Book No. 5 : ‘মুনাফেকি কী, কেন ও কীভাবে?’

‘মুনাফেকি কী, কেন ও কীভাবে?’

 

ভুমিকা :

মূর্খদের মত কথাবার্তা বলার থেকে আমি আল্লাহ্‌র নিকট আশ্রয় চাই। পরম করুনাময় ও মহাজ্ঞানী আল্লাহ্‌র নামে শুরু করছি…… আমার শুভাকাঙ্ক্ষী এবং পরিচিত জনেরা, যারা ইতিপূর্বে প্রকাশিত আমার লিখা বইগুলো – (১) হে মুমিনগণ, (2) O YE WHO BELIEVE, lang=”BN”> (৩) এবং কাফেররা বলে, (৭) হে মানুষ এবং বইগুলো সম্পর্কে জানেন (All books published in the website www.motaher21.net and 1, 2, 3 & 8 Published by (1) Professors Publications, (2) IPCI Durban S.A. (3) WAMY & (8) Australian Journal For Humanities and Islamic Studies research respectively) , তারা বারবার তাগাদা দিচ্ছিলেন আমার পরবর্তী বই এর জন্য……

কিন্তু লিখা আমার পেশাও নয়, নেশাও নয়। তাই কি নিয়ে লিখব সেটা নিয়ে দ্বিধা দন্দ্বে ছিলাম। হঠাৎ আমার মনোযোগ আকৃষ্ট হল বর্তমান সমাজের দিকে।
আমরা গর্ববোধ করি, আনন্দিত হই একটি মুসলিম সমাজে বসবাস করার সৌভাগ্য লাভ করার জন্য। কিন্তু বাস্তবে, আমরা কি সত্যিকার অর্থে মুসলিম সমাজে বসবাস করছি? আমাদের ব্যক্তি ও সমাজ ব্যবস্থায় কি পরিপূর্ণ মুসলিম সমাজের সকল

পৃষ্ঠা নং: 1

বৈশিষ্ট্য বর্তমান আছে?………….. যদি তা না থাকে! যদি সামান্য কিছু বৈশিষ্ট্য এর সাথে অধিকাংশ বা কম-বেশী মুসলিম নয় এমন বৈশিষ্ট্য থাকে তাহলে তাকে কি মুসলিম সমাজ বলা যায়?
আমাদের নিজেকে এবং আশেপাশে যাদের সাথে আমরা চলাফেরা করি, উঠা-বসা , লেন-দেন, কাজ-কর্ম, তথা বসবাস বা জীবন যাপন করি সেই সব কিছু বিবেচনায় আমরা কি সত্যিকার মুসলিম হতে পেরেছি?
– যদি সত্যিকার মুসলিম হতে না পারি! কিন্তু নিজেদেরকে মুসলিম হিসেবে দাবী করি এবং আমাদের সমাজকে মুসলিম সমাজ হিসেবে দাবী করি তাহলে তাকে কী বলা যায়? কুরআন এবং হাদিছ কী বলে?……
আমরা যদি কুরআন অধ্যয়ন শুরু করি তাহলে কি দেখতে পাই? সুরা বাকারায় (২য় সুরায়) কী বলা হচ্ছে?……………
এই কিতাবে (কুরআনে) কোন সন্দেহ এর অবকাশ নেই। এরপর ৫ম আয়াত পর্যন্ত মুমিনের গুণাবলী আলোচনা করা হয়েছে।৬নং ও ৭ নং আয়াতে কাফেরদের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এরপর অষ্টম থেকে ২০ নং আয়াত পর্যন্ত দীর্ঘ আলোচনা করা হয়েছে যা আমাদের সমাজের অধিকাংশ মানুষের সাথে মিলে যায়। অষ্টম আয়াতে বলা হয়েছে কিছু লোক আছে (বর্তমানে অধিকাংশ) যারা মুখে বলে আমরা আল্লাহ্‌ ও পরকালের উপর ঈমান এনেছি, কিন্তু তারা প্রকৃত ইমানদার নয়। ৯ম আয়াতে বলা হচ্ছে তারা আল্লাহ্‌ ও ইমানদারদেরকে ধোঁকা দিতে চায়।

পৃষ্ঠা নং: ২

কিন্তু তারা নিজেদেরকে ছাড়া আর কাউকে ধোঁকা দিতে পারেনা। এমনকি এদের সম্পর্কে একটি পুর্ণাঙ্গ সূরা, সূরা মুনাফিকুন (৬৩ নং) নাযিল করা হয়েছে।
কুরআন হাদিছ অধ্যয়ন করলে এটা অত্যন্ত সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে- এই রোগ, মুনাফিকির কারণেই আজ জাতিগত ভাবে আমরা লাঞ্চিত ও বঞ্চিত। এবং পরকালের অবস্থা আরও করুণ হবে। কুরআনের ঘোষণা –
নিশ্চয় মুনাফিকদের অবস্থান জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে হবে। অর্থাৎ মুনাফিকদের শাস্তি সবচেয়ে ভয়াবহ, ও সবচেয়ে বেশী হবে। (এমনকি কাফেরদের চেয়েও ভয়াবহ এবং বেশী)। সূরা নিসা-৪, আয়াত ১৪৫।

এই সকল বিষয় লক্ষ্য করে আমার পরবর্তী আলোচনার বিষয়- মুনাফেকি কী, কেন ও কীভাবে???
আমি ইনশাআল্লাহ্‌ কুরআন ও হাদিছের আলোকে যথাসম্ভব পুর্ণাঙ্গ আলোচনার চেষ্টা করব। …………………

মুনাফেকি বিষয়টি কত বেশী গুরুত্বপূর্ণ তা নিম্নোক্ত হাদিছ থেকে বুঝা যায়।
বইঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী), অধ্যায়ঃ ৫০। তাওবাহ্ (كتاب التوبة), হাদিস নম্বরঃ ৬৮৫৯ ৬৮৫৯-(১২/২৭৫০) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া আত তামীমী ও কাতান ইবনু নুসায়র (রহঃ) ….. রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাতিব

পৃষ্ঠা নং: ৩

 

হানযালাহ আল উসাইয়িদী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) আমার সঙ্গে দেখা করলেন এবং আমাকে প্রশ্ন করলেন, হে হানযালাহ! তুমি কেমন আছ? তিনি বলেন, জবাবে আমি বললাম, হানযালাহ্ তো মুনাফিক হয়ে গেছে। সে সময় তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ তুমি কি বল্‌ছ? হানযালাহ্ (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে থাকি, তিনি আমাদের জান্নাত জাহান্নামের কথা শুনিয়ে দেন, যেন আমরা উভয়টি চাক্ষুষ দেখছি। সুতরাং আমরা যখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সন্নিকটে থেকে বের হয়ে আপনজন স্ত্রী-সন্তান এবং ধন-সম্পদের মধ্যে নিমগ্ন হয়ে যাই তখন আমরা এর অনেক বিষয় ভুলে যাই। আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম আমারও একই অবস্থা। নিশ্চয়ই আমরা এ বিষয় নিয়ে সাক্ষাৎ করবো। তারপর আমি এবং আবু বকর (রাযিঃ) রওনা করলাম এবং এমনকি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলাম। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! হানযালাহ্ মুনাফিক হয়ে গেছে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তা কী? আমি বললাম, আমরা আপনার কাছে থাকি, আপনি আমাদের জান্নাত-জাহান্নামের কথা মনে করিয়ে দেন, যেন আমরা তা সরাসরি দেখতে পাই। তারপর আমরা যখন আপনার নিকট হতে বের হই এবং স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি ও ধন-সম্পদের

পৃষ্ঠা নং: ৪

মধ্যে নিমগ্ন হই সেসময় আমরা এর অনেক বিষয় ভুলে যাই। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যে সত্তার হাতে আমার জীবন আমি তার কসম করে বলছি! আমার কাছে থাকাকালে তোমাদের যে অবস্থা হয়, যদি তোমরা সবসময় এ অবস্থায় অনড় থাকতে এবং সার্বক্ষণিক আল্লাহর যিকরে পড়ে থাকতে তাহলে অবশ্যই ফেরেশতাগণ তোমাদের বিছানায় ও রাস্তায় তোমাদের সাথে মুসাফাহ করত। কিন্তু হে হানযালাহ! এক ঘণ্টা (আল্লাহর যিকরে) আর এক ঘণ্টা (দুনিয়াবী কাজে ব্যয় করবে) অর্থাৎ আস্তে আস্তে (চেষ্টা কর)। এ কথাটি তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিনবার বললেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৭১৩, ইসলামিক সেন্টার ৬৭৬৯) হাদিসের মানঃ সহিহ ।
এই হাদিছ থেকে আমরা জানতে পারি যে হযরত আবুবকর (রাঃ), হযরত হানযালা (রাঃ)-এর মত মর্যাদাবান সাহাবীগন মুনাফেকি সম্পর্কে কিরূপ সচেতন ছিলেন? ভীত ছিলেন?
অথচ আমাদের অবস্থা কী? কুরআন ও হাদিছ থেকে একথা নিশ্চিত জানা যায় যে, মুনাফিকি সম্পর্কে শুধু মাত্র মুনাফিকরাই নির্লিপ্ত থাকতে পারে, অন্য কেহ নয়।
আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিনের নিকট এই মুনাজাত করি – তিনি যেন আমাকে, আপনাকে, আমাদের সবাইকে মুনাফিকি থেকে হেফাজত করেন।এবং আমাদের সমাজ থেকে মুনাফিকি দূর করে সত্যিকার ইসলামী সমাজ হিসেবে কবুল করেন। ————— আমীন।

পৃষ্ঠা নং: ৫

Chapter-1

মুনাফিকি, হারাম, হালাল ও ব্যাবসা একটি পর্যালোচনা :-

The following is the conversation among myself and some of my friends regarding Munafiq and share business in our email group of Batchmates.

To summarize the conversation one of my friends mentioned that in some share business it is not halal such as trading Banks & financial institutes which are directly involved in Shud or based on shud. In conclusion he emphasized that trading of haram category shares is a sign of Munafiqi & asked me to include it in my research paper which will be uploaded in my website www.motaher21.net Book #10 subject is “ মুনাফিকি কী, কেন ও কিভাবে? ”
You may find it Interesting…….

