অবুঝ হাসি
এর চেয়ে ভাল কথা
হয় কি আর কলিকালেতে?
ডাকাত হও, চুরি কর,
ঘুষ খাও, সুদ খাও,
যত পার পকেট মার।
সেথায় চলে যাও,
পীর সাব যেথা পাও
তাহারে খুশী কর
ভরিয়ে দাও মা-লেতে।
কিন্তু স্বরণ কর
কোরান হাদিস পড়
পীর সাব কোথা থাকবে
হাশরের কালেতে।
এখনো সটকে পড়
রাসুলের পথ ধর।
কোরান হাদিস পড়
সঠিক আমল কর,
নাহলে যে হবে কি
তোমার আমার এই ভালেতে।
যদি চাও আখেরাত
আছে শুধু এক পথ,
হালাল রুজি কর,
আল্লার নাম স্মর
সহজ সরল পথ
নাহি কারো দুই মত,
পড়িওনা দাগাবাজের তা-লেতে।
স্বাধীনতা
তোমার কি হয়েছে?
এখনও কি বুঝলেনা হে অর্বাচীন!
বvর বার ভুল K‡i,
তুমি হয়ে গেছ দুর্বল শক্তিহীন।
cলাশীর প্রvন্ত‡i,
ক্ষমতার মোহে তুমি অন্ধ ছিলে।
দুরন্ত হায়েনারে,
বন্ধু ভেবে ঘাড়ে স্থান দিলে।
দুইশত বছর-
বয়ে বেড়ালে,
ছাড়াতে পারলেনা,
রক্তে ভরিয়েছ তার উদর।
সাতচল্লিশে তুমি জাগ্রত হলে
দু‡i গেল হায়েনারা।
তুমি আবার মোহগ্রস্ততা পেলে,
তন্দ্রার সূযোগ নিল তারা।
মায়ের বুকে বসাল ছুরি,
সন্তানকে করল চুরি।
দাড়া করালো এক পংগু ভিক্ষুক
নিজে সাজলো তার মহা রক্ষক।
বসেছে নিয়ে বিষ মাখা হালুয়া রূটি,
ঢাকছেÑ আয়, আয়, আয় ছুটি।
হে রক্তিম স্বাধীনতা!
সবকিছু যদিওবা হারাই,
তোমায় যেন না হারাই,
আর যেন বয়ে বেড়াতে না হয়,
শত্রু, মিত্র কারো অধীনতা।
Òবাংলাকে তারা রুখতে চায়!Ó
আজ আমি স্মরন করছি,
একুশে ফেব্রুয়ারীকে;
আজ আমি স্বরন করিয়ে দিতে চাই-
আট-ই ফাল্গুনকে।
ভাষার দাবীতে দিতে হলো প্রাণ-
সেই সে ইতিহাস।
কুপমন্ডুক আর অর্বাচীনের
উঠুক নাভিশ্বাস।
ছুইলে যাদের জাত চলে যায়,
এমনি ছুতমার্গ,
ভাষায়ও তারা ধরল সেপথ।
নাহি উচ্চারিবে ছোটলোকের ভাষা
করল শপথ।
আপনি কি ভাই মসজিদ খুঁজছেন?
আমার সাথেই চলেন।
এখানেই যে এতবড় মসজিদ!
বাহির থেকে চেনা দায়,
মাগরিবের সময়ও এতো কম লোক!
কেউ কি নামাজ করেনা আদায়?
এ পাড়াটা ভাই মুসলিম পাড়া,
সবাই নামে মুসলমান।
কিন্তু আজানে নেই কোন সাড়া,
কাজে মুসলিম নেই প্রমাণ।
সাবধান
আমি আছি হায়
ফয়েজ হাসিল করার তালেতে
করে পীর পূজা
কিংবা কবর পূজা
বোতল খালি করে
সুখটান দিয়ে গাঁজা।
এই পীর সেই পীর,
যেই পীর হায়
সবকিছু করে মাফ,
যদি ভাল দক্ষিনা পায়।
যত খুশি কর পাপ,
শেষে হজ্জ, পীর সাব
আপনাকে দেখে খুশি হলাম,
অনেক খোজাখুজির পর
আপনাকেই মুসলিম ভাবলাম।
আছরের সময়তো আর বেশী নেই,
মাগরিবের সময় সমাগত।
এ পাড়ায় কি কোন মসজিদ নেই?
