اللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(Book#977)
[ وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَعۡمَالُہُمۡ
Two Examples of two kinds of Disbelievers .]
Sura:24
Para:18
Sura: An- Noor.
Ayat: 39-40
www.motaher21.net
24:39
وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَعۡمَالُہُمۡ کَسَرَابٍۭ بِقِیۡعَۃٍ یَّحۡسَبُہُ الظَّمۡاٰنُ مَآءً ؕ حَتّٰۤی اِذَا جَآءَہٗ لَمۡ یَجِدۡہُ شَیۡئًا وَّ وَجَدَ اللّٰہَ عِنۡدَہٗ فَوَفّٰىہُ حِسَابَہٗ ؕ وَ اللّٰہُ سَرِیۡعُ الۡحِسَابِ ﴿ۙ۳۹﴾
But those who disbelieved – their deeds are like a mirage in a lowland which a thirsty one thinks is water until, when he comes to it, he finds it is nothing but finds Allah before Him, and He will pay him in full his due; and Allah is swift in account.
Two Examples of two kinds of Disbelievers
These are two examples which Allah sets forth of two kinds of disbelievers.
Similarly He sets forth two parables of the hypocrites at the beginning of Surah Al-Baqarah:
one involving fire and the other involving water.
Similarly, in Surah Ar-Ra`d He gives two parables of the guidance and knowledge that are instilled in the heart, again involving fire and water;
we have discussed each of them in the appropriate place and there is no need to repeat it here, praise be to Allah.
Allah says:
وَالَّذِينَ كَفَرُوا أَعْمَالُهُمْ كَسَرَابٍ بِقِيعَةٍ يَحْسَبُهُ الظَّمْأنُ مَاء حَتَّى إِذَا جَاءهُ
As for those who disbelieved, their deeds are like a mirage in a Qi`ah. The thirsty one thinks it to be water until he comes up to it,
The first of these two examples is that of the disbelievers who call others to their disbelief, thinking that they have good actions and beliefs, when this is not in fact the case. Their likeness is that of a mirage which is seen in a desert plain, looking from a distance as if it is a deep sea.
The word Qi`ah refers to a vast, flat, level area of land in which the mirage may appear.
There are different kinds of mirage, one which appears after midday, and another which appears in the morning and looks like water between heaven and earth. If a person who is in need of water sees the mirage, he thinks that it is water so he heads towards it in order to drink from it, but when he reaches it,
لَمْ يَجِدْهُ شَيْيًا
he finds it to be nothing.
Similarly the disbeliever thinks that he is doing something good and that he has achieved something, but when Allah judges him on the Day of Resurrection, and brings him to account and examines his deeds, he will find that nothing has been accepted at all, either because of a lack of sincere belief or because he did not follow the proper ways of the Shariah. As Allah says:
وَقَدِمْنَأ إِلَى مَا عَمِلُواْ مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنَاهُ هَبَأءً مَّنثُوراً
And We shall turn to whatever deeds they did, and We shall make such deeds as scattered floating particles of dust. (25:23)
And He says here:
وَوَجَدَ اللَّهَ عِندَهُ فَوَفَّاهُ حِسَابَهُ وَاللَّهُ سَرِيعُ الْحِسَابِ
but he finds Allah with him, who will pay him his due. And Allah is swift in taking account.
A similar view was also narrated from Ubayy bin Ka`b, Ibn Abbas, Mujahid, Qatadah and others.
In the Two Sahihs, it is reported that on the Day of Resurrection it will be said to the Jews,
“What did you used to worship!”
They will say, “We used to worship `Uzayr the son of Allah.”
It will be said to them, “You have lied. Allah has not begotten a son. What do you want!”
They will say, “O Lord, we are thirsty, give us something to drink.”
It will be said to them, “Do you not see!”
Then Hell will be shown to them as if it is a mirage, parts of it consuming other parts, and they will go and fall into it.
This is the parable of one whose ignorance is deep and advanced.
As for those whose ignorance is simple, those who are uneducated and foolish and blindly follow the leaders of disbelief, knowing and understanding nothing, their parable is as Allah says
24:40
اَوۡ کَظُلُمٰتٍ فِیۡ بَحۡرٍ لُّجِّیٍّ یَّغۡشٰہُ مَوۡجٌ مِّنۡ فَوۡقِہٖ مَوۡجٌ مِّنۡ فَوۡقِہٖ سَحَابٌ ؕ ظُلُمٰتٌۢ بَعۡضُہَا فَوۡقَ بَعۡضٍ ؕ اِذَاۤ اَخۡرَجَ یَدَہٗ لَمۡ یَکَدۡ یَرٰىہَا ؕ وَ مَنۡ لَّمۡ یَجۡعَلِ اللّٰہُ لَہٗ نُوۡرًا فَمَا لَہٗ مِنۡ نُّوۡرٍ ﴿٪۴۰﴾
Or [they are] like darknesses within an unfathomable sea which is covered by waves, upon which are waves, over which are clouds – darknesses, some of them upon others. When one puts out his hand [therein], he can hardly see it. And he to whom Allah has not granted light – for him there is no light.