Quote:

“ Dear Engr Motaher,

তুমি বেশ কয়েকবার একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সবার মতামত চেয়েছ, কিন্তু দু:খজনক ব্যাপার, জহুরুল ছাড়া কেউ উত্তর দেয়নি, কিন্ত তুমি একটি মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ব্যাপারটি অবতারনা করেছ, যা তোমার পরবর্তি বইয়ের রিসার্চ।

আমি অনেক আগেই কিছু লিখার চেষ্টা করতাম কিন্ত নিম্নবর্নিত কারনে করা হয়ে উঠেনি।

পৃষ্ঠা নং: ৬

১- ভেবেছিলাম অনেকেই বিষয়টি নিয়ে লিখবে
২- আমার মত একজন মুনাফিকের ব্যখ্যা গ্রহন করা হালাল না ও হতে পারে।

যাই হোক কেউ তেমন গুরুত্ব না দেয়াতে আমিই লিখছি, হয়ত তোমার কাজে লাগতেও পারে…
যেহেতু ব্যাপার টি রিসার্চ বিষয়ক তাই পোষ্টি দীর্ঘ হবে… মোতাহের ছারা অন্য সবাই ইগনোর করতে পার ..
পোষ্ট টি আমি কয়েক ধাপে দিব… তাই পুরো না পরে মন্তব্য না করা উচিত।

কুরআনের ভাষা আরবী, শুধু আরবীই নয়, এটা ৬শতকের মক্কা নগরীর কুরাইশ বংশের বাচনভংগী (dialect) অনুযায়ী লিখিত হয়।
তাই ভাষানুবাদের চেয়ে ভাবানুবাদ শ্রেয়।

মুনাফিক শব্দের বহুবচন মুনাফিকুন।
কুরআনে এই শব্দ টি বহুবার এসেছে একটি বিশেষ গ্রুপ কে বুঝানোর জন্য

ইংরেজি ভাষায় শব্দটি হিপোক্রিট লিখা হলেও ভাবগতভাবে সম্পুর্ণ একঅর্থ বহন করেনা।কারন আরবীতে হিপোক্রেসির জন্য আরো একটি শব্দ আছে, নিফাক।
nifāq (Arabic: ‫نفاق‎‎).)

 

পৃষ্ঠা নং: ৭

সঠিক অর্থ অনুধাবনের জন্য যখন আয়াতগুলি নাযিল হয় তখনকার সামগ্রিক পরিস্হিতি বিবেচনায় নিতে হবে। তখন রাজনৈতিকভাবে মাত্র স্হিতিসীলতা আসা শুরু হয়েছে।প্রথম দিকে যারা ইসলামে দীক্ষিত হয়েছে তারা সবাই ছিল ডেভোটেড।কিন্ত রাজনৈতিক অবস্হান শক্ত হওয়ার পর অনেক নওমুসলিম দীক্ষিত হচ্ছিল।এদের মধ্যে কিছু সংখক ছিল যাদের ওরকম ঈমান ছিলনা কিন্ত নানাবিধ স্বার্থের জন্য ইসলাম গ্রহন করেছিল। কেউ এমনকি পরাজিত শক্তি বা ইহুদিদের জন্য কাজ করার অসৎ উদ্দেশ্য নিয়েই যোগ দিয়েছিল।তারা ইসলামের ক্ষতিই বেশী করত।তারা সামনে নিবেদিতপ্রান ছিল কিন্ত বিরোধীগোষ্ঠীর সামনে তাদের মুখোশ খুলে যেত।

আবার যারা শুধুমাত্র কিছু স্বার্থের জন্য (ট্যাক্স মওকুফ, শাস্তি মওকুফ, ব্যাবসায়ীক সুযোগ সুবিধা) ইসলাম গ্রহন করেছিল, তারা মুখেমুখে নিবেদিতপ্রান, কিন্তু অন্তরে ঈমান ছিলনা। এদের কেউ কেউ আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করলেও, সত্যিকারে ভয় পেতনা এবং পাপকাজ থেকে বিরতও থাকতনা।
এরা ইসলাম ধর্মের জন্য বাজে উদাহরণ ছিল।
– মুলত এদের কথাই মুনাফিকুন হিসেবে বুঝানো হয়েছে।
– এদের সবচেয়ে ঘৃনিত সম্প্রদায় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে এরা নিকৃষ্টতম অমুসলিমদের চেয়েও খারাপ।
– মুনাফিক চেনার একটি উপায় হল তারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে।

পৃষ্ঠা নং: ৮

কিন্ত ইংরেজিতে হিপোক্রেসী সমার্থক হলেও ক্ষেত্রটি ব্যাপক। ইংরেজিতে কেউ কোন আদর্শে বিশ্বাস করে বা মৌখিক ভাবে সেই আদর্শের পথিক হিসেবে ঘোষনা করে কিন্ত নিজে তা অনুশীলন করে না। যেমন আমি পরিবেশ নিয়ে কথাবলি কিন্তু নিজে বাসায় এনার্জি সেভিং লাইট ব্যবহার করি না।

মুনাফিকদের বড় লক্ষন হল তার প্রতিনিয়ত মিথ্যা বলে।
এখন আমি একটি মুনাফেকের উদাহরণ দেই

– আমি জানি এখানে কেউ কখনো মিথ্যা বলে না কিন্ত আমি অনেক সময়েই মিথ্যা বলে থাকি। যেমন সেদিন আমার আম্মা জানতে চাইল আমি ধুমপান ছেড়েছি কিনা। বললাম ছেড়ে দিছি। এটা মিথ্যা কথা। কিন্ত এই মিথ্যাটি কোন লাভের জন্য করনি। আম্মার ভয়েও বলিনি। আম্মা আমাকে নিয়ে চিন্তিত থাকে, সত্য বল্লে তার চিন্তা আরো বারতো, প্রেসার বাড়ত.. লাভের কিছুই হতনা।
কিন্তু আমার সব মিথ্যাই এত নিরপরাধ নয়। অনেক সময় স্বার্থের জন্য এবং দেশ জাতীর জন্য ক্ষতিকারক মিথ্যা কথাও বলি।

 

 

 

পৃষ্ঠা নং: ৯

যেমন কিছুদিন আগে মোতাহার কে এমন একটি জঘন্য মিথ্যা বলেছিলাম। যা দেশ জাতী ও ইসলামের জন্য এতই ক্ষতিকারক যে মোতাহের আমাকে বন্ধু হিসেবে অনেক ভালোবাসলেও সেদিন সহ্য করতে পারেনি। আমাকে কুড়িবার লায়ার বলেছে পরে প্রমোট করেছে মুনাফেক হিসেবে।

যাই হোক আমার অপরাধ ও জঘন্য ছিল।
আমার অপরাধ: আমি বলেছিলাম যদি শেয়ার ব্যবসা হালাল হয় তাহলে আমি এক কোটি টাকা শেয়ারে ইনভেস্ট করবো। মোতাহের প্রমান করেছে শেয়ার ব্যাবসা হালাল কিন্তু আমি বিনিয়োগ করিনি। এই জঘন্য অপরাধের জন্য আমি ক্ষমা চাওয়ার মুখও আমার নেই। আমি দেশ ও জাতীর এই ক্ষতি করতে চাইনি কিন্ত বিভ্রান্ত হয়েছিলাম বিভিন্ন মুর্খ লোকের ভুল ব্যাখ্যায়। কাদের প্ররোচনার আমি এই জঘন্য অপরাধ করেছি তা সবার জন্য পোস্ট করছি –

আল্লাহ ক্ষমাশীল

নিন্মোক্ত প্ররোচনা গুলি নেট থেকে পাওয়া, আমি শুধু কাট পেস্ট করেছি। ( বাংলা লিখাগুলি আমার নিজের) আর্টিকেল গুলি খুব বর হওয়ার শুধু প্রাসঙ্গিক অংশটুকু দিয়েছি। সাথে লিংক দেয়া আছে, অতি উৎসাহি বন্ধুগন চাইলে পড়তে পারেন

 

পৃষ্ঠা নং: ১০

প্ররোচনা-১:

https://www.islamicfinance.com/2015/01/ruling-buying-selling-shares/
Dr. Muhammad ibn Sa‘ood al-‘Usaymi

(c) The basic principle is that it is haraam to hold shares in companies that sometimes deal in haraam things, such as riba and so on, despite the fact that their basic activities are Islamically acceptable.
– End quote from Majallat al-Majma‘, issue no. 6, vol. 2, p. 1273; issue no. 7, vol. 1, p. 73; issue no. 9, vol. 2, p. 5.
– The Islamic Fiqh Council of the Muslim World League issued a statement on the same matter in its fourteenth session in 1415 AH/1985 CE, the text of which is as follows: ……

  1. So if the company lends any money with interest, or borrows with interest, the shareholder has a share of that, because those who deal with lending and borrowing on the basis of interest are doing that on his behalf and acting as his delegate, and delegating someone else to do a haraam action is not permissible.

 

পৃষ্ঠা নং: ১১

প্ররোচনা-২:

http://www.darulihsan.com/index.php/q-a/fatwa-q-a/business/item/3407-share-trading-in-islam

The main business of the company whose shares are to be traded in should be halaal. If the main business of the company violates the laws of Sharia, then trading in such a company’s shares would not be permissible. Hence, trading in the shares of conventional banks, conventional insurance companies, companies manufacturing or selling alcohol, night clubs, pornographic magazines etc. are totally prohibited in the Sharia. Any income derived from trading in such shares whether such trading is for capital gain, or to share in the dividends of the company would be regarded as impermissible. This is the very first condition that should be adhered to whilst trading in shares. Muslims should make sure that the business of company whose shares they are buying and selling is Sharia Compliant.

(আমি মুর্খের মত ভেবেছিলাম বেক্সিমকো বা সামিট গ্রুপ যারা সরকারী ব্যাংক থেকে সুদে টাকা নিয়ে ব্যবসা করে সেটা শরীয়া কমপ্লায়েন্ট না)

If the main business of the company is halaal, but the company has a certain stream of income that accrues from non-permissible sources, e.g. the company deposits their surplus funds in interest bearing accounts, or the company engages in other non-permissible

পৃষ্ঠা নং: ১২

activities as a side-line to the core business, the share holder must express his disapproval against such dealings, preferably by raising his voice against such activities in the annual general meeting of the company. Contemporary Sharia Scholars have ruled that total income from haraam sources should not exceed 5% of the total income. Further the total investments of the company in non-Sharia compliant activities should not be more than 33% of the total assets of the company.

Mufti Shafiq Jakhura
Iftaa Department, Darul Ihsan Islamic Services Centre

 

প্ররোচনা-৩:

http://oly.com.pk/stock-market-is-haram-or-halal-zakir-naik/

A Non Muslim person asked question regarding permissibility of trading in Islam. Dr. Zakir answered his question and give his recommendation of permissibility of those shares who indulge in Sharia based business. ( আমার ভুল ধারনা ছিল যে ব্যংক থেকে সুদে লোন নেয়া ব্যবসা শরীয়া অনুমোদিত নেয়) While he also responded to future trading and told him strictly that’s prohibited in Islam.

 

পৃষ্ঠা নং: ১৩

 

I perceived that Dr. Zakir didn’t study Islamic Finance deeply. Otherwise he must tell the questionnaire about riba and its strict prohibition. Not only Future is prohibited but also Option never be allowed in Islam because of Gharar(Uncertainty) involved

প্রিয় মোতাহের
তোমার মত রিসার্চ করা বা বই লিখার যোগ্যতা আমার নেই।
অন্যের জ্ঞান ধার করে চলি, তাই ভুল হতেই পারে।
আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস তোমার কোন কাজে লাগলে নিজেকে ধন্য মনে করবো।
আমি অনেকের ফতোয়া পরেছি। কয়েকজন কে মেইল ও করেছি।
শাহ আলম কে ও বলেছি কয়েকজন নামকরা আলেম এর মেইল আই ডি দিতে।
– আমি যত ফতোয়াই পরেছি সব জায়গায় একটি শর্ত দেখেছি … যে কোম্পানীর শেয়ার কেনা হবে সে হালাল পন্যের ব্যবসা করবে এবং শরীয়া মাফিক ব্যাবসা করতে হবে। সুদে মুলধন নিয়ে ব্যবসা শরীয়া মাফিক নয়।
– তাই ওইসব আলেমদের সাথে আমি একমত যে এসব কোমপানির শেয়ার কেনা হারাম। মোনাফেকের আরেক টি প্রকার হল যারা একে জোড় করে হালাল করতে চায় তারা।
তোমার ১০ নং বইয়ে মোনাফেক দের এই ক্যাটাগরি টা এড করতে পার( অবশ্যই যদি তুমি ড: ইবন সাওদ বা জাকির নায়েকের সাথে একমত হও)। “

পৃষ্ঠা নং: ১৪

Unquote. Jazakallah khair Abdullah for your good work. I agree 100% with all the fatwah you cited Ibn saud & others. I never disagreed or Anis and others those who participated in the long long conversations in above 100 conversations in our email group. I must thank you for highlighting the flaws in share business. I never traded any haram shares as per my knowledge of the companies ( 1st categories that is trading directly shud such as shudhi banks & shudhi financial institutes).
Anis mail was most comprehensive one in this subject.
Here it follows for your kind information.

