ عَلٰۤی اَنۡفُسِہِمۡ بِالۡکُفۡرِ ؕ اُولٰٓئِکَ حَبِطَتۡ اَعۡمَالُہُمۡ ۚۖ وَ فِی النَّارِ ہُمۡ خٰلِدُوۡنَ ﴿۱۷﴾

اِنَّمَا یَعۡمُرُ مَسٰجِدَ اللّٰہِ مَنۡ اٰمَنَ بِاللّٰہِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ وَ اَقَامَ الصَّلٰوۃَ وَ اٰتَی الزَّکٰوۃَ وَ لَمۡ یَخۡشَ اِلَّا اللّٰہَ فَعَسٰۤی اُولٰٓئِکَ اَنۡ یَّکُوۡنُوۡا مِنَ الۡمُہۡتَدِیۡنَ ﴿۱۸﴾

অংশীবাদীরা যখন নিজেরাই নিজেদের কুফরী (অবিশ্বাস) স্বীকার করে, তখন তারা আল্লাহর মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করবে এমন হতে পারে না। ওরা এমন যাদের সকল কর্ম ব্যর্থ এবং ওরা জাহান্নামেই স্থায়ীভাবে অবস্থান করবে।

তারাই তো আল্লাহর মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণ করবে, যারা আল্লাহতে ও পরকালে বিশ্বাস করে এবং যথাযথভাবে নামায পড়ে, যাকাত আদায় করে এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকেও ভয় করে না, ওদেরই সম্বন্ধে আশা যে, ওরা সৎপথ প্রাপ্ত হবে।

তাফসীরে‌ ইবনে কাসীর বলেছেন:-

১৭-১৮ নং আয়াতের তাফসীর:

আল্লাহ তা’আলা বলেন, যারা আল্লাহর সাথে শরীক স্থাপন করে তারা আল্লাহর মসজিদগুলো আবাদ করার যোগ্যই নয়। তারা তো মুশরিক! আল্লাহর ঘরের সাথে তাদের কি সম্পর্ক? (আরবী) শব্দটিকে (আরবী) ও পড়া হয়েছে। এর দ্বারা মসজিদুল হারামকে বুঝানো হয়েছে, যা দুনিয়ার মসজিদসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বেশী মর্যাদার অধিকারী। এটা প্রথম দিন থেকে শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদতের জন্যেই নির্মিত হয়েছে। আল্লাহর খলীল ইবরাহীম (আঃ) এ ঘরের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। এ লোকগুলো নিজেদের অবস্থার দ্বারা ও কথার দ্বারা নিজেদের কুফরীর স্বীকারোক্তিকারী। যেমন সুদ্দী (রঃ) বলেন, তুমি যদি খ্রীষ্টানকে জিজ্ঞেস কর – “তোমার ধর্ম কি?” সে অবশ্যই উত্তরে বলবেঃ “আমি খ্রীষ্টান ধর্মের লোক।” ইয়াহূদীকে তার ধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে সে বলবেঃ “আমি ইয়াহুদী ধর্মাবলম্বী।” সাবীকে জিজ্ঞেস করলে সেও বলবেঃ “আমি সাবী।” এই মুশরিকরাও বলবে, “আমরা মুশরিক।” আল্লাহ পাক বলেনঃ তাদের সমস্ত আমল বিফল হয়ে গেল। কারণ তারা আল্লাহর সাথে শরীক স্থাপন করেছে। চিরদিনের জন্যে তারা জাহান্নামী হয়ে গেল। তারা অন্যদেরকে মসজিদুল হারাম থেকে বাধা প্রদান করে থাকে। তারা নিজেদেরকে আল্লাহর বন্ধু বললেও প্রকৃতপক্ষে তারা তা নয়। আল্লাহর বন্ধু তো ওরাই যারা তাকে ভয় করে চলে। কিন্তু অধিকাংশ লোকই এটা বুঝে না ও জানে না। হ্যাঁ, আল্লাহর ঘরের আবাদ হবে মুমিনদের দ্বারা। সুতরাং যাদের দ্বারা আল্লাহর ঘর আবাদ হয়, কুরআন কারীম হচ্ছে তাদের ঈমানের সাক্ষী।

আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “যখন তোমরা কোন লোককে দেখতে পাও যে, সে মসজিদে যেতে আসতে অভ্যস্ত হয়েছে তখন তোমরা তার ঈমানের সাক্ষ্য প্রদান কর।” অতঃপর তিনি (আরবী) -এই আয়াতটি পাঠ করেন। (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ), ইমাম তিরমিযী (রঃ), ইবনে মিরদুওয়াই (রঃ) এবং ইমাম হাকিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন)

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “মসজিদসমূহের আবাদকারীরাই হলো আল্লাহওয়ালা।” আনাস (রাঃ) হতে মারফু’রূপে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “আল্লাহ তা’আলা মসজিদমুখীদের প্রতি দৃষ্টিপাত করে গোটা কওমের উপর থেকেই আযাব সরিয়ে নেন।” আনাস (রাঃ) হতেই মারফু’রূপে আরো একটি হাদীস বর্ণিত আছে যে, আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “আমার সম্মান ও মর্যাদার কসম! আমি পৃথিবীবাসীর উপর শাস্তি প্রেরণের ইচ্ছা করি, কিন্তু যখন আমার ঘরসমূহের আবাদকারীদের প্রতি, আমারই সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পরস্পর প্রেম বিনিময়কারীদের প্রতি এবং প্রাতঃকালে ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের প্রতি দৃষ্টিপাত করি তখন ঐ আযাব তাদের উপর থেকে সরিয়ে থাকি।” (ইবনে আসাকের (রঃ) বলেন যে, এ হাদীসটি গারীব বা দুর্বল)

মুআয ইবনে জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সঃ) বলেছেনঃ “শয়তান হচ্ছে মানুষের জন্যে নেকড়ে বাঘ স্বরূপ। যেমন বকরীর (শুক্র) নেকড়ে বাঘ দূরে পৃথক ও বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থানকারী বকরীকে ধরে নেয় (তদ্রুপ তোমরা দল ছাড়া হয়ে থাকলে তোমাদেরকেও শয়তান পথভ্রষ্ট করবে)। সুতরাং তোমরা মতভেদ সৃষ্টি করা থেকে বেঁচে থাক এবং নিজেদের জন্যে জামাআত, সর্বসাধারণ ও মসজিদসমূহ আঁকড়ে ধরাকে অপরিহার্য করে নও।

আমর ইবনে মায়মূন আওদী (রঃ) বলেন, আমি মুহাম্মাদ (সঃ)-এর সাহাবীগণকে বলতে শুনেছি- “ভূ-পৃষ্ঠের মসজিদগুলো আল্লাহর ঘর। যারা এখানে আসবে, আল্লাহর হক হচ্ছে তাদেরকে মর্যাদা দেয়া।” ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সালাতের আযান শোনার পর মসজিদে এসে জামাআতের সাথে সালাত আদায় করে না, তার সালাত হয় না। সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সঃ)-এর নাফরমানী করলো। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “আল্লাহর মসজিদগুলো আবাদ করা তাদেরই কাজ, যারা আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামতের দিনের প্রতি ঈমান আনয়ন করে। (এটা ইবনে মিরদুওয়াই তাখরীজ করেছেন) এরপর আল্লাহ তা’আলা বলেন যে, তারা সালাত প্রতিষ্ঠিত করে। শারীরিক ইবাদত সালাতের তারা পাবন্দ হয়ে থাকে এবং আর্থিক ইবাদত যাকাতও তারা আদায় করে। তাদের কল্যাণ তাদের নিজেদের জন্যেও হয় এবং সাধারণ মাখলুকের জন্যেও হয়। তাদের অন্তর আল্লাহ ছাড়া আর কাউকেও ভয় করে না। এরাই হচ্ছে সুপথপ্রাপ্ত লোক এবং এরাই হচ্ছে একত্ববাদী ও ঈমানদার। কুরআন ও হাদীসের আলোকে প্রতীয়মান হয় যে, যারা পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের পাবন্দ, শুধুমাত্র আল্লাহকেই যারা ভয় করে এবং আল্লাহ ছাড়া অন্যের যারা ইবাদত করে না তারাই সুপথগামী এবং সফলকাম। এটা স্মরণ রাখার বিষয় যে, ইবনে আব্বাস (রাঃ)-এর মতে কুরআন কারীমের মধ্যে যেখানেই (আরবী) শব্দ এসেছে সেখানেই তা নিশ্চিত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে, ‘আশা’ অর্থে নয়।

যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবী) এখানে অর্থ হবে- “হে নবী (সঃ)! এটা নিশ্চিত কথা যে, আল্লাহ তোমাকে মাকামে মাহমূদে পৌছিয়ে দিবেন।” (১৭:৭৯) এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক (রঃ) বলেন যে, আল্লাহর কালামে শব্দটি সত্য ও নিশ্চয়তার জন্যে এসে থাকে।

English Tafsir:-
Tafsir Ibn Kathir:-
Sura Tawbah
Sura:09
Verses :- 17-18

مَا كَانَ لِلْمُشْرِكِينَ أَن يَعْمُرُواْ مَسَاجِدَ الله

It is not for the Mushrikin, to maintain the Masjids of Allah,

It is not for Idolators to maintain the Masjids of Allah

Allah says;

مَا كَانَ لِلْمُشْرِكِينَ أَن يَعْمُرُواْ مَسَاجِدَ الله شَاهِدِينَ عَلَى أَنفُسِهِمْ بِالْكُفْرِ

It is not for the Mushrikin, to maintain the Masjids of Allah, while they witness against themselves of disbelief.

Allah says that it is not fitting that those who associate others with Allah in worship should maintain the Masjids of Allah that were built in His Name alone without partners.

Those who read the Ayah, “Masjid Allah”, said that;

it refers to Al-Masjid Al-Haram, the most honored Masjid on the earth, which was built, from the first day, for the purpose of worshipping Allah alone without partners. It was built by Khalil Ar-Rahman (the Prophet Ibrahim) peace be upon him.

The idolators do this while they themselves testify to their disbelief with their statements and actions.

As-Suddi said,

“If you ask a Christian, `What is your religion’, He will tell you he is a Christian. If you ask a Jew about his religion, he will say he is a Jew, and the same for a Sabi’ and a Mushrik!”‘

أُوْلَيِكَ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ

The works of such are in vain,

because of their Shirk,

وَفِي النَّارِ هُمْ خَالِدُونَ

and in Fire shall they abide.

Allah said in another Ayah,

وَمَا لَهُمْ أَلاَّ يُعَذِّبَهُمُ اللَّهُ وَهُمْ يَصُدُّونَ عَنِ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَمَا كَانُواْ أَوْلِيَأءَهُ إِنْ أَوْلِيَأوُهُ إِلاَّ الْمُتَّقُونَ وَلَـكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ

And why should not Allah punish them while they hinder (men) from Al-Masjid Al-Haram, and they are not its guardians! None can be its guardians except those with Taqwa, but most of them know not. (8:34)
Believers are the True Maintainers of the Masjids

Allah said

إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللّهِ مَنْ امَنَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الاخِرِ

The Masjids of Allah shall be maintained only by those who believe in Allah and the Last Day.

Therefore, Allah testifies to the faith of those who maintain the Masjids.