أَوْ كَظُلُمَاتٍ فِي بَحْرٍ لُّجِّيٍّ يَغْشَاهُ مَوْجٌ مِّن فَوْقِهِ مَوْجٌ مِّن فَوْقِهِ سَحَابٌ ظُلُمَاتٌ بَعْضُهَا فَوْقَ بَعْضٍ إِذَا أَخْرَجَ يَدَهُ لَمْ يَكَدْ يَرَاهَا
Or like the darkness in a vast deep sea, overwhelmed with waves topped by waves, topped by dark clouds, darkness upon darkness:if a man stretches out his hand, he can hardly see it!
meaning, he can hardly see it because it is so intensely dark.
This is the parable of the heart of the disbeliever whose ignorance is simple, who merely follows and does not know the true nature of the one whom he follows or where he is going. He is like the ignorant man in the parable who was asked, “Where are you going?”
He said, “With them.”
He was asked, “Where are they going?”
He said, “I do not know.”
ظُلُمَاتٌ بَعْضُهَا فَوْقَ بَعْضٍ
darkness upon darkness,
Ubayy bin Ka`b said:
“He is enveloped in five types of darkness:
his speech is darkness,
his deeds are darkness,
his coming in is darkness,
his going out is darkness and
his destiny on the Day of Resurrection will be darkness in the fire of Hell.”
As-Suddi and Ar-Rabi` bin Anas also said something similar.
وَمَن لَّمْ يَجْعَلِ اللَّهُ لَهُ نُورًا فَمَا لَهُ مِن نُّورٍ
And he for whom Allah has not appointed light, for him there is no light.
One whom Allah does not guide is ignorant and doomed, an utter loser and disbeliever.
This is like the Ayah:
مَن يُضْلِلِ اللَّهُ فَلَ هَادِيَ لَهُ
Whomsoever Allah sends astray, none can guide him. (7:186)
This is in contrast to what Allah says about the believers:
يَهْدِى اللَّهُ لِنُورِهِ مَن يَشَأءُ
Allah guides to His Light whom He wills. (24:35)
We ask Allah the Almighty to put light in our hearts and give us light on our right and on our left, and to increase us in light
For getting Quran app: play.google.com/store/apps/details?id=com.ihadis.quran
أعوذ باللّٰه من الشيطان الرجيم
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ
(বই#৯৭৭)
[ وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَعۡمَالُہُمۡ
যারা কুফরী করে, তাদের কর্ম মরুভূমির মরীচিকার ন্যায়;]
সূরা:- আন-নূর।
সুরা:২৪
পারা:১৮
৩৯-৪০ নং আয়াত:-
www.motaher21.net
২৪:৩৯
وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَعۡمَالُہُمۡ کَسَرَابٍۭ بِقِیۡعَۃٍ یَّحۡسَبُہُ الظَّمۡاٰنُ مَآءً ؕ حَتّٰۤی اِذَا جَآءَہٗ لَمۡ یَجِدۡہُ شَیۡئًا وَّ وَجَدَ اللّٰہَ عِنۡدَہٗ فَوَفّٰىہُ حِسَابَہٗ ؕ وَ اللّٰہُ سَرِیۡعُ الۡحِسَابِ ﴿ۙ۳۹﴾