Quote:-

“Question:-
Assalamu alaikkum, from years ago I have this Doubt, that is share trading is haram or Halal, because you know we invest in shares. Shares may be from banking sector or other. The company may use our money in a wrong way. When market increases we get profit, otherwise loss. And what about investment in Mutual Funds. Please give me a detailed reply. Faithfully Navas from USA.

Submitted by navasmnavas on Sun, 30/11/2008 – 11:10

The Answer

Dear Brother/Sister,

Is share market business allowed in Islam?

 

পৃষ্ঠা নং: ১৫

Today, in this sense, we need to analyze the selling and purchasing the stock certificate which is the base of the stock exchange.

1- To be a shareholder of a company which is working on business licit to be produced and put into market. This is without any doubt is allowable. The buyer becomes a partner of that company in accordance with the percentage of his shares, and takes part in its profit and loss, and he is entitled to sell his shares whenever he wishes. (The number of such companies is quite much.)

2- Buying and selling a share that gains or losses price in a way free from the economical value it belongs in the intend of appreciating the present money or keeping its charge or making money by seeking profit. The dealings in the stock market are in the second form. Investing on the exchange market in this sense, though not completely, it is similar to playing gamble or lottery.

It causes the shares to be more precious or cheaper than they are. The people earn or loss money without any sound contribution to the economy and production of the country. In this regard, it is very difficult to assess the exchange stock to be, at every point, as an acceptable trade. (Hayrattin Karaman, Gunluk Hayatimizda Halallar ve Haramlar, p. 265, Istanbul 1999)
In the final declaration of the Stock Market Symposium held in Rabat in 1988 with the attempt of Islamic Law

 

পৃষ্ঠা নং: ১৬

Academy adherent to Islamic Conference Organization and in the seventh term meeting of the academy which was conducted in Jeddah in 1992, it was stated that the shares are licit in that they take part in both profit and loss and yet the Islamic decree about this subject is highly related with the condition that the trade dealings and utmost purpose of the company in question must be permissible.

At this point it must be stressed out that in the cases that the profit of the company might be mixed with illicit, not because of that the activity area of the company is doing prohibited dealings, producing the commodities against the Islamic law, but because of that the company may have been in favour of unlawful proceedings, the shareholders are recommended to count this amount roughly and spend it in the way of good assuming that it is, after all, the right of the public but he should not seek any intention of good deeds for himself.

Indeed majority of the scholars of Islam arrived at a consensus, though some contemporary scholars claim otherwise, the stock market and shares two important Islamic problems of today are permissible in Islam. However, the company whose shares we want to purchase should not have any hand in producing alcohol or pork meat which is forbidden in Islam.

Whether it is permitted buying and selling shares from Stock Exchange, we can determine it by analyzing the following conditions.

পৃষ্ঠা নং: ১৭

1- It is banned to purchase the shares of the companies obviously conducting interest proceedings such as banks, bankers, usuary institutions.

2-It is the same decree for the companies working on the production, selling and buying of the Islamic-banned-things like vine, beer and so forth.

3- Also, it is vetoed in Islam to buy shares from the companies that are selling at interest the goods of which we have share, and then mixing that profit with the other goods.

4-Though the commodity the share of which we have is allowable, if the Muslim people who are the owner of the company whose shares we have are engaged in disallowed dealings, we are proscribed to get any share from that company. Because if we buy anything from them, then we would support them indirectly which is called “cooperation in sin” in Quran. And that cooperation is not permitted in our holy book.

5- Buying any share from the Christian or Jewish-owned companies is abominable even if there may not be any other drawback. When the Islamic law books observed, it can be come into such a conclusion that it is not allowed to buy any share from communist, mason or atheist dominated companies.

6- It must be known about what is the percentage of the bought share compared to the whole company.

পৃষ্ঠা নং: ১৮

7-There must be asset. Buying the shares of an institution like Credit Company is prohibited in Islam.

8- It is permissible to buy participation shares from the share owner of a company which is essentially licit but is not being run in accordance with Islamic rules so that you can receive what he owes you. But you must sell those share certificates as soon as possible. And if you make any profit out of that trading; you must give it either to the poor or to the service of public.

9- It is unanimously licit to buy from the companies that have no relation with what is impermissible, the Muslim people constitute the majority, declare obviously the share to the sold stock certificate of the company which is subject to be sold, enable the people whenever they intend to give up the partnership. And these Muslim Businessmen are extremely important for Islamic enterprises and licit capital. Because participation shares are the most crucial alternative for the interest which is one of the greatest major sins in Islam, the sharpest way of finding management and investment capital. If the Muslim people succeed putting this into practice by keeping it far from interest, they can be a means for coming about great operational managements and eradicating the interest.

 

 

পৃষ্ঠা নং: ১৯

 

Sources:
Halil Gönenç, Günümüz Meselelerine Fetvalar, 1. Cilt, s. 382-383.
Dr. Faruk Beşer, Fetvalar, Nil Yayınları, İzmir, 1991, s. 78-79. “

দয়া করে নীচের লিঙ্কটি দেখুন।
https://questionsonislam.com/question/share-market-permissible-islam#.WJeR03x57mM.gmail

I used to trade those shares( which was mixed categories) that is the product and core business was halal but the financing was unknown. After the email conversations I also stopped trading of those shares completely. And hope that my share business is 100% halal without any slight doubt.

আব্দুল্লাহ ও আনিসকে অনেক অনেক ধন্যবাদ তাদের অ্ত্যন্ত মুল্যবান মতামতের জন্য।

প্রিয় পাঠকগন।

উপরের লিখাগুলো কোন কোন বাক্য কিছুটা ব্যাঙ্গাত্তক হলেও মূল বিষয় আশাকরি বুঝতে পেরেছেন।
– আমাদের সমাজে মুনাফিকির আত্যান্ত বড় একটি দিক হল আমরা অধিকাংশই হালাল হারাম নিয়ে চিন্তা ভাবনা কমই করি। হোক না সেটা ব্যবসা বানিজ্য, পারষপরিক কিংবা ব্যাক্তিগত লেনদেন। অথবা আয় রোজগার।

পৃষ্ঠা নং: ২০

– সুদ নিয়ে একটু চিন্তা করুন। যেটা কুরআনে সুস্পষ্ট হারাম ঘোষণা করেছে।এমনকি আল্লাহ্‌ কুরআনে সূদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এর ঘোষণা করেছেন। সেটা নিয়ে আমাদের সমাজে কয়জনই বা চিন্তা করে? হোকনা তিনি প্রায় প্রতি বছরই হজ্জ করেন, নামাজ রোজার কোন কমতি নেই। কিন্তু এই বিষয় নিয়ে কোন ভ্রূক্ষেপ নেই!!!
– আপনারা কেউ কেউ বলবেন রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা আমাদেরকে বাধ্য করছে সুদ এ জড়িত হতে। আমি তখন বলতে বাধ্য হই কথাটা কতোটুকু ঠিক? আপনার নিকট কি কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই?
– একটু খুজে দেখুন। পেলেও পেতে পারেন। আমার মনে হয়, অবশ্যই আছে।
– যদি না ই থাকে?
তাহলে আপনি সেই ব্যবস্থা করার জন্য কি চেষ্টা করছেন ???

আল্লাহ্‌ আমাদের ক্ষমা করুণ।
আসুন আমরা সবাই এখন থেকে সতর্ক হই। তাহলে আল্লাহ্‌ আমাদের অতীত গুনাহ সমূহ ক্ষমা করবেন বলে আশা করতে পারি।

আমীন।

মুনাফিকীঃকী,কেন,কীভাবে?
দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ(সূরা বাকারায় মুনাফিকী সম্পর্কে আলোচনা)ঃ-
আমরা সুরা বাকারায় (২য় সুরায়) দেখতে পাই যে আটত্রিশটি আয়াতে মুনাফিকী সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

পৃষ্ঠা নং: ২১

বাকারার প্রথম আয়াতে কিছু সাংকেতিক অক্ষর (Code letter) ব্যবহৃত হয়েছে। দ্বিতীয় আয়াতে এই কিতাবে (কুরআনে) কোন সন্দেহ এর অবকাশ নেই বলার পর ৫ম আয়াত পর্যন্ত মুমিনের গুণাবলী আলোচনা করা হয়েছে। ৬নং ও ৭ নং আয়াতে কাফেরদের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
এরপর অষ্টম থেকে ২০ নং আয়াত পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে মুনাফিকী সম্পর্কে দীর্ঘ আলোচনা করা হয়েছে। যা আমাদের সমাজের অধিকাংশ মানুষের সাথে মিলে যায়।
অষ্টম আয়াতে বলা হয়েছে কিছু লোক আছে (বর্তমানে অধিকাংশ) যারা মুখে বলে আমরা আল্লাহ্‌ ও পরকালের উপর ঈমান এনেছি, কিন্তু তারা প্রকৃত ইমানদার নয়। ৯ম আয়াতে বলা হচ্ছে তারা আল্লাহ্‌ ও ইমানদার দেরকে ধোঁকা দিতে চায়।কিন্তু তারা নিজেদেরকে ছাড়া আর কাউকে ধোঁকা দিতে পারেনা। আসুন আমরা সরাসরি কুরআন থেকে আয়াতগুলো পড়ে দেখি।

তাহলে আমরা বুঝতে পারলুম মুনাফিকদের প্রথম পরিচয় তারা প্রকৃত ইমানদার নয়।তারা শুধু মুখে মুখে বলে আমরা আল্লাহ্‌ ও পরকালের উপর ঈমান এনেছি।

 

 

পৃষ্ঠা নং: ২২

মুনাফিকদের দ্বিতীয় পরিচয় তারা আল্লাহ্‌ ও ইমানদার দেরকে ধোঁকা দিতে চায়। আসুন আমরা সরাসরি তাফসির থেকে আয়াতগুলো পড়ে দেখি।
তাফসীর ইবনে কাসীরে বর্ণীত হয়েছেঃ-

১০ম আয়াতে মুনাফিকদের স্বভাব ও পরিচয় সম্পর্কে বলা হয়েছে তারা আসলে মানসিক রোগী, তাদের এই রোগ না কমে বরং বাড়তেই থাকে।
এবং তাদের স্বভাব হচ্ছে মিথ্যা কথা বলা । এটা মুনাফিকদের তৃতীয় পরিচয়।
যেহেতু তারা মিথ্যা কথা বলতে অভ্যস্ত অতএব এই জন্য তারা কঠোর শাস্তি পাওয়ার উপযুক্ত।

