www.motaher21.net আয়াতের ৫-১৩ নং আয়াতের ব্যাখ্যা:- তাফসীরে ফী জিলালিল কুরআন:-   *আল্লাহর প্রতি সিজদাবনত মহাবিশ্বের বিস্ময়কর সৃষ্টি :

www.motaher21.net
আয়াতের ৫-১৩ নং আয়াতের ব্যাখ্যা:-
তাফসীরে ফী জিলালিল কুরআন:-
*আল্লাহর প্রতি সিজদাবনত মহাবিশ্বের বিস্ময়কর সৃষ্টি :

এরপর প্রাকৃতিক জগতে দয়াময় আল্লাহর বদান্যতার নিদর্শন স্বরূপ বিভিন্ন নেয়ামতের বিবরণ দেয়া অব্যাহত রয়েছে। ‘সূর্য চন্দ্র পরিকল্পনা মােতাবেক অবস্থানে রয়েছে।’ অর্থাৎ এ দুটি জ্যোতিঙ্কের সৃষ্টি ও আবর্তন ক্রিয়ার মধ্যে সমন্বয় সাধনে এমন নিপুণ ও সুক্ষ্ম পরিকল্পনা প্রতিভাত হয়, যা ভাবলে বিস্ময়ে স্তম্ভিত হয়ে যেতে হয়। সূর্য যে আকাশের সবচেয়ে বড় জ্যোতিস্ক, তা নয়। এই অতলান্ত মহাশূন্যে কোটি কোটি নক্ষত্রও রয়েছে। তন্মধ্যে বহু সংখ্যক নক্ষত্র রয়েছে সূর্যের চেয়েও বৃহত্তর, উজ্জ্বলতর ও উত্তপ্ততর । ‘লুব্ধক’ নামক নক্ষত্র তা সূর্যের চেয়ে বিশ গুণ বড় এবং তার আলাে সূর্যের আলাের চেয়ে পঞ্চাশ গুণ বেশী উজ্জ্বল। অনুরূপভাবে ‘অগন্ত্য’ তারা আকারে সূর্যের চেয়ে আশি গুণ বড় এবং তার আলাে সূর্যের তুলনায় আটশ গুণ বেশী উজ্জ্বল। আর ‘স্বাতি’ নক্ষত্র সূর্যের চেয়ে আড়াই হাজার গুণ বেশী শক্তিশালী ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে আমরা যারা ক্ষুদ্র পৃথিবী গ্রহের অধিবাসী, তাদের জন্যে সূর্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নক্ষত্র। পৃথিবী ও তার অধিবাসীরা সূর্যের আলাে, তাপ ও মাধ্যাকর্ষণের উপর টিকে আছে। অনুরূপভাবে চন্দ্র পৃথিবীর একটি ক্ষুদ্র উপগ্রহ হলেও পৃথিবীর জীবনে তার প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমুদ্রে জোয়ার ভাটা সৃষ্টিতে চন্দ্র সবচেয়ে কার্যকর উপকরণ। সূর্যের আকার ও আয়তন, তার তাপমাত্রা, আমাদের থেকে তার দূরত্ব, নির্দিষ্ট আকাশে তার আবর্তন, চন্দ্রের আকার ও আয়তন, তার দূরত্ব ও আবর্তন এ সবকে পৃথিবীর ওপর উভয়ের প্রভাব বিবেচনা করে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে। অনুরূপভাবে মহাশূন্যে অন্যান্য গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান বিবেচনা করে এ দুটির অবস্থান পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমাদের পৃথিবী গ্রহের সাথে ও পৃথিবীতে অবস্থানকারী বিভিন্ন জীব এবং জীবনের সাথে সূর্য ও চন্দ্রের সম্পর্ক কতােখানি, সে সংক্রান্ত সূক্ষ্ম হিসাব নিকাশের একটি দিক এখানে তুলে ধরছি। পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব ৯ কোটি ২৫ লক্ষ মাইল। পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব যদি এর চেয়ে কম হতাে, তাহলে পৃথিবী জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যেতাে, অথবা বাষ্পে পরিণত হয়ে শুন্যে বিলীন হযে যেতাে। আর যদি তার দূরত্ব এর চেয়ে একটু বেশী হতো, তাহলে পৃথিবীর সব কিছু জমে বরফ হয়ে যেতাে। সূর্যের যেটুকু তাপ আমরা পাই, তা তার উত্তাপের ২০ লক্ষ ভাগের এক ভাগ মাত্র। এই সামান্য পরিমাণ তাপই আমাদের জীবনের জন্যে উপযােগী ও মানানসই। ‘ক’ নক্ষত্রটি যে তাপ ও আকৃতির অধিকারী, তাতে ওটা যদি সূর্যের স্থানে থাকতাে, তাহলে পৃথিবী বাষ্পে পরিণত হয়ে শূন্যে মিলিয়ে যেতাে। অনুরূপভাবে চন্দ্রের বর্তমান আকৃতি এবং পৃথিবী থেকে তারার দূরত্বের বিষয়টিও ভেবে দেখার মতাে। ওটা যদি আরাে বড় হতাে, তাহলে ওর প্রভাবে এখন সমুদ্রে যে জোয়ার হয়ে থাকে, তা ভয়াবহ বন্যার রূপ নিয়ে পৃথিবীর সব কিছুকে ভূবিয়ে দিতাে। অনুরূপভাবে চন্দ্রকে আল্লাহ তায়ালা বর্তমানে যে স্থানে রেখেছেন, তার চেয়ে যদি পৃথিবীর আরাে কাছাকাছি কোথাও রাখতেন, তাহলেও একই দশা হতাে, কিন্তু আল্লাহর হিসাবে এক চুল পরিমাণও ভুল হয় না। পৃথিবীর জন্যে সূর্য ও চন্দ্রের আকর্ষণ-শক্তি মহাবিশ্বে পৃথিবীর অবস্থান ও সৌরমন্ডলীয় কক্ষপথে তার আবর্তনকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এই কক্ষপথে আমাদের এই সৌরমন্ডল ঘন্টায় ২০ হাজার মাইল বেগে একই দিকে ছুটে চলে। অথচ কোটি কোটি বছর ধরে এভাবে চলা সত্ত্বেও কক্ষপথে কখনো সে কোনাে নক্ষত্রের মুখােমুখি হয়নি। এই বিশাল মহাশুন্যে কোনাে নক্ষত্রের কক্ষপথ এক চুল পরিমাণও বাঁকা হয় না এবং কোনাে কিছুর আকৃতিতে এবং আবর্তনে সমন্বয় ও ভারসাম্য বিন্দু পরিমাণও ব্যাহত হয় না। তাই আল্লাহর এ উক্তি, ‘সূর্য ও চন্দ্র পরিকল্পিত অবস্থানে রয়েছে’ সম্পূর্ণ সত্য ও বাস্তব। আর নক্ষত্র ও বৃক্ষ সিজদা করে। ইতিপূর্বে যা কিছু বলা হয়েছে তা ছিলাে মহাবিশ্বের বিনির্মাণে পরিকল্পনা ও হিসাব সংক্রান্ত। আর এখন বলা হচ্ছে মহাবিশ্বের লক্ষ্য ও গন্তব্য সম্পর্কে। এখানে একটি তাৎপর্যপূর্ণ সত্যের প্রতি ইংগিত করা হয়েছে। মহাবিশ্ব তার স্রষ্টার সাথে দাসত্ব ও বন্দগীর বন্ধনে আবদ্ধ। নক্ষত্র ও বৃক্ষ এরই দুটো দৃষ্টান্ত। এ দুটো দৃষ্টান্ত গােটা বিশ্বের লক্ষ্য ও গন্তব্যের সন্ধান দেয়। তাফসীরকাররা নাজম শব্দটির দু’রকম ব্যাখ্যা করেছেন। কেউ বলেছেন, এর অর্থ নক্ষত্র। আবার অন্যরা বলেছেন, এর অর্থ লতা জাতীয় গাছ। উভয় ব্যাখ্যা অনুসারে আয়াতের মূল বক্তব্য একই দাঁড়ায়। অর্থাৎ মহাবিশ্বের গন্তব্য ও লক্ষ্য এ আয়াতের বক্তব্য। মহাবিশ্ব একটি আত্মাবিশিষ্ট জীবন্ত সৃষ্টি। এই আত্মার আকৃতি ও প্রকৃতি এক এক সৃষ্টির ক্ষেত্রে এক এক রকম। তবে তার মূল স্বরূপ একই। মানব হৃদয় প্রাচীনকাল থেকেই গােটা সৃষ্টিজগতে কার্যকর এই জীবনের অস্তিত্ব অনুভব করেছে। এও অনুভব করেছে যে, গােটা সৃষ্টি তার স্রষ্টার কাছে বিনয়াবনত। এটাকে সে আল্লাহ তায়ালা প্রদত্ত জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দ্বারা উপলব্ধি করেছে। তবে যখনই সে নিজের ইন্দ্রিয় দ্বারা অর্জিত অভিজ্ঞতার খাঁচায় বন্দী বিবেক দ্বারা এটাকে বুঝার চেষ্টা করেছে, তখনই তা তার কাছ থেকে উধাও হয়ে গেছে। সাম্প্রতিককালে এই বিশ্বজগতের উৎপত্তিগত একক সংক্রান্ত সত্যের প্রান্তসীমার কাছাকাছি। পৌছতে চেষ্টা করেছে, কিন্তু এই পন্থায় সে বিশ্বের জীবন্ত আত্মার নাগাল এখনও পায়নি। আজকের