কিন্তু যারা কুফরী করে তাদের কর্মের উপমা হলো পানিহীন মরুপ্রান্তরে মরীচিকা, তৃঞ্চাতুর পথিক তাকে পানি মনে করেছিল, কিন্তু যখন সে সেখানে পৌঁছলো কিছুই পেলো না বরং সেখানে সে আল্লাহকে উপস্থিত পেলো, যিনি তার পূর্ণ হিসেব মিটিয়ে দিলেন এবং আল্লাহর হিসেব নিতে দেরী হয় না।
২৪:৪০
اَوۡ کَظُلُمٰتٍ فِیۡ بَحۡرٍ لُّجِّیٍّ یَّغۡشٰہُ مَوۡجٌ مِّنۡ فَوۡقِہٖ مَوۡجٌ مِّنۡ فَوۡقِہٖ سَحَابٌ ؕ ظُلُمٰتٌۢ بَعۡضُہَا فَوۡقَ بَعۡضٍ ؕ اِذَاۤ اَخۡرَجَ یَدَہٗ لَمۡ یَکَدۡ یَرٰىہَا ؕ وَ مَنۡ لَّمۡ یَجۡعَلِ اللّٰہُ لَہٗ نُوۡرًا فَمَا لَہٗ مِنۡ نُّوۡرٍ ﴿٪۴۰﴾
অথবা তার উপমা যেমন একটি গভীর সাগর বুকে অন্ধকার। ওপরে ছেয়ে আছে একটি তরংগ, তার ওপরে আর একটি তরংগ আর তার ওপরে মেঘমালা অন্ধকারের ওপর অন্ধকার আচ্ছন্ন। মানুষ নিজের হাত বের করলে তাও দেখতে পায় না। যাকে আল্লাহ আলো দেন না তার জন্য আর কোন আলো নেই।
তাফসীরে ইবনে কাছীর বলেছেন:-
৩৯-৪০ নং আয়াতের তাফসীর
আরো দু’প্রকার কাফিরের এ দু’টি দৃষ্টান্ত বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন সূরায়ে বাকারার শুরুতে দু’শ্রেণীর দু’টি উপমা বর্ণনা করা হয়েছে, একটি আগুনের উপমা এবং একটি পানির উপমা। আর যেমন সূরায়ে রা’দে মানুষের অন্তরে স্থান ধারণকারী ইলম ও হিদায়াতের এরূপই আগুন ও পানির দুটি দৃষ্টান্ত পেশ করা হয়েছে। ঐ দু’টি সূরায় ঐ আয়াতগুলোর পূর্ণ তাফসীর গত হয়েছে। সুতরাং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই জন্যে।
প্রথমটি হচ্ছে ঐ কাফিরদের দৃষ্টান্ত যারা অন্যদেরকেও কুফরীর দিকে আহ্বান করে থাকে এবং মনে করে যে, তারা হিদায়াতের উপরই প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। কিন্তু ওটা শুধু তাদের কল্পনা মাত্র। তাদের দৃষ্টান্ত তো হলো এরূপ যেমন কোন পিপাসার্ত লোক মরুভূমিতে দূর থেকে চকচকে বালু দেখতে পায় এবং ওকে পানির তরঙ্গ মনে করে বসে।
(আরবি) শব্দটি (আরবি) শব্দের বহুবচন, যেমন শব্দটির বহুবচন হলো (আরবি) এবং (আরবি) শব্দের বহুবচন (আরবি) ও এসে থাকে, যেমন (আরবি) শব্দের বহুবচন (আরবি) ও আসে। (আরবি) শব্দের অর্থ হলো জনশূন্য প্রশস্ত ও বিস্তীর্ণ মরুভূমি। এরূপ মরুভূমিতেই মরীচিকা দৃষ্টিগোচর হয়ে থাকে। দুপুরের সময় এরূপই মনে হয় যে, পানির প্রশস্ত সমুদ্র তরঙ্গায়িত হচ্ছে। মরুভূমির উপর দিয়ে চলতে চলতে যখন কোন লোক পিপাসায় কাতর হয়ে ছটফট করে এবং ওষ্ঠাগত প্রাণ হয়ে যায়, আর উড্রান্তের মত পানির খোঁজে ফিরতে থাকে, তখন সে ওটাকে পানি মনে করে সেখানে পৌছে যায়। কিন্তু গিয়ে দেখে যে, সেখানে এক ফোটা পানিরও কোন নাম-নিশানা নেই। দ্রুপ এই কাফিররাও মনে করে নিয়েছে যে, তারা খুব ভাল কাজই করছে। কিন্তু কিয়ামতের দিন তারা দেখতে পাবে যে, তাদের কাছে একটা পুণ্যও নেই। হয়তো তাদের পুণ্য তাদের বদ নিয়তের কারণে নষ্ট হয়ে গেছে অথবা শরীয়ত মোতাবেক না হওয়ার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। মোটকথা, সেখানে পৌছবার পূর্বেই তারা জাহান্নামীদের তালিকাভুক্ত হয়ে গেছে। সুতরাং সেখানে তারা হয়ে গেছে সম্পূর্ণ শূন্য হস্ত। হিসাব গ্রহণের সময় স্বয়ং মহিমান্বিত ও প্রবল পরাক্রান্ত আল্লাহ সেখানে বিদ্যমান। তিনি এক এক করে প্রত্যেকটি আমলের হিসাব গ্রহণ করছেন এবং ঐ কাফিরদের একটি আমলও পুণ্যের যোগ্যরূপে পাওয়া যাচ্ছেনা।
সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে বর্ণিত আছে যে, কিয়ামতের দিন ইয়াহূদীদেরকে জিজ্ঞেস করা হবেঃ “দুনিয়ায় তোমরা কার উপাসনা করতে?” উত্তরে তারা বলবেঃ “আমরা আল্লাহর পুত্র (নাউযুবিল্লাহ) উযায়ের (আঃ)-এর উপাসনা করতাম।” তখন তাদেরকে বলা হবেঃ “তোমরা মিথ্যা কথা বলছো, আল্লাহর কোন পুত্র নেই। তারপর তাদেরকে প্রশ্ন করা হবেঃ “আচ্ছা, এখন তোমরা কি চাও?” তারা জবাবে বলবেঃ “হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা খুবই পিপাসার্ত। সুতরাং আমাদেরকে পানি পান করিয়ে দিন!” তখন তাদেরকে বলা হবেঃ “তোমরা কি দেখতে পাচ্ছ না (ঐ যে পানি দেখা যায়, সেখানে যাও কেন)?” অতঃপর দূর থেকে তারা জাহান্নামকে তেমনই দেখবে যেমন দুনিয়ায় মরীচিকা দেখা যায়। সুতরাং তারা পানি মনে করে ওদিকে দৌড় দেবে এবং সেখানে পৌছলেই তারা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।
এটা দৃষ্টান্ত হলো অনুসৃত লোকদের। এখন দৃষ্টান্ত বর্ণনা করা হচ্ছে অনুসরণকারী লোকদের, যারা মোটেই জ্ঞান রাখতো না। তারা পূর্ব বর্ণিত কাফিরদের অন্ধ অনুকরণ করতো। যাদের উপমা দেয়া হয়েছে গভীর সমুদ্রতলের অন্ধকারের সাথে, যাকে আচ্ছন্ন করে তরঙ্গের উপর তরঙ্গ, যার ঊর্ধ্বে মেঘপুঞ্জ, অন্ধকারপুঞ্জ স্তরের উপর স্তর, এমনকি সে হাত বের করলে তা আদৌ দেখতে পাবে না। এই অবস্থা ঐ অনুসরণকারী কাফিরদের হবে যারা নেতৃস্থানীয় কাফিরদেরকে অন্ধভাবে অনুসরণ করে থাকে। যাদের তারা অনুসরণ করে তাদেরকেও তারা সঠিকভাবে চিনে না। তারা ন্যায়ের উপর আছে কি অন্যায়ের উপর আছে সেটাও তারা জানে না। তারা তাদের পিছনে চলতে রয়েছে, কিন্তু তারা তাদেরকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে এ খবর তারা রাখে না। উদাহরণ স্বরূপ বলা হয়ে থাকে যে, কোন একজন অজ্ঞ লোককে জিজ্ঞেস করা হয়ঃ “তু কোখায় যাচ্ছ?” উত্তরে সে বলেঃ “আমি এই লোকটির সাথে যাচ্ছি।” আবার তাকে প্রশ্ন করা হয়ঃ “এ লোকটি কোথায় যাচ্ছে?” জবাবে সে বলেঃ “তা তো আমি জানি না।” যেমন সমুদ্র তরঙ্গায়িত হচ্ছে তেমনই এই কাফিরের কানে এবং চোখের উপর পর্দা পড়ে রয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ “আল্লাহ তাদের অন্তরের উপর ও কানের উপর মোহর লাগিয়ে দিয়েছেন (শেষ পর্যন্ত)।” অন্য আয়াতে রয়েছে-(আরবি)
অর্থাৎ “তুমি কি ঐ ব্যক্তিকে দেখনি যে তার প্রবৃত্তিকে তার মা’বুদ বানিয়ে নিয়েছে, আর আল্লাহ তাকে জ্ঞানের উপর পথভ্রষ্ট করেছেন এবং তার কানের উপর ও অন্তরের উপর মোহর লাগিয়ে দিয়েছেন ও তার চোখের উপর পর্দা ফেলে দিয়েছেন?।” (৪৫: ২৩)