আসুন আমরা সরাসরি তাফসির থেকে আয়াতটি পড়ে দেখি।
তাফসীর ইবনে কাসীরে বর্ণীত হয়েছেঃ-

মুনাফিকদের চতুর্থ পরিচয় এগার(১১) ও বার(১২) নং আয়াতে তুলে ধরা হয়েছে। তারা পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টিকারী। অন্যরা শান্তি স্থাপনের আহবান জানালেও তারা তা শুনে না। তারাই যতপ্রকার অশান্তি সৃষ্টিকারী। কিন্তু তারা সেটা স্বীকার করে না।
এমনকি তারা যে অশান্তি সৃষ্টিকারী সেটা তারা বুঝেও না।

 

পৃষ্ঠা নং: ২৩

আসুন আমরা সরাসরি তাফসির থেকে আয়াতগুলো পড়ে দেখি।
তাফসীর ইবনে কাসীরে বর্ণীত হয়েছেঃ-
মুনাফিকদের ৫ম পরিচয় ১৩ নং আয়াতে তুলে ধরা হয়েছে। তারা নিজেদেরকে অন্যদের তুলনায় অনেক বেশী বুদ্ধিমান মনে করে। তাদেরকে যখন বলা হয় অন্যান্য মুমিনদের মতই খাঁটি ঈমান আন। তখন তারা ঈমান্দারদেরকে নির্বোধ বলে বিদ্রুপ করে। আল্লহ বলেন এরাই নির্বোধ। কিন্তু তারা বুঝেনা।

আসুন আমরা সরাসরি তাফসির থেকে আয়াতটি পড়ে দেখি।তাফসীর ইবনে কাসীরে বর্ণীত হয়েছেঃ-
মুনাফিকদের ৬ নং পরিচয় (১৪) ও পনর(১৫) নং আয়াতে তুলে ধরা হয়েছে।
তারা কি কর্ম পন্থা অবলম্ভন করে?
তারা মুমিন ও কাফের উভয় এর সাথে সম্পর্ক রাখতে চায়। মুমিনদেরকে বলে আমরা তোমাদের সাথে আছি। আর কাফেরদেরকেও বলে আমরা তোমাদের সাথে আছি। অদের সাথে শুধু একটু প্রহসন করি।

আসুন আমরা সরাসরি তাফসির থেকে আয়াতগুলো পড়ে দেখি।তাফসীর ইবনে কাসীরে বর্ণীত হয়েছেঃ-

৮ থেকে ১৫ নং আয়াত পর্যন্ত মুনাফিকদের ছয়টি পরিচয় ও আচরণ তুলে ধরার পর ১৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে তদের এই আচরণ তাদের জন্য কোন মঙ্গল বয়ে আনেনি।

পৃষ্ঠা নং: ২৪

আসুন আমরা সরাসরি তাফসির থেকে আয়াতটি পড়ে দেখি।তাফসীর ইবনে কাসীরে বর্ণীত হয়েছেঃ-
১৭ ও ১৮ নং আয়াতে একটি উপমা দিয়ে মুনাফিকদের অবস্থা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

আসুন আমরা সরাসরি তাফসির থেকে আয়াতটি পড়ে দেখি।তাফসীর ইবনে কাসীরে বর্ণীত হয়েছেঃ- ১৯ ও ২০ নং আয়াতে ২য় একটি উপমা দিয়ে মুনাফিকদের অবস্থা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

আসুন আমরা সরাসরি তাফসির থেকে আয়াত দুটি পড়ে দেখি।তাফসীর ইবনে কাসীরে বর্ণীত হয়েছেঃ-
৮ থক ২০ নং আয়াতে মুনাফিকদের ছয়টি বৈশিষ্ট এবং দুইটি উদাহরণ দিয়ে মুনাফিকী সম্পর্কে এই দীর্ঘ তেরটি আয়াতের আলোচনা শেষ করা হয়েছে ।
উপরোক্ত আলোচনায় মূলত তাফসীরে ইবনে কাসীরকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। তাফহীমুল কুরআন, মাআরেফুল কুরআন, কুরানুল কারীম, ইত্যাদিতে ইবনে কাসীর থেকে অথবা এর আলোকে তাফসীর করা হয়েছে।
তবে এক্ষেত্রে ফী যিলালিল কুরআন ব্যতিক্রমী আকর্ষণীয় ভাষায় তাফসির করা হয়েছে।পাঠকদের জন্য ফী যিলালিল কুরআন থেকে ৮-২০ নং আয়াতের তাফসীর নিম্নে বর্ণনা করা হচ্ছেঃ-
এখানে যে ছবিটি আঁকা হচ্ছে এটি প্রথমটির( মুমিনদের) মত

পৃষ্ঠা নং: ২৫

স্বচ্ছ ও উদার নয়। আবার দ্বিতীয়টির মত বদ্ধ ও অন্ধকারাচ্ছন্ন নয়। এটি বিভিন্ন রূপে অনুভূত হয়, দৃষ্টি শক্তিকে ধোঁকা দেয়, কখনো উধাও হয়ে যায়, আবার কখনো স্পষ্টভাবে ধরা দেয়। এটা হচ্ছে মুনাফিকদের ছবি,
‘কিন্তু সত্যিকার অর্থে (এদের কর্ম কাণ্ড দেখলে তুমি বুঝতে পারবে যে) এরা মোটেই ঈমানদার নয়, (মুখে মুখে ঈমানের দাবী করে) এরা……
এরা সঠিক পথের অনুসারী ও নয়।‘ (আয়াত ৮-১৬)
এটি ছিল প্রাথমিকভাবে মদীনার মুনাফিকদের বাস্তব চিত্র।কিন্তু আমরা যদি স্থান ও কালের গণ্ডী অতিক্রম করি তাহলে দেখবো সকল যুগের সকল মানব প্রজন্মের এটি একটি বহুল পুনরাবৃত্ত ঘটনা।
আমরা মুনাফিকদের এই শ্রেণীটিকে আজো সমাজের উচ্চতর আসনে আসীন দেখতে পাই।সত্যকে নিঃসংকোচে মেনে নেবার মত সৎসাহস তাদের নেয়,আবার খোলাখুলিভাবে তাকে অস্বীকার করার দুঃসাহসও তাদের নেই।আবার সাধারণ মানুষের চেয়ে উপরে তাদের একটা স্থানও চাই।তাই আমি কুরআনের এই জাতীয় বক্তব্যগুলোকে ঐতিহাসিকভাবে কোন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সীমিত মনে করার পক্ষপাতী নই। গুলোকে আমি যে কোন প্রজন্মের মুনাফিক শ্রেণীর সাথে এবং সকল যুগের সকল মানুষের স্থায়ী প্রকৃতির সাথে সংশ্লিষ্ট মনে করি।
এই শ্রেণীটি আল্লাহ্‌ তায়ালা ও আখেরাতে বিশ্বাসী বলে

পৃষ্ঠা নং: ২৬

নিজেদেরকে ঠিকই যাহির করে কিন্তু আসলে তারা তা নয়, তারা হচ্ছে মুনাফিক।তারা সত্যকে অস্বীকার করে মুমিনদেরকে, বরং আল্লাহকেই ধোঁকা দেবার চেষ্টা করে। ‘তারা আল্লাহ্‌ ও মুমিনদেরকে ধোঁকা দেয়’
‘আল্লাহ্‌ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান এনেছে’
যারা একথা বলে আল্লাহ্‌ ও মুমিনদেরকে ধোঁকা দেবার চেষ্টা করে এবং নিজেদেরকে অতি মাত্রায় চতুর ও ধড়িবাজ ভাবে, তাদের এ ধারণা ও আত্তত্রিপ্তি ভাগ্যের একটি পরিহাস ছাড়া কিছুই ন্য।আয়াতের শেষাংশে এই পরিহাসের পরিসমাপ্তি ঘটানো হয়েছে এই বলে যে,
‘তারা নিজেদের ছাড়া আর কাউকে প্রতারিত করে না, তবে তারা এটা বুঝতে পারেনা’
তারা এত নির্বোধ যে তারা নিজেদের অজান্তে আসলে নিজেদেরকেই ধোঁকা দিচ্ছে। তাদের ধাপ্পাবাজি সম্পর্কে আল্লাহ্‌ তায়ালা অয়াকিফাল। আর মুমিনদের দায়-দায়িত্ব আল্লাহ্‌ তায়ালা কাঁধে নিয়েছেন। তাই তিনিই তাদেরকে তাদের চক্রান্ত থেকে রক্ষা করবেন। কিন্তু এই নির্বোধেরা নিজেদেরকেই ধোঁকা দিচ্ছে এবং সত্য থেকে লুকিয়ে রাখছে।নিজেদেরকে ধোঁকা দিচ্ছে এভাবে যে, এই মুনাফেকি দ্বারা তারা লাভবান হচ্ছে বলে মনে করছে। মুমিনদের সামনে খোলাখুলি কুফরিতে লিপ্ত হওয়ার বিপদ ও ক্ষতি থেকে রক্ষা পাচ্ছে। কিন্তু তারা যে সুপ্ত কুফরি এবং প্রকাশিত মুনাফেকি ও ভণ্ডামি দ্বারা নিজেদেরকে ধ্বংসের ও

পৃষ্ঠা নং: ২৭

নিকৃষ্টতম পরিণতির ঝুকির মধ্যে নিক্ষেপ করছে সে কথাও অনস্বীকার্য। এখন প্রশ্ন জাগে যে, মুনাফিকেরা কী কারণে এই ব্যর্থ অপচেষ্টা ও নিস্ফল প্রতারণায় লিপ্ত হয়? এর জবাব হলো ,
‘তাদের মনে রয়েছে ব্যাধি’
অর্থাৎ তাদের স্বভাব প্রকৃতিতে একটা বিকৃতি রয়েছে। এটাই তাদেরকে সঠিক ও সরল পথ থেকে হটিয়ে দিচ্ছে এবং আল্লাহ্‌র পথ থেকে তাদের সে রোগের আরো বৃদ্ধির আশংকা ও উপযোগিতা সৃষ্টি করছে।
‘আল্লাহ্‌ তায়ালা সেই ব্যাধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন’
কেননা রোগ রোগেরই সৃষ্টি ক্রে।যে কোন বিকৃতি ক্ষুদ্র আকারেই সৃষ্টি হয়।
অতপর তা সর্বদিকে সম্প্রসারিত হয় ও বৃদ্ধি পায়। সৃষ্টি জগতের সকল আচরণ ও মানসিকতায় এবং সকল জিনিস ও সকল পরিস্থিতির ব্যাপারে এটা আল্লাহ্‌র চিরস্থায়ী বিধি,সুতরাং এই চিরস্থায়ী বিধি অনুসারে তারা একটি সুনির্দিষ্ট পরিণতির দিকে এগিয়ে চলছে। তারা আল্লাহ্‌ ও মুমিনদেরকে ধোঁকা দেয় ও তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে, এমন যে কোন ব্যক্তির এই পরিণতির সম্মুখীন হওয়া অবধারিত।
‘তাদের মিথ্যাচারের পরিণামে তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি’
ঈমানের নামে ভণ্ডামি ও দ্বিমুখী আচরণে লিপ্ত এই মুনাফেক শ্রেণীর বিশেষত তাদের মধ্যে যারা নেতৃস্থানীয় এবং হিজরতের সূচনা যুগে যারা মদীনায় আপন গোত্রে নেতৃত্ব ও প্রভাব