বিজ্ঞান ধরে নিয়েছে যে, পরমাণুই বিশ্বজগতের উৎপত্তিগত একক এবং এই পরমাণু আসলে নিছক আলাে ছাড়া আর কিছু নয়। আর গতি হচ্ছে বিশ্বজগতের নিয়ম এবং তার সকল সদস্যের সাধারণ বৈশিষ্ট্য। এখন প্রশ্ন জাগে, যে গতি বিশ্ব প্রকৃতির নিয়ম ও বৈশিষ্ট্য, ওপর ভর করে কোন্ গন্তব্যের দিকে ধাবমান। কোরআন জবাব দেয় যে, বিশ্ব প্রকৃতি তার আত্মার গতিশীলতা কাজে লাগিয়ে আপন স্রষ্টার দিকে ধাবমান। বস্তুত আত্মার এই গতিই আসল গতি ও আসল তৎপরতা। তার বাহ্যিক গতিশীলতা তার আত্মার তৎপরতারই প্রতীক। এই গতি ও তৎপরতার কথা কোরআনের বহু আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। আলােচ্য আয়াত- ‘নক্ষত্র ও বৃক্ষ সাজদা করে অনুরূপ একটি আয়াত। তাছাড়াও রয়েছে সূরা বনী ইসরাঈলের আয়াত সাত আকাশ ও পৃথিবী এবং এখানে যা কিছু আছে, সকলে আল্লাহর গুণগান করে, এমন কোনাে জিনিস নেই, যা আল্লাহর প্রশংসা সহকারে গুণকীর্তন করে না, তবে তােমরা তাদের গুণকীর্তন করা বুঝতে পারাে না।’ এবং সূরা নূরের আয়াত ‘তুমি দেখােনি যে, আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে এবং সারিবদ্ধ পাখিকুল আল্লাহর তাসবীহ করে। সকলেই নিজ নিজ তাসবীহ ও নামায জেনে নিয়েছে।’ এই সত্যটি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করলে এবং বিশ্ব প্রকৃতি কর্তৃক আল্লাহর তাসবীহ ও এবাদাত পর্যবেক্ষণ করলে মানব হৃদয় এক বিস্ময়কর সম্পদ লাভ করে। তার আশপাশের সব কিছু তার কাছে জীবন্ত, আপন স্রষ্টার অনুগত ও মানুষের প্রতি মমত্ববোধ সম্পন্ন এবং সকল জিনিসকে তার নিজের বন্ধু ও ভাই বলে মনে হয়। বস্তুত এটি অত্যন্ত গভীর তাৎপর্যপূর্ণ কথা। ‘আকাশকে তিনি উর্ধ্বে তুলেছেন এবং দাঁড়িপাল্লা স্থাপন করেছেন…’ মহাবিশ্বের বিভিন্ন দৃশ্যের কথা কোরআন অন্যত্র যে রূপ উল্লেখ করেছে, এখানে আকাশের কথাও সেভাবেই উল্লেখ করেছে। এ দ্বারা তার উদ্দেশ্য হলাে মানুষের উদাসীন মনকে সচেতন করা। এ বিশ্বের বিশালত্ব, সমন্বয় ও চমৎকারিত্বের প্রতি তার মনােযােগ আকর্ষণ এবং যে সত্ত্বা এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন তার অপার ক্ষমতা সম্পর্কে তাকে অবহিতকরণ। আকাশ বলতে যাই বুঝানাে হােক না কেন, তার উল্লেখ এই কূল-কিনারাহীন মহাবিশ্বের দিকে মানুষের দৃষ্টি প্রসারিত করতে উদ্বুদ্ধ করে। মহাশূন্যে বিচরণ করে কোটি কোটি গ্রহ-নক্ষত্র। অথচ একটি নক্ষত্র কখনাে অপরটির মুখােমুখি হয় না। একটি নক্ষত্রপুঞ্জ অপর নক্ষত্রপুঞ্জের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় না। কখনাে কখনাে এসব নক্ষত্রপুঞ্জের নক্ষত্রের সংখ্যা হাজার কোটিতে গিয়ে পৌছে। উদাহরণস্বরূপ, যে ছায়াপথে আমাদের সৌরমন্ডল অবস্থিত, তার উল্লেখ করা যায়। এখানে সূর্যের চেয়ে ছােট এবং তার চেয়ে হাজার গুণ বড় নক্ষত্রও রয়েছে। তেরাে কোটি কিলােমিটারের চেয়েও বেশী যে সূর্যের ব্যাস, সেই সূর্য ছাড়াও এখানে রয়েছে অসংখ্য নক্ষত্র এবং ছায়াপথ। এরা সবাই মহাবিশ্বে অকল্পনীয় দ্রুতগতিতে প্রদক্ষিণ করছে। অথচ এই মহাবিশ্বে বিন্দুর মতাে বিচরণশীল এ অসংখ্য গ্রহ-নক্ষত্রে কখনাে কোনাে সংঘর্ষ বাধে না। ‘এতাে বিশাল আকাশকে উর্ধ্বে তুলে ধরার পাশাপাশি মহান আল্লাহ দাঁড়িপাল্লা স্থাপন করেছেন।’ অর্থাৎ সত্যের মানদন্ড সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যাতে ব্যক্তি, ঘটনা ও বস্তুর প্রকৃত মূল্য এবং মান নির্ণয় করা যায়, যাতে এগুলাের মান নিরূপণে বিঘ্ন না ঘটে এবং স্বার্থ মূর্খতা ও প্রবৃত্তির অনুসরণ করতে গিয়ে এগুলাের মান বিপর্যপ্ত না হয়। এই দাঁড়িপাল্লা স্থাপন করেছেন মানুষের স্বভাবে এবং কোরআন ও নবীর আনীত এই বিধানে যেন তােমরা দাঁড়িপাল্লায় বাড়াবাড়ি না করাে, অর্থাৎ সীমা অতিক্রম না করাে, উগ্রতা প্রদর্শন না করাে। ‘ন্যায় সংগতভাবে পরিমাপ করাে এবং দাঁড়িপাল্লায় কম মেপাে না।’ এভাবেই দাড়িপাল্লা ন্যায়সংগতভাবে স্থিতিশীল থাকে, বাড়াবাড়ি ও হ্রাসবৃদ্ধি ঘটায় না। এভাবেই সত্য পৃথিবীতে ও মানব জীবনে বিশ্ব-জগতের গঠন এবং শাসন প্রক্রিয়ার সাথে ও আকাশের সাথে সুসমন্বিত হয়, এই আকাশ থেকেই ওহী নাযিল হয় ও আল্লাহর বিধান অবতীর্ণ হয়। ‘আর পৃথিবীকে তিনি মানব জাতির জন্য স্থাপন করেছেন…’ আমরা দীর্ঘকাল ধরে পৃথিবীর ওপর অবস্থান করার কারণে অনুভব করি না যে, কোন্ শক্তিশালী হাত এ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং আমাদের এর ওপর নিশ্চিন্ত মনে স্থিতিশীল হয়ে বসবাস করতে দিয়েছেন। এই নিশ্চিন্ত অবস্থানের প্রকৃত মূল্য আমরা উপলব্ধি করি কেবল তখনই, যখন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত বা ভূমিকম্প পৃথিবীকে তছনছ করে দেয়। মানুষের উচিত প্রতি মুহূর্তে এই সত্য উপলব্ধি করা। তদের ভাবা উচিত, যে পৃথিবীতে তারা বসবাস করে, তা আল্লাহর বিশাল মহাশূন্যে সন্তরণরত একটি ধূলিকণার চেয়ে বেশী কিছু নয়। এই ধূলিকণাটি নিজেকে কেন্দ্র করে ঘন্টায় হাজার মাইল এবং সূর্যের চার পাশে ঘন্টায় ষাট হাজার মাইল বেগে ঘুরে। আর এই গােটা সৌরমন্ডল এই মহাশূন্যে ঘন্টায় বিশ হাজার মাইল বেগে আপন গন্তব্যের দিকে ছুটে চলেছে। মানুষ যদি এ কথা চিন্তা করতাে যে, এই সন্তরণত ক্ষুদ্র ধূলিকণাটির ওপরই তার অবস্থান, তাহলে তার হৃদয় ও চক্ষুদ্বয় এবং অন্তরাত্মা ও দেহের প্রতিটি জোড়ায় জোড়ায় এই অনুভূতি জাগতাে, একমাত্র মহান আল্লাহ নিজের অশেষ কৃপায় এই পৃথিবীতে তাদের টিকিয়ে রেখেছেন। আল্লাহ তায়ালা এই পৃথিবীতে মানুষের জীবন যাপনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। অথচ পৃথিবী নিজের চার পাশে ও সূর্যের চার পাশে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে আবর্তনশীল। শুধু থাকার ব্যবস্থা নয়, তার জীবিকার ব্যবস্থাও করেছেন এখানে। এ প্রসংগে খেজুর বাগানের উল্লেখ করেছেন এবং তার কাঠামােগত সৌন্দর্য এবং ফলের উপকারিতারও উল্লেখ করেছেন। প্রসংগত তিনি এমন সব উৎপন্ন ফসলেরও উল্লেখ করেছেন, যার কোনােটা মানুষের খাদ্য, কোনােটা পশুর খাদ্য, কোনােটা মানুষের জন্যে আরাম ও ভােগের উপকরণ এবং কোনােটা সুগন্ধিযুক্ত।

Leave a Reply