হযরত উবাই ইবনে কা’ব (রাঃ) বলেছেন যে, এই ধরনের লোক পাঁচটি অন্ধকারের মধ্যে থাকে। তার কথা, কাজ, যাওয়া, আসা এবং পরিণাম অন্ধকারের মধ্যে রয়েছে। মহান আল্লাহ বলেনঃ আল্লাহ যাকে জ্যোতি দান করেন। তার জন্যে কোন জ্যোতিই নেই। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা যাকে হিদায়াতের জ্যোতি দান না করেন সে হিদায়াত শূন্য থাকে এবং অজ্ঞতার মধ্যে জড়িয়ে পড়ে ধ্বংসের মধ্যে পতিত হয়। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার জন্যে কোন হিদায়াতকারী নেই।” (৭: ১৮৬) এটা ওরই মুকাবিলায় বলা হয়েছে যা মুমিনদের উপমার বর্ণনায় বলা হয়েছিল যে, আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ-নির্দেশ করেন তাঁর জ্যোতির দিকে। আমরা মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করছি যে, তিনি যেন আমাদের অন্তরে নূর সৃষ্টি করেন এবং আমাদের ডানে এবং বামেও যেন নূর বা জ্যোতি দান করেন। তিনি যেন আমাদের জ্যোতি বাড়িয়ে দেন এবং ওটাকে খুবই বড় ও বেশী করেন।
তাফসীরে ফাতহুল মাজিদ বলেছেন:-
৩৯-৪০ নং আয়াতের তাফসীর:
পূর্বের আয়াতে মু’মিনদের উত্তম আমলসমূহ বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেনন এ সম্পর্কে আলোচনা করার পর এখানে কাফিরদের আমলের অবস্থার বর্ণনা নিয়ে এসেছেন। আল্লাহ তা‘আলা কাফিরদের আমলের দুটি উপমা পেশ করেছেন। প্রথমটি হচ্ছে ঐসকল কাফিরদের দৃষ্টান্ত যারা নিজেরা কুফরী করে এবং অন্যদেরকেও কুফরীর দিকে আহ্বান করে আর মনে করে যে, তারা হিদায়াতের ওপরই প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। কিন্তু এটা শুধু তাদের কল্পনা মাত্র। তাদের দৃষ্টান্ত হল এরূপ যেমন কোন পিপাসিত লোক মরুভূমির মরীচিকাকে পানি মনে করে সেখানে দৌঁড়ে যায় কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখে যে, কোন কিছুই নেই। তদ্রƒপ এ কাফিররাও মনে করে যে, তারা খুব ভাল কাজই করছে। কিন্তু তারা কিয়ামাতের দিন দেখতে পাবে যে, তাদের কোন নেকীই নেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(مَثَلُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا بِرَبِّهِمْ أَعْمَالُهُمْ كَرَمَادِ نِاشْتَدَّتْ بِهِ الرِّيْحُ فِيْ يَوْمٍ عَاصِفٍ ط لَا يَقْدِرُوْنَ مِمَّا كَسَبُوْا عَلٰي شَيْءٍ ط ذٰلِكَ هُوَ الضَّلٰلُ الْبَعِيْدُ)
“যারা তাদের প্রতিপালককে অস্বীকার করে তাদের উপমা তাদের কর্মসমূহ ছাইয়ের মত যা ঝড়ের দিনের বাতাস প্রচণ্ড বেগে উড়িয়ে নিয়ে যায়। তারা যা উপার্জন করে তার কিছুই তাদের কাজে লাগাতে পারে না। এটা তো চরম গোমরাহী।” (সূরা ইবরাহীম ১৪:১৮)
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَقَدِمْنَآ إِلٰي مَا عَمِلُوْا مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنٰهُ هَبَا۬ءً مَّنْثُوْرًا)
“আমি তাদের কৃতকর্মের দিকে অগ্রসর হব, অতঃপর সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করব।” (সূরা ফুরকান ২৫:২৩)