পৃষ্ঠা নং: ২৮

প্রতিপত্তির অধিকারী ছিল, যেমন আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সালুল- তাদের আর একটা উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট হলো তাদের গোঁয়ার্তুমি, নিজেদের অপকর্মের পক্ষে সাফাই গাওয়ার প্রবণতা এবং কোন জবাবদিহীর আশংকা না থাকায় আত্মতৃপ্তি ও আত্মতুষ্টি বোধ করা। তারা শুধু মিথ্যাচার ও ধোঁকাবাজিতে লিপ্ত হয়েই ক্ষান্ত থাকেনা। বরং নির্বুদ্ধিতা ও আহমকী বশত, বড় বড় দাবীও করে।
‘যখন তাদেরকে বলা হয় যে, পৃথিবীতে অরাজগতা বিস্তার করো না’
তখন তারা শুধু নিজেদেরকে নির্দোষ দাবী করেই ক্ষান্ত হয়না, বরং আত্মতৃপ্তিও বোধ করে এবং নিজেদের কৃত অপকর্মের সাফাইও গায়,
‘তারা বলে যে ,আমরা তো সংস্কারের কাজেই লিপ্ত’
নিকৃষ্টতম অপকর্ম, অনাচার ও দুর্নীতিতে লিপ্ত থেকেও নিজেদেরকে সংস্কারক বলে দাবী করা মানুষের সংখ্যা কোন যুগেই কম নয়। এরূপ দাবী করার কারণ এই যে,তাদের ভালো মন্দ ও ন্যায় অন্যায়ের মানদণ্ড ভিন্ন রকমের। আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার মানদণ্ড যখন বিকৃত হয়ে যায়, তখন সকল মানদণ্ডই বিকৃত হয়ে যায়। যারা তাদের গোপন অবস্থাকে আল্লাহ্‌র জন্য একাগ্র করে নেয়না, তারা নিজেদের দুষ্কর্মকে আর দুষ্কর্ম মনে করে না। কোন ভাল মন্দ অ ন্যায় অন্যায়ের মাপকাঠি তাদের ব্যক্তিগত অভিরুচি ও খেয়াল খুশীকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। এবং কোন আল্লাহ্‌র

পৃষ্ঠা নং: ২৯

বিধানের অনুগত থাকেনা। এ কারণেই দব্যরথহীন ভাষায় ঘোষণা করা হয়েছে,
‘মনে রেখ তারাই বিপর্যয় সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা বোঝে না’
তাদের আর একটা বৈশিষ্ট হলো,তারা সাধারণ জনগণের ওপর প্রাধান্য বিস্তারের চেষ্টায় নিয়োজিত থাকে এবং নিজেদেরকে তাদের চেয়ে শ্রেষ্ট মনে করে। যাতে কোন না কোন ভাবে একটা মর্যাদার আসন পেয়ে যায়- চাই তা জনগণের চোখে একান্তই অসার ও কৃত্তিম হোকনা কেন। এ প্রসঙ্গেই আল্লাহ্‌ বলেছেন,
‘যখন তাদেরকে বলা হয় যে, অন্য মানুষেরা যেমন ঈমান এনেছে, তেমনি তোমরাও ঈমান আন, তখন তারা বলা, আমরা কী নির্বোধ লকদের মত ঈমান আনব? তোমরা শুনে রাখ, আসলে তারাই হচ্ছে নির্বোধ । তবে তারা তা জানে না’
এটা সুস্পষ্ট যে, মদীনায় তাদেরকে যে দাওয়াত দেয়া হয়েছিল, তা ছিল খলেস, নির্ভেজাল ও নিঃস্বার্থ ঈমানের দাওয়াত। তা ছিল পরিপূর্ণভাবে ইসলামে ভেতর প্রবেশ করার দাওয়াত, আল্লাহ্‌র কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের দাওয়াত, আল্লাহ্‌র রাসুলের কাছে একেবারে খোলা মনে হাযির হওয়া এবং তিনি যে নির্দেশ দেবেন তা নিঃস্বার্থভাবে পরিপূর্ণভাবে মেনে নেওয়ার দাওয়াত। এ ধরনের নিঃস্বার্থভাবে ও একনিষ্টভাবে ঈমান আনা একদল মুমিন তখন সেখানে বাস্তবে ও সক্রিয়ভাবে উপস্থিত ছিল। এবং তাদেরকে দেখিয়েই বলা হচ্ছিল যে, ওদের মত পাক্কা খালেস এবং দৃঢ় ও খোলামেলা ঈমান আন।

পৃষ্ঠা নং: ৩০

এটাও সুস্পষ্ট যে, রাসুল (সঃ) এর কাছে এভাবে আত্মসমর্পণ করাটা তাদের মনোপুত ছিল না। এতাকে তারা দরিদ্র লোকদের উপযোগী এবং তাদের মত মর্যাদাবান লোকদের জন্য অনুপযোগী মনে করতো। এজন্যই তারা বলতে পেরেছিল যে,
‘আমরা কী নির্বোধ লোকদের মত ঈমান আনব’
আর একারণেই তাদেরকে এই নিষ্ঠুর জবাব ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শুনতে হয়েছিল যে,
‘শুনে রাখ, ওরাই আসলে নির্বোধ, কিন্তু অরা তা বুঝেনা’
নির্বোধ কবেই বা নিজেকে নির্বোধ মনে করে? বিভ্রান্ত ব্যক্তি কবেই বা নিজের বিপথগামী হওয়ার কথা বুঝতে পারে?
এরপরেই আসছে মুনাফিকদের সর্বশেষ বৈশিষ্টটির বিবরণ। এ বিবরণের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, ইসলামের কট্টর দুশমন ইহুদীদের সাথে মদীনার মুনাফিকদের যোগসাজশ কত সুদূরপ্রসারী রূপ ধারণ করেছিল। তারা শুধু যে মিথ্যাচার, ধোঁকাবাজি, বোকামি ও বড়াই –এর শেষ সীমায় পোঁছে গিয়েছিল তা নয়। বরং সেই সাথে নীচতা, হীনতা, শঠতা ও অন্ধকারে গোপন ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তারের অপকর্মেও তারা নিয়োজিত ছিল।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্‌ বলেন,
‘এরা যখন মুমিনদের সাথে মিলিত হয়, তখন বলে যে, আমরা ঈমান এনেছি। আর যখন নিভৃতে নিজেদের শয়তানদের সাথে মিলিত হয় তখন বলে যে, আমরা তো তোমাদের সাথেই আছি। আমরা তো ওদের সাথে একটু উপহাসই করছিলাম’

পৃষ্ঠা নং: ৩১

 

কোন কোন লোক শঠতাকে বাহাদুরী এবং ধোঁকাবাজিকে চালাকি ও দক্ষতা মনে করে, অথচ তা দুর্বলতা ও নীচতা ছাড়া আর কিছু নয়। বাহাদুর ও শক্তিমান লোক কক্ষনো প্রতারক,নীচ, নোংরা, বিশ্বাসঘাতক, কুচক্রি ও ছিদ্রান্বেষণকারী হতে পারেনা। মুনাফিকরা মুসলমানদের সামনে নিজের কুফ্র-প্রীতি প্রকাশ করতে ভয় পেত এবং তাদের সাথে দেখা হলে মুসলমান সুলভ আচরণ করতো। এ দ্বারা তারা একসাথে দু’টো সুবিধা অর্জন করতো।একদিকে নিজেরা মুসলমানদের সহানুভূতি পেত, অপরদিকে এই ভণ্ডামিপূর্ণ ঈমানের প্রদর্শনীকে মুসলমানদের ক্ষতি সাধনের জন্য হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতো।
‘তাদের শয়তানরা’ বলতে সম্ভবত ইহুদীদেরকে বুঝানো হয়েছে। কেননা তারা মুসলিম সমাজকে খণ্ড বিখণ্ড করা এবং তাতে কোন্দল এবং বিভেধ সৃষ্টি করার কাজে এই সব মুনাফিককে কার্যকর হাতিয়ার মনে করতো। অপরদিকে মুনাফিকরাও ইহুদীদেরকে নিজেদের পৃষ্টপোষক, আশ্রয় দাতা ও শক্তির উৎস মনে করতো। তাই এই কুচক্রি ইহুদী শয়তানদের সাথে দেখা হলে এই মুনাফিকরা তাদেরকে এই বলে আশ্বস্ত করতো যে, আমরাতো আসলে তমাদেরই লোক এবং তোমাদের সাথী। মুমিনদেরকে যে ঈমানদারী হাবভাব দেখাই , ওটাতো ওদের সাথে আমাদের তামাশা ও মশকরা মাত্র।
কুরআন তাদের এই জঘন্য কথা বার্তা ও আচরণ এর বিবরণ দিয়ে পরক্ষণেই তাদেরকে এমন ভয়ংকর হুমকি দেয়, যা

পৃষ্ঠা নং: ৩২

পাহাড়কেও যেন চুরমার করে দিতে পারে।
‘আল্লাহ্‌ তায়ালাই তাদের সাথে তামাশা করছেন এবং তাদেরকে তাদের অবাধ্যতার মধ্যে উদ্ভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়ানোর অবকাশ দিচ্ছেন’
এ কথার অর্থ দাঁড়ায় এই যে, আল্লাহ্‌ তাদেরকে লক্ষহীন, উদ্দেশ্যহীন, ও নির্দেশনাহীন ভাবে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ছেড়ে দেন। শেষ মুহূর্তে আল্লাহ্‌র পরাক্রান্ত হাতে ধরা পড়ে যায়। ঠিক যেন একদল হাড় জিরজিরে ইঁদুর খাঁচার ভেতরে লাফালাফি করে এবং খাঁচার মালিক সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা ও চেতনা থাকেনা।এ হচ্ছে আল্লাহ্‌র ভয়াবহ তামাশা। মুমিনদের সাথে কৃত তাদের তুচ্ছ ও দুর্বল তামাশার মত নয়।
এখানে প্রতিভাত হচ্ছে যে, মুমিনদের বিরুদ্ধে তারা যে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, তা প্রকৃত পক্ষে আল্লাহ্‌র বিরুদ্ধে যুদ্ধ। এর ভিতরে নিহিত রয়েছে আল্লাহ্‌র প্রিয় মুমিন বান্দাদের জন্য পরিপূর্ণ প্রশান্তি, আর তার অচেতন নিকৃষ্টতম দুশমনদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ হুমকি ও কঠোর শাসানি। তাদেরকে তাদের অন্ধ গোঁয়ার্তুমিতে লিপ্ত থাকতে কিছুটা সময় দেয়া হয়েছে। আর এয় সময় ও অবকাশ দেয়াকেও তারা ভুল বুঝেছে। এর অন্তরালে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে ভয়ংকর পরিণাম। অথচ তারা সে সম্পর্কে সচেতন নয়।
সর্বশেষে তাদের প্রকৃত অবস্থা ও তাদের শোচনীয় পরিণতির চিত্র আঁকা হয়েছে এভাবে,