Abdur-Razzaq narrated that `Amr bin Maymun Al-Awdi said,

“I met the Companions of the Prophet and they were saying, `The Masjids are the Houses of Allah on the earth. It is a promise from Allah that He is generous to those who visit Him in the Masjids.”

Allah said next,

وَأَقَامَ الصَّلَةَ

perform the Salah,

one of the major acts of worship practiced by the body,

وَاتَى الزَّكَاةَ

and give the Zakah,

which is the best act that benefits other people,

وَلَمْ يَخْشَ إِلاَّ اللّهَ

and fear none but Allah,

they fear only Allah, the Exalted, and none else,

فَعَسَى أُوْلَـيِكَ أَن يَكُونُواْ مِنَ الْمُهْتَدِينَ

It is they who are on true guidance.

Ali bin Abi Talhah said that Ibn Abbas said about Allah’s statement,
إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللّهِ مَنْ امَنَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الاخِرِ
(The Masjids of Allah shall be maintained only by those who believe in Allah and the Last Day),

“He who singles out Allah (in worship), has faith in the Last Day.”

And he said;

“He who believes in what Allah has revealed,

وَأَقَامَ الصَّلَةَ
(perform the Salah), establishes the five daily prayers,

وَلَمْ يَخْشَ إِلاَّ اللّهَ
(and fear none but Allah), worships Allah alone,

فَعَسَى أُوْلَـيِكَ أَن يَكُونُواْ مِنَ الْمُهْتَدِينَ

it may be they who are on true guidance.

Allah says, `It is they who are the successful ones in truth.’

Similarly, Allah said to His Prophet,

عَسَى أَن يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَاماً مَّحْمُودًا

It may be that your Lord will raise you to Maqam Mahmud, (17:79)

Allah says here,

`Your Lord (O Muhammad) shall grant you a station of praise, that is, the intercession (on the Day of Resurrection).’

Every `might’ in the Qur’an means `shall’.

তাফসীরে আহসানুল বায়ান বলেছেন:-

[১] مساجد الله থেকে মাসজিদুল হারাম উদ্দেশ্য। বহুবচন শব্দ ব্যবহার হয়েছে এই জন্য যে, এটা হল সমস্ত মসজিদের কিবলা এবং কেন্দ্রস্থল। অথবা আরবী ভাষায় একবচনের জায়গায় বহুবচন ব্যবহার করা বৈধ। উদ্দেশ্য হল যে, আল্লাহর ঘর (অর্থাৎ, মাসজিদুল হারাম) নির্মাণ বা আবাদ করা হল ঈমানদারদের কাজ; যারা শিরক ও কুফরী করে এবং সে কথা স্বীকারও করে, তাদের কাজ নয়। যেমন তালবিয়াতে তারা বলত, لبيك! لا شريك لك، إلا شريكًا هو لك، تملكه وما ملك। অর্থাৎ, আমি তোমার জন্য হাযির, তোমার কোন শরীক নেই। তবে সেই শরীক যা তোমার আছে। তুমি তার ও তার মালিকানাভুক্ত সবকিছুর মালিক। (মুসলিমঃ তালবিয়া পরিচ্ছেদ) কিম্বা এ থেকে উদ্দেশ্য সেই স্বীকার যা প্রত্যেক ধর্মাবলম্বীরা করে থাকে ও বলে যে, আমি ইয়াহুদী, আমি খ্রিষ্টান, আমি অগ্নিপূজক বা আমি পৌত্তলিক ইত্যাদি। (ফাতহুল ক্বাদীর)

[২] অর্থাৎ, তাদের সেই আমল যা বাহ্যতঃ ভাল মনে হয়; যেমন, কা’বাগৃহের তওয়াফ, উমরাহ, হাজীদের খিদমত প্রভৃতি সবই ব্যর্থ। কেননা, ঈমানবিহীন এই সমস্ত আমল ফলহীন বৃক্ষের মত (নিষ্ফল) অথবা সেই ফুলের মত যার কোন সৌরভ নেই।