একটু দেখিয়ে দিলে ভালো হতো।
আমার বাসা বটে এখানে,
মসজিদ আছে আশে পাশে কোনখানে!
আপনারতো নেই কোন কাজ,
তাই মসজিদ ‡Lvজায় নেমেছেন আজ।
কিছু মনে কর‡বননা ভাই,
আমি এখন একটু বাজারে যাই।
হায়রে আল্লাহ ! এখন আমি কি করি?
আছরটা নাহয় ফুটপাতের পাশেই আদায় করি।
অনেকের মুখেই বক্র হাসি,
কারো কারো বা ব্যাংগ কাশি।
আপনারা সবাই হা করে কি দেখছেন?
আমায় কি কোন চিড়িয়াখানার Rš‘ ভেবেছেন!
অবশেষে একজন ,
অতি বৃদ্ধ এগিয়ে এলেন।
উপেক্ষা করেছিল, চোখের অশ্রুর
শ্রাবনের বর্ষন।
হায় তস্কর
কর্ণাটকের সেন বর্মন
কালের তিমিরে
রইল বাকী
শুধুই চর্যাপদ।
হারাল তারা
যা কিছু গড়েছিল
সাধারণ মানুষের প্রাণের অর্ঘ।
দিনের পরে
দিন আসে যায়
নিয়তির সেই
অমোঘ ধারায়।
ভাষা ফুটে উঠে
বঙ্গ পাড়ায়।
ফাল্গুনের সেই
আঁধার রাতে
মুখ চেপে ধরে
সবল দুহাতে
কহিতে দেবেনা
মায়ের ভাষাতে
হৃদয়ে আছে
যা কিছু গোপন
তাইতো এবার
অশ্রু নয় আর
ভাসিয়ে নিয়ে গেলো
অর্বাচীন সবে
রক্তের পশ্রবন।
চোর যদি তাড়াও
লাঠি নিয়ে হাতে
কুমন্ত্রক আসে
চাণক্য চাল সাথে।
তাইতো দেখি
এখনো চলে ষড়যন্ত্র।
বাংলাকে তারা রুখতে চায়
হিন্দী, সংস্কৃতি দিয়ে
ছদ্মবেশী যত তন্ত্র মন্ত্র।
অবুঝ হাসি
আমি কেন কাঁদি? আজ এই খুশির দিনে
সেকথা তুমি যদি জানতে, তাহলে-
তুমিও আমার সাথে কাঁদতে।
মনে বড় খুশি নিয়ে গিয়েছি ফিলিস্তিনে
প্রথম কিবলাতে ঈদ করব বলে
কিন্তু সেখানে দেখি সকল মুখের হাসি
মুছে গেছে বুক ভরা কান্নাতে।
গিয়েছি কাশ্মিরে আমি, বুকে বুক মিলাতে
সেখানে রক্তের সাগরে ভাইয়ের লাশ,
সন্তান হারা মায়ের বিধস্ত বুক,
নির্যাতিতা বোনের মুখ দেখেও কি তুমি হাসতে?
আমি কোথাও দেখিনা একজন ওমর,
খালিদ, তারিক, মূসা অথবা সালাউদ্দিন।
কে এগিয়ে আসবে? আমাকে ঘি‡i থাকা
আবদুল্লাহ উবাইদের রুখতে?
তোমার এই অবুঝ হাসিতে
কিভাবে আমায় যোগ দিতে বল?
তুমি কি পার ঈমানের সেই তেজ দিয়ে
আমার `y:খ ঘুচাতে?
আপনি কি মুসলিম?
এইযে ভাই শুনুন।
বিরক্ত করছেন কেন?
কি বলবেন? বলুন।
আপনি কি মুসলিম?
কি যা-তা বলছেন?
আমার নাম সেলিম।