পৃষ্ঠা নং: ৩৩

‘এরা হেদায়েতের বিনিময়ে গোমরাহী ক্রয় করেছে। কিন্তু তাদের এই বেচা কেনা মোটেই লাভ জনক হয়নি।এবং তারা সঠিক পথে পরিচালিতও হয়নি’।
তারা যদি চাইতো ,তবে হেদায়েত পেত। হেদায়েত তাদেরকে দেয়া হয়েছিল, তা তাদের নাগালের মধ্যেই ছিল। কিন্তু তারা হেদায়েতের বদলে গোমরাহি হগ্রিদ করেছে। ফলে তা লাভজনক হয়নি এবং সুপথও পায়নি।
এখানে একটি বিষয় খুবই লক্ষণীয় বলে মনে হচ্ছে। সেটি এই যে, এই তৃতীয় চিত্রটি অর্থাৎ মুনাফিকদের বিবরণ প্রথম দুটি চিত্র অর্থাৎ মুমিন ও কাফেরদের বিবরণের চেয়েও দীর্ঘতর। কারণ প্রথম দুটি চিত্র খানিকটা সরল ও সহজ। প্রথমটি তো একেবারে পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন সরল অন্তরাত্মা সম্পন্ন মুমিনদের। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে একেবারেই রুদ্ধদ্বার ও চূড়ান্ত উচ্ছৃঙ্খল ও অবাধ্য চরিত্রের মানুষ অর্থাৎ কাফেরদের। কিন্তু তৃতীয় চিত্রটি হলো জটিল, বক্র ও ব্যধিগ্রস্ত মনের অধিকারী মুনাফিকদের। আর এই ধরনের চিত্র অংকনে স্বভাবতই অনেক বেশী রেখা ও অনেক বেশী আঁচড়ের প্রয়োজন হয়ে থাকে। অর্থাৎ এ ধরনের জটিল চরিত্র বর্ণনে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ বিবরণ আবশ্যক হয়, যাতে তার বহুসংখ্যক গুন ও বৈশিষ্ট দ্বারা তাকে চেনা যায়।
তা ছাড়া মদীনার মুনাফিকরা মুসলমানদের উত্যক্ত করা, কষ্ট দেয়া, ক্ষতি সাধন ও উৎপীড়নের যে কর্ম কাণ্ডে লিপ্ত ছিল, তার

পৃষ্ঠা নং: ৩৪

ব্যপকতা ও তীব্রতাকেও এই দীর্ঘ বর্ণনা অনেকাংশে ফুটিয়ে তুলেছে। মুসলমান সমাজের অভ্যন্তরে মুনাফিকদের ভণ্ডামিপূর্ণ ভুমিকা, চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র যে কোন যুগে কী মারাত্বক ভুমিকা পালন করতে সক্ষম তাও উন্মোচন করে। এই বিষয়টিকে অধিকতর স্পষ্টভাবে বিশ্লেষণ করার উদ্দেশ্যে এখনে এই গোষ্টী সম্পর্কে বিভিন্ন উদাহরণ পেশ করা হয়েছে। এসব উদাহরণ তাদের স্বভাব চরিত্র এবং তাদের নিত্য পরিবর্তনশীলতা ও ডিগবাজির তথ্য উদঘাটন করে।
“এদের উদাহরণ হচ্ছে সে (হতভাগ্য) ব্যক্তির মতো, যে অন্ধকারে আগুন জ্বালালো, যখন তার গোটা পরিবেশটা আলকোজ্জল হয়ে উঠলো, তখন (হঠাৎ করে) আল্লাহ্‌ তায়ালা ……………………………না ( চোখেও দেখে না, ( মুখ দিয়ে।) কথাও বলতে পারে না, এ সব লোক আর কোন দীনই সঠিক পথের দিকে ফিরে আসবে না। (আয়াত ১৭-১৮)”
কাফেরদের মত তারা শুরুতে হেদায়েতের পথকে উপেক্ষা করেনি। তাদের কানকে শুনা, চোখকে দেখা ও অন্তরকে উপল্ধি করা থেকে বিরত রাখেনি। কিন্তু ইসলামকে ভালো ভাবে জানা ও বুঝার প্র তারা সত্য ন্যায়ের পথের চাইতে অন্যায় ও অসত্যের পথকে সচেতনভাবে অগ্রাধিকার দিয়েছে। আগুন প্রজ্জলিত হোক এটা তারা চেয়েছিল। কিন্তু সেই আগুন পজ্জলিত হয়ে তাদের চারি দিককে আলোকিত করলো, অমনি এটা দ্বারা তারা উপকৃত হতে অস্বীকার করল। অথচ এটাই তারা চেয়ে ছিল। তখন আল্লাহ্‌

পৃষ্ঠা নং: ৩৫

তাদের আলো ছিনিয়ে নিলেন। কেননা এই আলো তাদের কাঙ্খিত হওয়া সত্ত্বেও তা তারা পরিত্যাগ করেছিল।
“তিনি তাদের অন্ধকারে ছেড়ে দিলেন যেন তারা দেখতে না পায়”
এটা ছিল তাদের আলোকে উপেক্ষা করার ফল।
যেহেতু চোখ, কান ও জিহ্বার নির্ধারিত কাজ ছিল আলো ও শব্দকে গ্রহণ করা। এবং হেদায়েত ও আলো দ্বারা উপকৃত হওয়া, কিন্তু তারা তাদের চোখকে নিষ্ক্রিয় করে অন্ধ সেজেছে, কানকে নিস্ক্রিয় করে বধির সেজেছে, এবং জিহ্বাকে নিষ্ক্রিয় করে বোবা সেজেছে। তাই তাদের আর আলোর দিকে, সত্যের দিকে ও হেদায়েতের দিকে ফিরে আসার অবকাশ নেই।
আর একটি উদাহরণ তাদের মনের ভীতি, অস্থিরতা, উৎকণ্ঠা ও উত্তেজনাকে স্পষ্ট ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।
“ অথবা (তাদের আরেকটি উদাহরণ হচ্ছে) আসমান থেকে নেমে আসা বৃষ্টির মতো, এর মধ্যে রয়েছে আবার অন্ধকার মেঘের গর্জন ও বিদ্যুতের………………………
ধাবিত হয়, আবার যখন তিনি অন্ধকার করে দেন তখন এরা একটু থমকে দাঁড়ায়, অথচ আল্লাহ্‌ তায়ালা চাইলেই সহজেই তাদের শোনার (ক্ষমতা) , ও দেখার (ক্ষমতা) চিরতরে ছিনিয়ে নিতে পারতেন, নিশ্চয়ই তিনি সর্বশক্তিমান। ( আয়াত ১৯-২০)”
বস্তুত এটা একটা বিস্ময়কর দৃশ্য । একটা চাঞ্চল্যকর ও উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি। এতে নিহিত রয়েছে উদ্ভ্রান্তি ও গোমরাহী,

পৃষ্ঠা নং: ৩৬

রয়েছে ভীতি ও আতঙ্ক, রয়েছে শঙ্কা ও উদ্বেগ, রয়েছে রকমারি ধ্বনি ও আলো। আকাশ থেকে অবতীর্ণ দুর্যোগ, সেই সাথে মুষলধারে বৃষ্টি।
“অন্ধকার, বিদ্যুত ও বজ্রপাতের মিলিত তাণ্ডব, যখনই চারপাশ আলোকিত হয় অমনি তার মধ্যে যাত্রা করে, আর অন্দকার হলেই থমকে দাঁড়ায়”।
অর্থাৎ এমনভাবে থমকে দাঁড়ায় যে , কোথায় যাবে জানে না, কী করবে বোঝে না, ভয়ে ও আতংকে তারা,
“ তাদের কানে আঙ্গুল দিয়ে মৃত্যুর আশংকা ও বজ্রের বিকট শব্দ থেকে আত্মরক্ষা করে” ।
যে কর্মকাণ্ড ও কোলাহল গোটা দৃশ্য জুড়ে অবস্থান করছে, মুষলধারে বৃষ্টির দুর্যোগ থেকে শুরু করে অন্ধকার বিদ্যুৎ ও বজ্র, শঙ্কিত দিশাহারা লোকজন ঘুট ঘুটে অন্ধকারে ভয়ে ভয়ে সন্তর্পণে পথচলা স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার বর্ণনা মুনাফিকদের উদ্ভ্রান্ত, উদ্বেগাকুল উত্তজনাময় ও দিশেহারা অবস্থাকে ফুটিয়ে তোলে। মুনাফিকরা এ উদ্বেগ, উত্তেজনা ও অস্থিরতায় ভোগে মুমিনদের ও তাদের শয়তানদের ( ইহুদী গোষ্ঠী) সাথে সাক্ষাতের মধ্যবর্তী সময়ে, এক এক সময়ে এক এক কথা বলার ভেতর দিয়ে, একবার হেদায়েতের আলো চাওয়া এবং পরক্ষনে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে অন্ধকার ও গোমরাহীকে বেছে নেয়ার মধ্যদিয়ে তারা এই অস্থিরতায় ভোগে। এটা একটা বাস্তব ও ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য দৃশ্য, যা একটা মানসিক অবস্থার প্রতীক স্বরূপ। এটা মানসিক অবস্থার চিত্রকে বাস্তব রূপদান করে।

পৃষ্ঠা নং: ৩৭

মানসিক অবস্থাকে ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য বাস্তব অবস্থার আকারে রুপদানে এটা কুরআনের একটা বিস্ময়কর রীতি।

অতঃপর ২১ থেকে ২৯ নং আয়াত পর্যন্ত সাধারণ ভাবে সমগ্র মানব জাতীকে আহ্বান করে ঈমান আনতে এবং কুফরি ত্যাগ করার আহ্বান জানান হয়েছে।
আমার লেখা বই Published in www.motaher21.net “হে মানুষ” Book#7, “ O Ye People “ Book#6 এবং
“O Ye Mankind” Book#8 Also published in Australian Journal for Humanities and Islamic Studies Research (Vol 1, Issue 1, 2015)
এই বই তিনটিতে আল কুরআনে আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন সরাসরি মানব জাতীকে আহ্বান করে কী বলেছেন তা নিয়ে বাংলা ( বই নং ৭) ও ইংরেজিতে বই নং ছয় ও আট এ বর্ণীত হয়েছে। আগ্রহী পাঠকগন সরাসরি ওয়েব সাইট এ গিয়ে পড়তে পারেন।
অতঃপর ৩০ থেকে ৩৯ নং আয়াত পর্যন্ত আদম তথা মানব সৃষ্টির ইতিহাস, তাদের শ্রেষ্ঠত্ব, তাদের পরীক্ষা, কর্মক্ষেত্র ও সফলতার উপায় বর্ণনা করা হয়েছে।
অতঃপর ৪০ নং আয়াত থেকে বনী ইস্রাইলকে আহ্বান করে তাদের বিচ্যুতি ও মুনাফেকি আলোচনা করা হয়েছে। ঃ-
৪১ ও ৪২ নং আয়াতে আল্লাহ্‌র আয়াত তথা আদেশ , নিষেধ, ও নির্দেশ সমূহ স্বার্থের কারণে বিকৃত, বা পরিবর্তন বা গোপন করোনা।