* যেমন হাদীসেও এসেছে যে, নবী (সাঃ) বলেছেন “যখন তোমরা দেখবে যে, মানুষ মসজিদে (নামাযের জন্য) নিয়মিত উপস্থিত হচ্ছে, তখন তোমরা তার ঈমানের ব্যাপারে সাক্ষ্য দাও।” (তিরমিযীঃ সূরা তাওবার তাফসীর, হাদীসটিকে আল্লামা আলবানী যয়ীফ বলেছেন, যয়ীফুল জামে’ ৫০৯নং) কুরআন মাজীদে এখানেও আল্লাহ ও আখেরাতের প্রতি ঈমানের পর যে সব আমলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা হল নামায, যাকাত এবং আল্লাহর ভয়। যা হতে নামায, যাকাত ও আল্লাহ-ভীতির মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব প্রকাশ পায়।

তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-

এক আল্লাহর ইবাদাত করার জন্য যেসব মসজিদ তৈরী করা হয়েছে সেগুলোর মুতাওয়াল্লী, রক্ষণাবেক্ষণকারী ও সেবক এমন ধরনের লোক হতে পারে না যারা আল্লাহর গুণাবলী, অধিকারী ও ক্ষমতা-ইখতিয়ারের ক্ষেত্রে অন্যদের শরিক করে। তারপর তারা নিজেরাই যখন তাওহীদের দাওয়াত গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে এবং পরিষ্কার বলে দিয়েছে, আমরা নিজেদের ইবাদাত বন্দেগী এক আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট করতে রাযী নই, তখন একমাত্র আল্লাহর ইবাদাত করার জন্য যে ইবাদাত গৃহ তৈরী করা হয়েছে তার মুতাওয়াল্লী হবার অধিকার তারা কোথা থেকে পায়?

এখানে যদিও কথাটা সাধারণভাবেই বলা হয়েছে এবং তাৎপর্যের দিক দিয়েও এটি সর্বক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, তবুও বিশেষভাবে এখানে এর উল্লেখের উদ্দেশ্য হচ্ছে, কাবাঘর ও মসজিদে হারামের ওপর থেকে মুশরিকদের মুতাওয়াল্লীগিরির পাট একেবারে চুকিয়ে দিয়ে সেখানে চিরকালের জন্য তাওহীদবাদীদের অভিভাবকত্ব প্রতিষ্ঠিত করা।

* অর্থাৎ প্রকৃত অর্থে বায়তুল্লাহর যে সামান্য কিছু সেবা তারা করেছিল তাও বরবাদ হয়ে গেছে। কারণ এ সেবা কাজের সাথে তারা শিরকও জাহেলী পদ্ধতি মিশিয়ে একাকার করে ফেলেছিলো। তাদের সেই সামান্য পরিমাণ ভাল কাজকে নস্যাৎ করে দিয়েছে, তাদের অনেক বড় আকারের অসৎকাজ।

তাফসীরে ফাতহুল মাজীদ বলেছেন:-

যাদের চারটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে তারাই শুধু মাসজিদ আবাদ করবে:

১. যারা আল্লাহ তা‘আলা ও আখিরাতের ওপর বিশ্বাসী হবে। ২. সালাত কায়িম করবে। ৩. যাকাত প্রদান করবে। ৪. এবং আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করবে না।
তাই মাসজিদ পরিচালনা কমিটিরও এ বৈশিষ্ট্যসমূহ থাকা আবশ্যক। তাহলেই মাসজিদের উন্নয়ন আশা করা যায়। খতিব সাহেবদের উচিত কমিটিকে ভয় না করে আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করে সততার সাথে দীনী দায়িত্ব পালক করা।

আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

মাসজিদ আবাদকারীদের ও পরিচালনা কমিটির বৈশিষ্ট্যের কথা জানতে পারলাম।

Leave a Reply