আর দ্বিতীয় দৃষ্টান্ত হচ্ছে ঐ সকল কাফিরদের যারা অজ্ঞতার কারণে কোন প্রকার জ্ঞান ব্যতিরেকেই আহ্বানকারী কাফিরদের ডাকে সাড়া দেয়। তাদের দৃষ্টান্ত হল গভীর সমুদ্রতলের অন্ধকার, যাকে আচ্ছন্ন করে তরঙ্গের ওপর তরঙ্গ, যার ঊর্ধ্বে মেঘপুঞ্জ, অন্ধকারপুঞ্জ স্তরের ওপর স্তর, এমনকি সে হাত বের করলে তা আদৌ দেখতে পাবে না। এ অবস্থা অনুসরণকারী কাফিরদের হবে যারা নেতৃস্থানীয় কাফিরদেরকে অন্ধভাবে অনুসরণ করে থাকে। যাদের তারা অনুসরণ করে থাকে তাদেরকেও তারা সঠিকভাবে চিনে না। তারা ন্যায়ের ওপর আছে, না-কি অন্যায়ের ওপর আছে সেটাও তারা জানে না। তারা যাদের আনুগত্য করে চলেছে, তারা তাদেরকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তারা এ খবর রাখে না।
এরপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তিনি যাকে হিদায়াতের জ্যোতি দান করেন না তার কোনই জ্যোতি নেই। অর্থাৎ সে সুপথপ্রাপ্ত হবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(مَنْ يُّضْلِلِ اللّٰهُ فَلَا هَادِيَ لَه۫)
“আল্লাহ তা‘আলা যাদেরকে পথভ্রষ্ট করেন তাদের কোন পথপ্রদর্শক নেই।” (সূরা আ‘রাফ ৭:১৮৬)
সুতরাং কোন কিছু মানতে গেলে বা আমল করতে গেলে তা প্রথমে যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে। যদি সঠিক হয় তাহলে মানতে হবে, তা না হলে প্রত্যাখ্যান করতে হবে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলার বিধানের কুফরী করা যাবে না এবং এদিকে কাউকে আহ্বানও করা যাবে না।
২. অন্ধের মত যাচাই-বাছাই না করে কারো অনুসরণ করা যাবে না।
৩. হিদায়াতের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা।
তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন বলেছেন:-
# আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর নবীগণ এবং সে সময় আল্লাহর নবী সাইয়েদুনা মুহাম্মাদ ﷺ যে সত্যের শিক্ষা দিচ্ছিলেন সরল মনে তা মেনে নিতে অস্বীকার করে। ওপরের আয়াত নিজেই বলে দিচ্ছে, আল্লাহর আলো লাভকারী বলতে সাচ্চা ও সৎ মু’মিনদেরকে বুঝানো হয়েছে। তাই এখন তাদের মোকাবিলায় এমন সব লোকের অবস্থা জানানো হচ্ছে যারা এ আলো লাভের আসল ও একমাত্র মাধ্যম অর্থাৎ রসূলকেই মেনে নিতে ও তাঁর আনুগত্য করতে অস্বীকার করে। মন থেকে অস্বীকার করুক অথবা নিছক মৌখিক অস্বীকৃতির ঘোষণা দিক কিংবা মনে ও মুখে উভয়ভাবে অস্বীকৃতি জানাক তাতে কিছু আসে যায় না।
# এ উপমায় এমনসব লোকের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে যারা কুফরী ও মুনাফিকী সত্ত্বেও বাহ্যত সৎকাজও করে এবং মোটামুটিভাবে আখেরাতকেও মানে আবার এ অসার চিন্তাও পোষণ করে যে, সাচ্চা ঈমান ও মু’মিনের গুণাবলী এবং রসূলের আনুগত্য ও অনুসরণ ছাড়া এ কার্যাবলী তাদের জন্য আখেরাতে কোন কাজে লাগবে না। উপমার আকারে তাদেরকে জানান হচ্ছে, তোমরা নিজেদের যেসব বাহ্যিক ও প্রদর্শনীমূলক সৎকাজের মাধ্যমে আখেরাতে লাভবান হবার আশা রাখো সেগুলো নিছক মরীচিকা ছাড়া আর কিছুই নয়। মরুভূমিতে দূর থেকে চিকচিক করা বালুকারাশি দেখে যেমন পিপাসার্ত তাকে একটি তরংগায়িত পানির দরিয়া মনে করে নিজের পিপাসা নিবৃত্তির জন্য ঊর্ধশ্বাসে সেদিকে দৌড়াতে থাকে, ঠিক তেমনি তোমরা এসব কর্মের ওপর মিথ্যা ভরসা করে মৃত্যু মনযিলের পথ অতিক্রম করে চলছো। কিন্তু যেমন মরীচিকার দিকে ছুটে চলা ব্যক্তি যখন যে স্থানে পানির দরিয়া আছে মনে করেছিল সেখানে পৌঁছে কিছুই পায় না ঠিক তেমনি তোমরা যখন মৃত্যু মনযিলে প্রবেশ করবে তখন জানতে পারবে সেখানে এমন কোন জিনিস নেই যা থেকে তোমরা লাভবান হতে পারবে। বরং এর বিপরীত দেখবে তোমাদের কুফরী ও মুনাফিকী এবং লোক দেখানো সৎকাজের সাথে তোমরা যেসব খারাপ কাজ করেছিলে সেগুলোর হিসেব নেবার এবং পুরোপুরি প্রতিদান দেবার জন্য আল্লাহ সেখানে উপস্থিত রয়েছেন।