পৃষ্ঠা নং: ৩৮

আসুন আমরা সরাসরি তাফসির থেকে আয়াত ২টি পড়ে দেখি।তাফসীর ইবনে কাসীরে বর্ণীত হয়েছেঃ-
৪৪ নং আয়াতে সতর্ক করা হয়েছে যাতে তারা মানুষকে উপদেশ দিবে কিন্তু নিজে সেটা আমল করবেনা এমনটি যেন না হয়। এই আহ্বানগুলো যদিও বনীইস্রাইলদেরকে সম্বোধন করে বলা হয়েছে, কিন্তু কুরআনের এই সকল আহ্বান কিয়ামত পর্যন্ত আগতব্য সকল মানব ও জীন এর জন্য প্রযোজ্য। বিশেষতঃ শেষ নবীর ও সর্ব শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে আমাদের উপর আরও বেশী প্রযোজ্য।
আসুন আমরা সরাসরি তাফসির থেকে আয়াতটি পড়ে দেখি। তাফসীর ইবনে কাসীরে বর্ণীত হয়েছেঃ-
অতঃপর ৪৫ ও ৪৬ নং আয়াতে এই মুনাফেকি আচরণ থেকে বাচার উপায় বলে দেয়া হয়েছে।
বলা হচ্ছে মুনাফেকি থেকে বাঁচতে হলে আল্লাহ্‌র স্মরণ করতে হবে। এবং নামাজের মাধ্যমেই তা করতে হবে। যদিও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া কঠিন মুনাফিকদের নিকট মনে হতে পারে কিন্তু মুমিন্দের নিকট এটা কঠিন মনে হবেনা।

আসুন আমরা সরাসরি তাফসির থেকে আয়াত ২টি পড়ে দেখি। তাফসীর ইবনে কাসীরে বর্ণীত হয়েছেঃ-
আসুন এবার তাফসীর “ ফী যিলালিল কুরআন” থেকে এই আয়াতগুলর (৪১-৪৬)কিছু চমৎকার ব্যাখ্যা জানিঃ-

 

পৃষ্ঠা নং: ৩৯

 

“কুরআনের এ ভাষ্য প্রথমাবস্থায় বনী ইসরাইলের বাস্তব চারিত্রিক বৈশিষ্টের উপর আলোকপাত করেছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে এবং বিশেষত ইসলামের দাওয়াত বা প্রচারকার্যে নিয়োজিত লোকদের ব্যাপারে এর আবেদন চিরন্তন। কোন বিশেষ জাতি বা বিশেষ বংশধরের ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ সীমাব্ধ নয়।
ইসলাম প্রচারকদের একটা বড় বিপদ এইযে, ধর্ম যখন তাদের প্রেরণাদায়ক আদর্শ ও আকিদা না হয়ে নিছক পেশা হয়ে দাঁড়ায়, তখন তাদের কথা ও কাজে, কথা ও চিন্তায় আর সামঞ্জস্য থাকে না। তারা মুখে বলে ভালো কথা কিন্তু মনে ভাবে অন্য জিনিস। অন্য মানুষকে ভাল কাজ করার আহ্বান জানায় অথচ নিজেরা তা অবহেলা করে। (স্বার্থের টানে) আবার কখনো কখনো আল্লাহ্‌র বাণীকে বিকৃতও করে এবং অকাট্য ও দ্যর্থহীন বাক্যের ঘোরালো পেঁচালো অর্থ করে আপন মতলব উদ্ধার করতে চেষ্টা করে।কখনো কখনো এমন এমন আজগুবী ফতোয়া দেয়, যা হয়তো আল্লাহ্‌র ওহীর বাণীর সাথে বাহ্যত ও শাব্দিকভাবে মিল খায়, কিন্তু তা ইসলামী জীবন ব্যবস্থার সামগ্রিক প্রাণ সত্তার সম্পূর্ণ বিরোধী। এটা তাদের নিছক মতলববাজী। সমাজে যারা সম্পদ ও ক্ষমতার অধিকারী, তাদের কাছ থেকে হীন স্বার্থ উদ্ধারের উদ্দেশ্যেই এরা এরূপ করে থাকে।

অতঃপর ৪৭ – ৭৪ নং আয়াত পর্যন্ত বনী ইজরইল এর উপর বিভিন্ন নিয়ামত এর বর্ণনা করে তদের মুনফেকী এবং বিদ্রোহ ও তার পরিণাম আলোচন করা হয়েছে।

পৃষ্ঠা নং: ৪০

অতঃপর ৭৫-৭৭ নং আয়াতে তাদের মুনাফেকি সম্পর্কে বলা হয়েছে তারা জেনে বুঝেই এই মুনাফেকি আচরণ গ্রহণ করেছে।

আসুন আমরা সরাসরি তাফসির থেকে আয়াত গুলো পড়ে দেখি। তাফসীর ইবনে কাসীরে বর্ণীত হয়েছেঃ-
অতঃপর ৭৮ নং আয়াতে তাদের মুনাফেকি সম্পর্কে বলা হয়েছে তাদের মধ্যে কিছু লোক আছে যারা না জেনে না শুনে শুধু কল্পনার আশ্রয় নেয়।
অতঃপর ৭৯ নং আয়াতে তাদের অন্য একদলের মুনাফেকি সম্পর্কে বলা হয়েছে তাদের মধ্যে কিছু লোক আছে যারা নিজেদের বানানো কথাকে আল্লাহ্‌র কথা বলে চালিয়ে দেয়।

আসুন আমরা সরাসরি তাফসির থেকে আয়াত দুটি পড়ে দেখি। তাফসীর ইবনে কাসীরে বর্ণীত হয়েছেঃ-

অতঃপর ৮৩ নং আয়াতে তাদের মুনাফেকি সম্পর্কে বলা হয়েছে তাদের মধ্যে অল্প সংখক ব্যতীত সবাই অংগীকার এর কোন গুরুত্ব দেয় না। অর্থাৎ অঙ্গীকার ভঙ্গকারী।
আসুন আমরা সরাসরি তাফসির থেকে আয়াতটি পড়ে দেখি। তাফসীর ইবনে কাসীরে বর্ণীত হয়েছেঃ-

অতঃপর ৮৪ নং আয়াতে তাদের অঙ্গীকার সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে, তাদের থেকে এই অঙ্গীকার নেয়া হয়েছিল, তারা পরস্পর হত্যা করবে না, বহিষ্কার করবে না।ঝগড়া করবেনা এবং একে অপরের বিরুদ্ধে শত্রুতা করবে না। ইত্যাদি।

পৃষ্ঠা নং: ৪১

অতঃপর ৮৪-৮৬ নং আয়াতে এই মুনাফিকির (অঙ্গীকার ভঙ্গের) পরিণাম, এবং কুরআনের (কিতাবের)কিছু অংশ মানা ও কিছু না মানার পরিণাম,দুনিয়াতে লাঞ্চনা গঞ্জনা এবং আখিরাতে কঠোর শাস্থির হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
আসুন আমরা সরাসরি তাফসির থেকে আয়াতগুলো পড়ে দেখি। তাফসীর ইবনে কাসীরে বর্ণীত হয়েছেঃ-

উপরের এই আহ্বানগুলো যদিও বনীইস্রাইলদেরকে সম্বোধন করে বলা হয়েছে, কিন্তু কুরআনের এই সকল আহ্বান কিয়ামত পর্যন্ত আগতব্য সকল মানব ও জীন এর জন্য প্রযোজ্য। বিশেষতঃ শেষ নবীর ও সর্ব শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে আমাদের উপর আরও বেশী প্রযোজ্য।
কিন্তু আমাদের সমাজের দিকে তাকিয়ে দেখুন কি করুন অবস্থা!
কোথায় মুসলিমদের ঐক্য? কোথায় মুসলিমদের একতার বন্ধন? কী অবস্থা আমাদের রাষ্ট্রগুলোর? কী অবস্থা আমাদের সমাজগুলোর? এরই পরিণাম ফল উপরে আলোচনা করা হয়েছে। এবং এরই ফল আমরা আমাদের ব্যক্তি সমাজ ও রাষ্ট্র তথা পুরো মুসলিম বিশ্ব ভোগ করছি। কতই না সত্যি আল্লাহ্‌র বাণী কতই না সত্যি আল্লাহ্‌র হুশিয়ারী!!
যতদিন আমরা কুরআনের কিছু অংশ মানব আর কিছু অংশ মানবনা তত্দিন আমাদের এই অপমান ও লাঞ্চনার থেকে মুক্তি নেই। দুনিয়ার ফল আমরা হাতে নাতে পাচ্ছি, আখেরাতেও একই ফল আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।

পৃষ্ঠা নং: ৪২

হে আল্লাহ্‌ আমাদের ব্যক্তি,সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে মুনাফিকী দূর করে দিন। আমাদেরকে দুনিয়ার লাঞ্চনা ও আখিরাতের আজাব থেকে মুক্তি দিন। আমী…………ন।
এই আলোচনার ধারাবাহিকতায় বনী ইস্রাইলের মুনাফিকি ছাড়িয়ে সরাসরি কুফরিতে লিপ্ত হওয়ার বর্ণনা এবং উদাহরণ ৮৭ নং আয়াত থেকে নিয়ে ১০৩ নং আয়াত পর্যন্ত করা হয়েছে।
অতঃপর ১০৪ নং আয়াতে মুমিনদেরকে সরাসরি আহ্বান করে বলা হয়েছে তারা যেন মুখে এক কথা অন্তরে অন্যকথা এই ধরণের আচরণ গ্রহন না করে। এটা ছিল মুনাফিকদের অবলম্বিত একটি নিন্দনীয় পন্থা।
আমার লিখিত বই “হে মুমিনগন” বইয়ে মুমিনদেরকে সরাসরি আহ্বান করে যা কিছু আলোচনা করা হয়েছে: কুরআন শরীফ এর বিভিন্ন সূরার ৯১ টি আয়াতে, তা নিয়ে লিখিত। দেখুন Book#1“হে মুমিনগন” www.motaher21.net
অতঃপর ১০৫ নং আয়াত থেকে নিয়ে ১২১ নং আয়াত পর্যন্ত মুশরেক,কাফের, মুনাফেক(বানি ইসরায়েল) দের বিভিন্ন আচরণ ও প্রশ্ন উল্লেখ করে তাদের নিয়ে করনীয়, প্রশ্নের জবাব ও উপদেশ দেয়া হয়েছে।
অতঃপর ১২২ ও ১২৩ নং আয়াতে বনী ইসরায়েলকে তাদেরকে প্রদত্ত নিয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আখেরাতে জাবাব দিহিতাকে ভয় করতে আহ্বান জানান হয়েছে।

 

পৃষ্ঠা নং: ৪৩

অতঃপর ১২৪ নং আয়াত থেকে নিয়ে ১৩১ নং আয়াত পর্যন্ত হজরত ইব্রাহীম (আঃ) এর পরীক্ষা, কাবাঘর তৈরী, এবং তাঁর প্রার্থনা বর্ণনা করে তাঁকে পরিপূর্ণ অনুস্মরণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অতঃপর ১৩২ নং আয়াত থেকে নিয়ে ১৪১ নং আয়াত পর্যন্ত হজরত ইব্রাহীম (আঃ),ইয়াকুব (আঃ),ইসহাক (আঃ) ও ইসমাইল (আঃ) এর উল্লেখ করে ইহুদী ও খ্রিস্টানদের মুশরীকি ধারণা ও বিশ্বাস এর প্রতিবাদ করা হয়েছে। এবং হজরত ইব্রাহীম (আঃ) এর পরিপূর্ণ অনুস্মরণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অতঃপর ১৪২ নং আয়াত থেকে নিয়ে ১৫০নং আয়াত পর্যন্ত মুসলমানদের কিবলা পরিবর্তন, তাদের মধ্যম পন্থী উম্মত হওয়ার মর্যাদা, এবং সকল মানব জাতীর উপর তাদের শ্বাক্ষী হওয়ার দায়িত্ব ও কর্তব্য এর বর্ণনা দেয়া হয়েছে।
অতঃপর ১৫১ নং আয়াতে রাসুল (সঃ) প্রেরনের কারন, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বর্ণনা করা হয়েছে।
অতঃপর ১৫২ নং আয়াত থেকে নিয়ে ১৫৭ নং আয়াত পর্যন্ত মুসলমানদেরকে জিহাদ করার জন্য বিশেষ আহ্বান ও উপদেশ দেয়া হয়েছে।
১৫৮ নং আয়াতে হজ্জের একটি রুকন সাফা ও মারোয়া সায়ী করা সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।

 

পৃষ্ঠা নং: ৪৪

অতঃপর ১৫৯ নং আয়াতে মুনাফিকদের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট সত্য গোপন করা সম্পর্কে কঠোর হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে। আসুন আমরা সরাসরি কুরআন থেকে আয়াতটি দেখি।

তাফসীরে ইবনে কাসীরে বর্ণীত হয়েছেঃ-

১৬০ নং আয়াতে বলা হয়েছে যারা তাওবা করে নিজেদের সংশোধন করে নেয় আল্লাহ্‌ তাদের ক্ষমা করে দেবেন আই আশা করা যায়।
অতঃপর ১৬১ থেকে ১৭১ নং আয়াতে কাফেরদের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
আমার লিখা বই “এবং কাফেররা বলে” বই নং ৩ , যাহা ওয়ামি কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে। ওয়ামি বই সিরিজ নং ২৬।
Book#7, www.motaher21.net
আগ্রহী পাঠক গন ওয়েব সাইট থেকে সরাসরি পড়তে পারেন।
অতঃপর ১৭২ আয়াতে সরাসরি মুমিনদেরকে আহ্বান করে নির্দেশ দেয়া হয়েছে হালাল খাদ্য খাবার জন্য।১৭৩ নং আয়াতে শুধু মাত্র চারটি খাদ্য হারাম ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রকারান্তরে মৃত জন্তু, রক্ত, শুয়রের মাংস, এবং আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্য কার নামে জবাই করা জন্তু ব্যতীত অন্য সব জন্তু হালাল করা হয়েছে।

 

পৃষ্ঠা নং: ৪৫

আতঃপর ১৭৪ নং আয়াতে মুনাফিকদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে যারা স্বার্থের বিনিময়ে আল্লাহ্‌র আয়াত গোপন করে তাদের জন্য র‍য়েছে যন্ত্রনা দায়ক শাস্তি।

১৭৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে ওরাই হেদায়েতের বিনিময়ে গুমরাহী এবং ক্ষমার পরিবর্তে শাস্তি ক্রয় করেছে।
১৭৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে আল্লাহ্‌ এই কুরআন হেদায়েতের জন্যই নাযিল করেছেন। এবং এটার মতবিরোধ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
১৭৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে পূর্ব বা পশ্চিমে মুখ ফিরানতে কোন পূন্য নেই। এবং কিছু কিছু পূন্য কাজের বর্ণনা দেয়া হয়েছে।
১৭৮ ও ১৭৯ নং আয়াতে কিসাসের বিধান বর্ণনা করা হয়েছে।
১৮০ থেকে ১৮২ নং আয়াতে আসিয়তের বিধান বর্ণনা করে হয়েছে।
১৮৩ থেকে ১৮৭ নং আয়াতে রোযা(সিয়াম), রমজান মাস এবং কুরআন নাযিল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
১৮৮ নং আয়াতে মুনাফিকির অন্য একটি বিশেষ ধরণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।এখানে বলা হয়েছে কৌশলে অন্যের সম্পদ কুক্ষিগত করাও একটি বড় ধরনের মুনাফিকি।যেমন অন্যের সম্পত্তি মিথ্যা মামলা করে আত্মসাৎ করা।

পৃষ্ঠা নং: ৪৬

 

আসুন আমরা সরাসরি তাফসীর থেকে আয়াতটি পড়ে দেখি।
তাফসীরে ইবনে কাসীরে বর্ণীত হয়েছেঃ-

১৮৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে চাঁদ হচ্ছে প্রাকৃতিক ক্যলেনডার।
১৯০ থেকে ১৯৫ নং আয়াত পর্যন্ত যুদ্ধ ও সন্ধি নীতি বর্ণীত হয়েছে।
১৯৬ থেকে ২০৩ নং আয়াত পর্যন্ত হজ্জের নিয়ম নীতি বর্ণীত হয়েছে।
অতঃপর ২০৪ নং আয়াত থেকে ২১৪ নং আয়াত পর্যন্ত মুনাফিকির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। মাঝখানে ২০৭ ও ২০৮ নং আয়াতে মুনাফিকির বিপরীতে মুমিনদের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে।এবং ২১৪ নং আয়াতে ঈমানের পরীক্ষা দিয়ে মুনাফিকি মুক্ত থাকার সাফল্যের পরিচিতি লাভ করার কথা বর্ণীত হয়েছে।
আসুন দেখি এই আয়াতগুলো (২০৪-২০৬) সম্পর্কে তাফসীরে ইবনে কাসীর কী বলেছে?

২০৭ ও ২০৮ নং আয়াতে মুনাফিকির বিপরীতে মুমিনের দুটি বৈশিষ্ট বর্ণনা করা হয়েছে। প্রথম বৈশিষ্ট হচ্ছে আল্লাহ্‌র সন্তষটির জন্য নিজেকে বিক্রয় করে দেয়। অর্থাৎ আল্লাহ্‌র হুকুম পালনের জন্য নিজের জান প্রাণ দিয়ে সর্বাত্বক চেষ্টা ক্রে।নিজের অহংকার, বা লাভ ক্ষতি বিবেচনা না করেই আল্লাহ্‌র হুকুম পালনে

 

পৃষ্ঠা নং: ৪৭

নিয়োজিত হয়।পক্ষান্তরে মুনাফিক আল্লাহ্‌র হুকুম পালন না করার জন্য নানাবিধ অজুহাত খুঁজতে থাকে।
মুনাফিকির বিপরীতে মুমিনের দ্বিতীয় বৈশিষ্ট হচ্ছে ইসলামের প্রতিটি হুকুম ছোট হোক বা বড় হোক যথাযথ ভাবে পালন করে।কোন হুকুম উপেক্ষা করে না। এবং আল্লাহ্‌র হুকুম এর বাইরে যা কিছুই করা হোক না কেন তাই শয়তানের আনুগত্য।
দেখুন Book #1 www.motaher21.net “হে মুমিন গন”
অতঃপর ২০৯ থেকে ২৭৪ নং আয়াত পর্যন্ত মুশরিক কাফের ও মুমিনদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে আদেশ, নিষেধ, উপদেশ, নির্দেশ ও উপমা দিয়ে বুঝানো হয়েছে।
২১৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে ঈমানের পরীক্ষায় পাস করেই জান্নাত পেতে হবে।
২১৬ নং আয়তে বলা হয়েছে জিহাদ ফরজ করা হয়েছে যদিও এটা আমরা অপছন্দ করি।
২১৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে যা কিছু প্রয়োজনের অতিরিক্ত তা আল্লাহ্‌র পথে ব্যয় করার জন্য।
২২১ নং আয়াতে বলা হয়েছে মুমিন ও মুশরিকদের মধ্যে বিবাহ নিষিদ্ধ।
২২২-২৩ নং আয়াতে ঋতুকালীন সময়ের বিধান বলা হয়েছে।
২২৪-২৫ নং আয়াতে কোন শপথকে ভালো কাজের অন্তরায় করা যাবেনা।

পৃষ্ঠা নং: ৪৮

 

২২৬-২৩৭ নং আয়াতে তালাক, ইদ্দত ও মহরানা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
২৩৮-৩৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে নামাজ এর হেফাযত করতে হবে/সময় মত পড়তে হবে।যদিও কোন ভয় ভীতি থাকে তাহলেও, এবং জানবাহ্ন বা পদব্রজে থাকলেও নামাজ পড়তে হবে।
২৪০-৪২ ইদ্দত কালীন সময়ের ও বিধবাদের ভরণ পোষণের নির্দেশ।
২৪৩-৪৪ মৃত্যুর ভয়ে যুদ্ধ থেকে প্লায়ন না করা।
২৪৫ আল্লাহ্‌র পথে অর্থ ব্যয়।
২৪৬-৫৩ যুদ্ধ সম্পর্কে বনী ইসরাইলের উদাহরণ।
২৫৪ মৃত্যু আসার আগেই আল্লাহ্‌র পথে অর্থ ব্যয় এর নির্দেশ।
২৫৫ আয়াত আল কুরসি।
২৫৬ সুপথ ও ভ্রান্তি সুস্পষ্ট হওয়ার পর দিনের ব্যপারে কোন জবরদস্তি নেই।
২৫৭ আল্লাহ্‌ মুমিনদের আর তাগুত কাফেরদের বন্ধু।
২৫৮ হজরত ইব্রাহীম (আঃ) ও ন্ম্রুদের বিতর্ক।
২৫৯-৬০ মৃত্যুর পর পুনঃ উত্থান।
২৬১-২৭৪ নং আয়াতে আল্লাহ্‌র পথে অর্থ ব্যয়।

অতঃপর ২৭৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে মুনাফিকরা বলে ব্যবসা ও সুদ একই। আলোচনার ধারাবাহিকতায় ২৭৯ নং আয়াতে

পৃষ্ঠা নং: ৪৯

 

সুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আসুন আমরা তাফসীর ইবনে কাসীর থেকে এই সংক্রান্ত আলোচনা জেনে

অতঃপর ২৮২ ও ৮৩ নং আয়াতে লেনদেন লিপিবদ্ধ করার ও স্বাক্ষী রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পরিশেষে একটি চমৎকার দোয়া শিখানর মাধ্যমে সূরা বাকারা শেষ করা হয়েছে।

অতঃপর ২৮২ ও ৮৩ নং আয়াতে লেন্দেন লিপিবদ্ধ করার ও শ্বাক্ষী রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পরিশেষে একটি চমৎকার দোয়া শিখানর মাধ্যমে সূরা বাকারা শেষ করা হয়েছে।

পৃষ্ঠা নং: ৫০

 

 

আল্লাহ্‌ আমাদের সবার জন্য এই দোয়া কবুল করুন। এই মুনাজাতের মাধ্যমে এই অধ্যায়টি শেষ করছি।

 

 

 

পৃষ্ঠা নং: ৫১

 

 

Leave a Reply