# এ উপমায় সকল কাফের মুনাফিকদের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। লোক দেখানো সৎকাজকারীরাও এর অন্তর্ভুক্ত। এদের সবার সম্পর্কে বলা হচ্ছে, জাগতিক পরিভাষায় তারা মহাপণ্ডিত ও জ্ঞান সাগরের মহান দিশারী হলেও হতে পারে কিন্তু নিজেদের সমগ্র জীবন যাপন করছে তারা চরম ও পূর্ণ মূর্খতার মধ্যে। তারা হচ্ছে এমন ব্যক্তির মতো যে এমন কোন জায়গায় আবদ্ধ হয়ে আছে যেখানে পুরোপুরি অন্ধকারের রাজত্ব, আলোর সামান্যতম শিখাও যেখানে পৌঁছতে পারে না। তারা মনে করে আণবিক বোমা, হাইড্রোজেন বোমা, শব্দের চেয়ে দ্রুত গতি সম্পন্ন বিমান এবং চাঁদে ও গ্রহান্তরে পাড়ি দেবার জন্য মহাশূন্য যান তৈরী করার নাম জ্ঞান। তাদের মতে, খাদ্য নীতি, অর্থনীতি, আইন শাস্ত্র ও দর্শনে পারদর্শিতা অর্জন করার নাম জ্ঞান। কিন্তু আসল জ্ঞান এর থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিসের নাম। তার স্পর্শ থেকে তারা অনেক দূর রয়ে গেছে। সেই জ্ঞানের দৃষ্টিতে তারা নিছক মূর্খ ও অজ্ঞ ছাড়া আর কিছুই নয়। অন্যদিকে একজন অশিক্ষিত গেঁয়ো যদি সত্যকে চেনে ও উপলব্ধি করে তাহলে সে জ্ঞানবান।
# এখানে পৌঁছে আসল কথা পরিষ্কার করে বলে দেয়া হয়েছে। এর সূচনা করা হয়েছিল اللَّهُ نُورُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ এর বিষয়বস্তু থেকে। বিশ্ব-জাহানে যখন মূলত আল্লাহর আলো ছাড়া আর কোন আলো নেই এবং সে আলো থেকেই হচ্ছে যাবতীয় সত্যের প্রকাশ তখন যে ব্যক্তি আল্লাহর আলো পাবে না সে পূর্ণ ও নিশ্ছিদ্র অন্ধকারে ডুবে থাকবে না তো আর কি হবে? আর কোথাও তো আলো নেই। কাজেই অন্য কোথাও থেকে আলোর একটি শিখাও লাভ করার সম্ভাবনা করো নেই।
ফী জিলালিল কুরআন বলেছেন:-
*কুফরীর অন্ধকারে আল্লাহর নূরের অবস্থান সম্ভব নয় : আকাশ ও পৃথিবী জুড়ে বিরাজমান, আল্লাহর ঘরগুলােতে দেদিপ্যমান এবং মােমেনদের হৃদয়ে প্রােজ্জ্বল জ্যোতির ঠিক বিপরীত আর একটা জগতকে তুলে ধরা হচ্ছে পরবর্তী আয়াতে। ‘এ জগত হচ্ছে অন্ধকারাচ্ছন্ন, ভয়াবহ ও বিপজ্জনক এক জগত, যেখানে কোনাে কল্যাণ নেই। এ জগত হচ্ছে কুফরীর জগত এবং কাফেরদের আবাস ভূমি, যারা কুফরী করেছে তাদের কাজগুলাে মরুভূমিতে মরীচিকা মতাে, যাকে পিপাসিত পথিক পানি মনে করে, কিছু তার কাছে এলেই দেখে তা কিছু নয়, সেখানে আল্লাহকে পায় এবং তিনি তার হিসাব পুরােপুরি বুঝিয়ে দেন।'(আয়াত ৩৯-৪০) এ আয়াতে কাফেরদের অবস্থা ও শােচনীয় পরিণামের দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে। এই দুটো দৃশ্য। বড়ই বিস্ময়কর, চঞ্চল ও জীবন্ত। প্রথম দৃশ্যটাতে তাদের কৃতকর্মকে একটা বিস্তীর্ণ উন্মুক্ত প্রান্তরে মরিচিকার সাথে তুলনা করা হয়েছে। এই মরীচিকায় একটা প্রতারণাময় মিথ্যে চমক দেখা যায়। তৃষ্ণার্ত পথিক এই আশায় এগিয়ে যায় যে, সেখানে পানি আছে এবং তৃষ্ণা নিবারণ করা যাবে। কিন্তু সেখানে আসলে কী রয়েছে, তা সে জানেনা। সহসা সে দৃশ্যপট এক প্রচন্ড ঝাঁকুনি দেয় পথিককে। সে পানির আশায় সেখানে পৌছে যায়। কিন্তু পানি পায় না এবং তার পিপাসাও মেটে না। বরং সেখানে এসে সে এমন এক আকস্মিক দৃশ্যের মুখােমুখী হবে, যা তার চেতনা হরণ করবে এবং এমন এক ভয়াবহ দৃশ্য দেখবে, যা তাকে উন্মাদ করে তুলবে, তার কাছে আল্লাহকে পায়। যে আল্লাহকে সে অমান্য ও অগ্রাহ্য করেছে, যে আল্লাহর সাথে শত্রুতা পােষণ করেছে, সেই আল্লাহকে সে তার জন্যে অপেক্ষমান দেখতে পাবে। এ ধরনের আকস্মিক পরিস্থিতিতে সে যদি একজন মানুষের পেতাে, তাহলেও সে ভড়কে যেতে। কেননা সে সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত। সুতরাং আল্লাহকে পেলে যে কী অবস্থা হবে, তা তাে বলারই অপেক্ষা রাখে না। কেননা আল্লাহ তায়ালা মহা শক্তিশালী, মহা প্রতাপশালী ও প্রতিশােধ গ্রহণকারী। ‘তিনি তাকে সমস্ত হিসাব বুঝিয়ে দেন।’ এরূপ দ্রুত ও আকস্মিকভাবে সমস্ত হিসাব বুঝিয়ে দেন। ‘আর আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।’ এ মন্তব্যটা ওই আকস্মিক ও ভয়াবহ দৃশ্যের সাথে সংগতিপূর্ণ। মরীচিকা মিথ্যে প্রতারণাময় দৃশ্যের পর দ্বিতীয় দৃশ্যে অন্ধকার দেখানাে হচ্ছে। এই ভয়াল দৃশ্য অথৈ সমুদ্রের অন্ধকারের মধ্যে প্রতিফলিত। সেই অর্থে সমুদ্রে তরংগের পর তরংগ এবং তার ওপর মেঘমালা বিরাজমান। ঘুটঘুটে প্রগাঢ় অন্ধকার। সে অন্ধকার এতো গাঢ় যে, চোখের সামনে হাত মেলে ধরলেও তা দেখা যায় না। এ অন্ধকার কুফরী ছাড়া আর কিছু নয়। কেননা কুফরী সারা বিশ্বজগত জুড়ে প্রবহমান আল্লাহর জ্যোতি থেকে বিচ্ছিন্ন। এ অন্ধকার গােমরাহীর অন্ধকার, যার ভেতরে হেদায়াতের নিকটতম চিহ্নও অন্তরচক্ষুতে ধরা পড়ে না। এ অন্ধকার ভীতির অন্ধকার, যার উপস্থিতিতে স্বস্তি ও স্থিতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ‘আর যাকে আল্লাহ তায়ালা জ্যোতি দেননি, তার আর কোনাে জ্যোতি নেই।’ কেননা আল্লাহর জ্যোতি হৃদয়ে সঠিক পথের সন্ধান দেয়, অন্তর্দৃষ্টি খুলে দেয়, আল্লাহর যে প্রাকৃতিক বিধান আকাশ ও পৃথিবীতে কার্যকর, তার সাথে মানুষের প্রকৃতির সংযােগ ও সমন্বয় ঘটায় এবং এগুলাের সম্মেলনই হলাে আকাশ ও পৃথিবীর জ্যোতি। সুতরাং এই জ্যোতির সাথে যার সংযােগ ঘটে না, সে এমন অন্ধকারে নিক্ষিপ্ত হয় যেখান থেকে আর কখনাে আলোর মুখ দেখা যায় না, এমন তিথিতে নিক্ষিপ্ত হয় যেখান থেকে আর নিরাপত্তার মুখ দেখা যায় না এবং এমন ভ্রষ্টতায় নিক্ষিপ্ত হয়, যেখান থেকে সুপথ প্রাপ্তির আর আশা থাকে না। আয়াত দুটোতে বলা হয়েছে যে, কাফেরদের সৎ কাজের ফল মরীচিকার মতাে, যা ধ্বংস ও আযাবে পর্যবসিত হয়। কেননা আকীদা ও ঈমান ছাড়া কোনাে কর্ম গ্রহণযােগ্য হয় না। আল্লাহর হেদায়াতই একমাত্র হেদায়াত এবং আল্লাহর জ্যোতিই একমাত্র জ্যোতি।